দাড়াইয়া, বসিয়া, শুইয়া- চেতনে, অচেতনে যে যেখানে আছেন, লাগলে জায়গায় বইসা আওয়াজ দিয়েন, জায়গায় পৌছাইয়া দেবো। নমস্য হেলাল হাফিজের নয়, নয় ওমর খৈয়ামেরও- ইহা একান্তই আমার স্বপ্নে পাওয়া দুঃখ-রাশির কালারফুল ভাণ্ডার।
ভাবনাকে রাঙাইবেন? কত রঙের চাহেন? মুহূর্তটাকে ধরিতে চাহেন? কত ধরনের চাহেন? বিনামূল্যেই পাইবেন-
আদম-হাওয়ার দুঃখ আছে, আছে রাধা-কৃষ্ণের। ব্র্যাড-জোলির দুঃখ আছে, আছে সত্যজিতের। পেলে-ম্যারাডোনা, শুমাখার, ম্যাকেনরো আর ব্র্যাডম্যানের দুঃখ আছে। এমিনেমের ক্ষারীয় দুঃখ, ডিলান-মার্লের আশাবাদী দুঃখ, হোয়াংহো’র নিজস্ব দুঃখ, আছে হলদে পাখির হাহাকার। বানভাসীর হাসিমাখা দুঃখ আছে, আবার প্রশান্ত সমুদ্দুরের বুকে নিজস্ব ইয়টে, ফূর্তি করতে না পারার দুঃখও আছে।
তুলির আচড়ে অমর ছবিটি আকতে না পারার দুঃখ আছে, কথায় সুরে মনের মত গাইতে না পারার দুঃখ আছে।
পণ্য হওয়ার দুঃখ আছে, বন্য হওয়ার দুঃখ আছে- আছে আকাশের মুখ কালো করা হঠাৎ দুঃখ। সদ্য-কবির পদ্য প্রসবের যন্ত্রণা আছে। মনের মত মন না মেলার দুঃখের ভাড়ারওতো অশেষ। আর স্বপ্নভঙ্গের? সে তো গন্ডায় গন্ডায় বাড়িতেছেই। চলিবে..}
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২১