নুতন বেতন কাঠামো নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের দাবী সমর্থনযোগ্য। তবে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়-
১. শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কথা বলে শুধুমাত্র নিজেদের বেতন আর গ্রেড বাড়ানোর কথা কেন বলছেন, প্রাইমারী, হাইস্কুল আর কলেজের শিক্ষকরা কি শিক্ষক না? শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো হলে সেটা সকল শিক্ষকদের জন্যই হতে হবে.....
২. আপনার গাড়ি চান, সেই গাড়ির তেল খরচ চান, সিনিয়র সচিব এর মর্যাদা চান ভালো কথা। আপনাদের চাকরির বয়সসীমা নিজেরাই বানিয়ে ফেলেছেন ৬৫ বছর। আর চাকরদের চাকরীর বয়স এখনও ৫৯ বছর। এখানে সমমর্যাদা কই গেল!!
৩. দলীয় নিয়োগ, তিন, ছয় আর দশ বছরের মধ্যে তিনটি স্তর পার হলে ফুল প্রফেসর। আবার এই প্রমোশন হয় নিজেরা নিজেরাই বানানো প্রমোশন কমিটির মাধ্যমে, নাম সর্বস্ব জার্নাল আর গবেষনায় নিজেদের নাম ঠুকিয়ে। ব্যস্ত থাকেন দলীয় লেজুরবৃত্তি, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আর ইভিনিং ক্লাস নিয়ে ইনকাম করার জন্য। কথায় কথায় হরতাল আর ক্লাশ বর্জন করে। আর সারাজীবন ছাত্র পড়িয়ে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকটির সংসার চলে না ঠিকমত।
৪. ''''অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন সময় অযাচিত, বিরূপ ও হাস্যকর মন্তব্য করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। অতীতে তিনি স্বৈরাচার সরকারের মন্ত্রী ছিলেন এবং এখনো তাঁর স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিবর্তন হয়নি বিধায় তিনি এ রকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন।'''''-------এটা হল আমাদের শিক্ষক নামধারী নেতাদের বক্তব্যের নমুনা!!! ''''দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জ্ঞানের অভাবে আন্দোলন করছেন। তাঁদের কর্মবিরতির কোনো যুক্তি নেই। তাঁরা জানেনই না যে নতুন বেতনকাঠামোতে তাঁদের জন্য কী আছে, কী নেই।''''''----------- এটা হল আমাদের মন্ত্রী মহোদয়ের বক্তব্য। এখানে কার বক্তব্য শ্রীহীন? কে কার নিকট ক্ষমা চাওয়া উচিৎ??
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪