'৭১এ মুক্তিযুদ্ধের পর
আটক রাজাকার
আলবদর সদস্যরা,
বংগবন্ধুর
সাধারন ক্ষমার
আওতায়, জেল
থেকে ছাড়া
পেয়েছিলেন, তাদের
বেশির ভাগ সাবেক
বসতি গ্রামে ফিরে না
এসে,
ভিন্ন ভিন্ন জেলায়
গিয়ে নতুন করে বসতি
স্থাপন করতে দেখা
গেছে।এমন অনেকে
দেখা গেছে আত্মীয়
স্বজনের মত্যু সংবাদ
শুনার পরও দেখার জন্য
নীজ গ্রামে ফেরার
চিন্তা করেননি।যদি
কখনও কারো সাথে
অকস্মাৎ কোথাও দেখা
মেলে, বা কারনে
অকারনে দেখা হয়ে
যায়, তাহলে কেমন
যেন চোখ লোকানোর
একটা ভাব
পরিলক্ষিত হয়।
একান্ত পরিচয় দিয়ে
আলাপ করতে
গেলে,এলাকার বিশেষ
কিছু মানুষের সংবাদ
সংগ্রহে তাদের বেশি
উৎসুক দেখা যায়।ঐ
সমস্ত মানুষ গুলি এখন
ও জীবিত আছেন, না
মারা গেছেন তা জানতে
বেশি আগ্রহ প্রকাশ
করেন।
যে রাজাকার
মুক্তিযুদ্ধে তার
এলাকায় মুক্তিযুদ্ধা
পরিবারের উপর
নির্যাতন
করেছে,বাড়িঘর
পুড়িয়েছে,গরু
ছাগল,হাঁস মুরগি ধরে
নিয়ে গেছে, তারা
এখনও জীবিত আছে
কিনা,সেটাই তার এখন
ও নিশ্চিত হতে চায়।
এমনিতে কুখ্যাত
রাজাকারদের মধ্যে
অনেকেই ইতিমধ্যে
মারা গেছে বা অনেকে
মত্যু পথযাত্রী।
এলাকার জন্য তাদের
মন কাঁদে এমনটি
আমার কাছে মনে
হয়নি।সেখানে পরিবার
পরিজন নিয়ে তারা
দিব্যি সুখেই আছে
বলে মনে হল।
গতবছর পাহাড় ঘেরা
খাগড়াছড়ি বেড়াতে
গিয়ে এই অভিজ্ঞতা
আমার নীজের
অর্জিত।একাধিক
কুখ্যাত রাজা কারের
সাথে আমার দেখা এবং
কথা হয়েছে।অনেকের
নাম জিজ্ঞাসা করে
দেখলাম সবাই
সবাইকে চেনে- জানে
এবং তাদের মধ্যে
আন্তঃসংযোগ
অত্যান্ত চমৎকার
বলেই মনে হল। খবর
নিয়ে যতটুকু
জানলাম,বেশীর
ভাগের সন্তানাদি
বি,এন,পি রাজনীতির
সাথে জড়িত। অনেকে
আবার পাবলিক
প্রতিনিধি হয়ে বেশ
নামযশ ও কিনেছেন।
অতীতের ইতিহাস
ছেলেমেয়েরা জানে
কিনা? এই প্রশ্নটি
সরাসরি
নাকরে,জানতে
চাইলাম, আপনার
ছেলেমেয়েরা আপনার
আধিনিবাসের খবর
জানতে চায় কিনা? এই
রুপ প্রশ্নের জবাবে
কিছুটা বিচলিত হয়ে
উত্তর হ্যাঁ সুচক দিয়ে
বলে, ওদের নিয়ে
এলাকায় বেড়াতে
যাবযাব করেও যাওয়া
হয়ে উঠে না।এতে
বুঝতে অসুবিধা হয়না
যে,এখন ও তারা তাদের
'৭১এর কর্মের ক্রিয়া
প্রতি ক্রিয়া
সম্পর্কে মানষিক
ভাবে দুবল অবস্থানে
আছেন।রাজনীতির
বিশ্বাস আগের
অবস্থানেতো আছেনই
বরং কঠোরতর হয়েছে
বলেই মনে হলো।
আমি ঘুরেফিরে যতই
জানার চেষ্টা করিনা
কেন,তাদের কথা
একটাই এইতো অল্প
সময়ের
মধ্যেই,ভারতের কাছে
বাংলাদেশকে বিক্রি
করে শেখ হাসিনা
বিদেশ পাড়ি জমাবেন।
কথাটা তারা বুঝে
বলুক আর না বুঝে
বলুক "বলাতেই তাদের
আনন্দ আমার কাছে
মনে হলো"। এইরুপ
চিন্তার কারন জানতে
চাইলে জাতির
জনকের মৈত্রী
চুক্তির কথাটা
ফিরিয়ে আনার চেষ্টা
করেন।সাথে
আগড়তলা ষড়যন্ত্র
মামলা কথাটা কে জোর
দিয়ে বলার চেষ্টা
করেন।এই অশিক্ষিত
অধশিক্ষিত লোক
গুলো সাজিয়ে কথা
বলার মধ্যে,তারা যে
দীঘদিনের মুজিব
আদশের বিরুদ্ধে
বিশেষ প্রশিক্ষন
প্রাপ্ত, এটা বুঝতে
কোন অসুবিধা হওয়ার
কথা নয়।তাদের
মারমুখি অবস্থানের
কথা চিন্তা করলে
মনে হবে,তারা এখনও
যেকোন ত্যাগ
স্বিকারে প্রস্তুত।
মাননীয় প্রধান
মন্ত্রী কিছুদিন
আগে একটি
তাৎপয্যপুর্ণ কথাই
বলেছেন।
'৯৬ইংসালে যদি
আওয়ামী লীগ
ক্ষমতায় না আসতো
তাহলে মুক্তিযুদ্ধ
এবং মুক্তি যুদ্ধের
চেতনা কি,ইহাই ভুলে
যেত বাংলাদেশের
মানুষ।নতুন প্রজম্মের
মুক্তিযুদ্ধ সম্মন্ধে
জানাতো পরের কথা।
কথাটা যে কতটা
প্রনিধানযোগ্য বতমান
প্রেক্ষাপট চিন্তা
করলেই বুঝা যায়।
একবিংশ শতাব্দির
বিজ্ঞানের চরম
শিখরে দাড়িয়ে,আমরা
বিজ্ঞকিছু মানুষের
মুখে শুনতে পাই
এইবুঝি
ভারতের দাসত্ব বরন
করতে যাচ্ছে বাংলা
দেশ।এই চুক্তি মানে
ভারতের দাশ ওই
চুক্তি দেশ বিক্রি
ইত্যাদি ইত্যাদি।
বেগম খালেদা জিয়া
গতকাল তার গুলশানের
কায্যালয়ে
আইনজিবিদে
সাক্ষাত অনুষ্ঠানে
তার বক্তৃতায়
বলেন",ট্রাঞ্জিট
চুক্তি হলে বাংলাদেশ
ভারতের দাসত্ব বরন
করবে।"অশিক্ষিত
হলেও তিনি একটা
বড়্র রাজনৈতিক
দলের নেত্রী।
একাধিকবার
বাংলাদেশের রাস্ট্রীয়
ক্ষমতায় যাওয়ার এবং
রাস্ট্র পরিচালনা
করার অভিজ্ঞতায়
সমৃদ্ধ।তার মুখে যদি
এমন একটা
অর্বাচিনের মত কথা
বের
হয় তাহলে সাধারন
একটা মানুষকে দোষ
দিয়ে লাভ আছে বলে
আমি মনে করি
না।'১৯৬৫ভারত
পাকিস্থান যুদ্ধের
আগে
পয্যন্ত
সড়ক,রেল,নৌপথে
ভারতের সাথে সংযোগ
বিদ্যমান ছিল,তখন
কি
দেশ বিক্রি হয়ে
যায়নি?নেপাল ভুটান ও
সার্ক ভুক্ত অন্য
দেশসমুহের সাথেও যদি
এই কানেক্টিভিটি
কায্যকর হয়, তাহলে
একা ভারত কিভাবে
বাংলাদেশ কিনে নিবে?
অন্য সবাইকে
ভাগদেয়া ছাড়া?এই
সড়কে বাংলাদেশের যে
পন্য আমদানী
রপ্তানী হবে তার কি
হবে?বাংলাদেশ এত
সস্তা কি ভাবে হল,
যে কোন সময়ে ভারত
কিনে পেলে বা সহজে
আমরা বিক্রি হয়ে
যাই?
বাংলাদেশ নামক এই
ছোট্র ভুখন্ডটি
অজন করতে যে মুল্য
আমাদের দিতে
হয়েছে তা বিশ্বের
আর কোনদেশ কিনতে
কি দিতে হয়েছে?
পৃথিবীর একটি
দেশকি খুজে পাওয়া
যাবে,যেদেশ তাদের
ভাষার
জন্য রাজপথে
তাজারক্ত ঢেলে
দিয়েছে?
পথিবীর একটা দেশকি
খুঁজে পাওয়া যাবে,দেশ
স্বাধীন করতে তাদের
মা বোনের জীবনের
মুল্যবান সম্পদহারাতে
হয়েছে?তারপরও
স্বাধীনতার এত বছর
পরও পুরাতন মদ
বিক্রির চেষ্টা কেন?
জয়বাংলা জয়বংগবন্ধু
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:০২