কমিউনিটি ক্লিনিক, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করার জন্য সরকার প্রায় ১৪,০০০ ল্যাপটপ বিতরণ করেছে। আমি আমারটা পেয়ে বেশ খুশিই হলাম। যা যা পেলাম:
১. একটি HP 450 মডেল এর ল্যাপটপ
২. CNET এর মডেম
৩. জিপি বিজনেস সল্যুশন পোস্টপেইড কানেকশন
কতটুকু পরিকল্পনা বাস্তবতার মুখ দেখবে তা এখন বলা মুস্কিল। তবে কিছু জিনিস নিয়ে আমার একটু খটকা আছে তাই শেয়ার না করে পারলাম না:
১. উইন্ডোজ ৭ এর অরিজিনাল কপি ব্যবহার করা হয়েছে যার মূল্য ১৯.০০০৳
২. কাসপারস্কি ইন্টারনেট সিকিউরিটি অরিজিনাল কপি ব্যবহার করা হয়েছে যার মূল্য ৯০০৳
৩. মাইক্রোসফট অফিস ২০০৭ এর পাইরেটেড কপি ব্যবহার করা হয়েছে
৪. বিজয় এর একুশে ভার্সন ব্যবহার করা হয়েছে যার মূল্য ২০০৳ (তবে কর্পোরেট ভার্সন ব্যবহার করা হয়ে থাকলে মূল্য ৫০০০৳)
৫. তবে প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে মান্ধাতা আমলের পেন্টিয়াম (!)
কি কাজ করতে হবে:
১. এই ল্যাপটপ দিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করতে হবে (স্কাইপি ব্যবহার করে)
২. কিছু ডাটা ইনপুট দিতে হবে সার্ভারে ইন্টারনেট ব্যবহার করে (ফায়ারফক্স বিল্ডইন দেয়া আছে)
৩. প্রয়োজনীয় অফিসিয়াল লেখালেখি।
এর কোনো কাজেই আমি এতটাকা খরচ করে সফটওয়ার কেনার কোনো কারন দেখি না (যদিও কর্পোরেট লেভেলে একসাথে কেনার জন্য দাম কিছু কম ধরা হয়)
খুব সহজেই অপারেটিই সিস্টেম হিসেবে উবুন্টু বা লিনাক্স মিন্ট ব্যবহার করে এর সমাধান করা যেত। বিজয় এর বদলে অভ্র ব্যবহার করা যেত। তাহলে বিনা খরচে আমরা আমাদের কাজগুলো করতে পারতাম। আমাদের মত দেশে এই বিলাসিতা মানায় না। আসলে এর ভিতর দিয়ে একটি গ্রুপ ব্যবসা করে নিলো বলেই আমার মনে হয়েছে। আমার এই আশঙ্কা ভুল হলেই খুশি হবো।
পুনশ্চ: ভারতে ও থাইল্যান্ডে ই-গর্ভমেন্স চালু হয়েছে যা পুরোটাই অপেন সোর্স সফটওয়্যার বেজড।