somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এটা শুধুই একটা গল্প

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক লোকের চার ছেলে ছিলো। বাবার ধন সম্পদ ক্ষমতা কোন কিছুরই কমতি ছিলো না। একদিন বাবার ইচ্ছা হলো ছেলেদের কাছে একবেলা খাবে। ছেলেরা সবাই বাবার খাবারের পছন্দ জানতো। বড় ছেলের পক্ষে বেশিকিছু আয়োজন করা সম্ভব ছিলো না। সে ডাল, ভাত আর সবজি নিয়ে আসলো। মেজো ছেলে মুরগির মাংস চিংড়ি মাছ আর পোলাও নিয়ে আসলো। তার ধন সম্পদ অনেক। বাবাকে সে সত্যি অনেক ভালোবাসে। পাড়ার সবাই দেখলো মেজো ছেলের বাবার প্রতি কত দরদ। সেজো ছেলেও কম যায় না। বাবার প্রতি ভালোবাসা তারও আছে। সে নিয়ে আসলো বিরিয়ানি ইলিশ মাছ আর মাংস ভুনা। ছোট ছেলে কোন ইনকাম করে না। তার কিছুই দেবার ছিলো না। সে শুধু মনে মনে ভাবলো যখন সে ইনকাম করবে সে নিশ্চয় তার বাবাকে খাওয়াবে ভালো করে।
সব খাবার নিজ ঘরের ভিতর দেখে বাবা একটা হাসি দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো। সেজো ছেলে তাই দেখে বড় ছেলেকে বললো “তুই তো বাবাকে ঠিকভাবে খাওয়াতেই পারিস না।কত কিছু বাদ দিয়েছিস”। বড় ছেলে মুখ নিচু করে বসে থাকলো। তার হয়তো বেশি করতে হতো।কিন্তু যতটুকু পেরেছে ততটুকুই করেছে সে। এর বেশি আর সম্ভব ছিলো না। মেজো ছেলে সেজো ভাইরের সাথে তর্ক লাগিয়ে দিলো খাবারের উপকরন নিয়ে। বাবার বিরিয়ানি পছন্দ না। সে যে মুরগি নিয়ে এসেছে বাবা তাই খাবে। সেজো ছেলে সে কথা মানতে নারাজ। তার কথা বাবা আমার আনা খাবারই খাবে। সেটাই তার পছন্দ। তর্ক একসময় মারামারিতে গিয়ে ঠেকলো। ছোট ছেলে চুপচাপ বসে থাকলো।
পাড়ার সবাই দেখলো মেজো ছেলে আর সেজো ছেলে বাবাকে কত ভালোবাসে। কেউ বললো মেজো ছেলেই ঠিক বলেছে, কেউ বললো সেজো ছেলেই ঠিক। অনেকে বললো ঝগড়া করা ঠিক আছে তবে মারামারিটা বাড়াবাড়ি। বাবার প্রতি ভালোবাসা থেকে একটু আধটু মারামারি করা যায় এই দলেও অনেকে সমর্থন দিলো। পাড়ার কেউ কেউ অন্য কথাও বললো। তবে বড় ছেলে আর ছোট ছেলে থেকে গেল সবার আলোচনার বাইরে।
বাবা ডাল ভাত দিয়ে খুব মজা করে ভাত খেলেন। ছোট ছেলের উদ্দেশ্য মনে মনে বললেন তুই ইনকাম কর, তুই যেদিন খাওয়াতে পারবি সেদিন তোর বড় ভাইয়ের মত তোর খাবারও খাবো।
(এটা শুধুই একটা গল্প। সৃষ্টিকর্তা আর তার বিভিন্ন ধরনের অনুসারী নিয়ে রূপক অর্থে কোনো কিছু ব্যবহার করা হয়নি)।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×