কিছুদিন আগে হোস্টেল মুভিটি দেখলাম, সিক্যুয়েলসহ। যারা দেখেছেন তাদের কাছে হয়তো এ পোস্টটির আলাদা কোন অর্থ নেই। যারা দেখেননি, তাদের বলি- কিছুটা শক্ত হৃদয় না হলে মুভিটি না দেখাই ভালো। মানস-বিকৃতির চূড়ান্ত। পৃথিবীর রিলিজিয়ন, ইকোনমি, পলিটিকস আর সোসাইটির নিয়ন্তা ‘মহান’ মানুষরা {যেকোন দেশেরই}যখন ভোগ-বিলাসের নানান রসদেও বড্ড বিস্বাদ বোধ করছেন, তখন তাদের ভোগবৈচিত্র্যের জন্য একেবারেই অন্যরকম এক আনন্দযজ্ঞ দারুণভাবে চিত্রায়িত এ মুভিতে।
মনে হলো, মুভিটি বর্তমান পৃথিবীরই একটা সারাংশ। ক্লায়েন্টগুলো এক একজন রাষ্ট্রনেতা, নেটওয়ার্কটি তাদেরই পৃষ্ঠপোষতায় গড়ে ওঠা, নেটওয়ার্কের কর্মীগুলো আমাদেরই কেউ কেউ, আর আমরা সবাই তাদের পছন্দ-অপছন্দের রক্ত-মাংস।
দুঃখিত, আমি কোন চিত্রসমালোচনার দুঃসাহেস এ লেখাটি লিখছি না। বিষয়টি ইতিমধ্যেই অনেক পুরনো- মুম্বাইদুর্যোগ। অনেকেই ধর্ম আর রাজনীতির মিশেলে বিভিন্ন বিশ্লেষণে হয়তো কার্যকারণ ও ফলাফল জানিয়েছেন। কার লাভ, কার ক্ষতি, কারা ভয়ে থাকবেন, তা’ও হয়তো তথ্য-উপাত্ত সহযোগে দেখিয়েছেন। তাহলে, ‘জগতের এই আনন্দেযজ্ঞে- নিমন্ত্রণটা কাদের?’ অবশ্য মানুষকে নিয়ে খেলতে ভালোবাসা মানুষ যুগে যুগে বেড়েই চলেছে।
প্রবৃত্তি চালায় মানুষকে, আর মানুষ করে রাজনীতি, সমাজনীতি, ধর্ম-কর্ম ইত্যাদি ইত্যাদি। ব্যক্তিকেন্দ্রিকতায় বিচ্ছিন্ন হতে হতে
তবু আমরা আনন্দ পাই এই ভেবে- না, আমার তো কেউ মরেনি। ইস, মানুষ মারার লাইভ দৃশ্যটা আবারও মিস হয়ে গেলো....
কতদিন টেলিভিশনে লাইভ যুদ্ধ দেখি না। ভালো, ভালো- সবই ভালো।
প্রথম যেদিন সমরেশের গর্ভধারিনী বইটি পড়েছিলাম, প্রায় সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলাম- বন্ধুদের নিয়ে স্কয়াডটা গড়েই ফেলি।
তার অ-নে-ক পরে ‘রাং দে বাসন্তি’ ছবিতে দেখলাম প্রায় একই গল্পের একটু ভিন্ন রূপ। অবশ্য সবারই এমন একটা বয়স যায়, একসময়। কিন্তু এটাতো তেমন ছিল না। নিরীহ মানুষগুলো আসলে কাদের ভোগে গেলো?
অনেকেই হয়তো আব্বাস কিরোস্তামির ‘টেস্ট অব চেরি’ দেখেছেন। এখন আমার নিজেকে সেই নিঃসঙ্গ মানুষটির মত মনে হচ্ছে, যে আত্মহত্যা করার জন্য একজন সাহায্যকারী খুজে বেড়াচ্ছে। আমি জানি, লেখাটি খুবই অসংলগ্ন হলো, কিন্তু কি করবো বলেন? আমি যে আকন্ঠ রক্ত গিলে পাড়মাতাল হয়ে আছি...