somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেয়েদের যে ৭টি গুন একজন ডিজাইনারের মাঝে থাকা উচিত

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোট বেলা থেকে মেয়েদের গুছিয়ে চলার বেপারটা দেখে আসছি। নিয়মিতই ওদের এই গুছিয়ে চলাটা আমার কাছে বিরক্তের কারন ছিল। কোথাও এক সাথে বের হতে গেলে কয়েক ঘন্টা সাজগোজেই আপচয় হয়ে যাবে। কি ভয়ানক বেপার বলুন তো! এক দিনে আমার বান্ধবী যে পরিমানে প্রসাধনী ব্যবহার করে তা হয়তো আমি মাসেও করি না। আর যে কোন বেপারেই ওদের রয়েছে একটা খুতখুতে ভাব। টাকার নোট দিলেও তারা ভাল ভাবে দেখে আর নতুন নোটের প্রতি রয়েছে ওদের অস্বাভাবিক রকমের অপ্রয়োজনীয় চাহিদা।
কিন্তু এ বেপারগুলোকে আমি একটু পজিটিভ ভাবে দেখলাম যখন ডিজাইন করতে গেলাম। আমার দরকার ছিল একটু সমালোচক, একটু গুছিয়ে চলা লোক। তাহলে মেয়েদের কাছ থেকে কি কিছু শিখে নেয়া যায় নাকি…বলুন তো..।

কোন দিন ডেটিং এর সময় দেয়া থাকলে একেবারে আগেই হাজির। আসলে ওদের তো কোন কাজ নেই তাই হয়তো তারাতারি এসে পরে। ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে নাকি সময় সচেতনাতা শিখতে হবে মেয়েদের কাছে। যাক.. তাহলে শিখে নেব।
পরীক্ষা নিরীক্ষা
ঐ যে বলেছিলাম, যে কোন বিষয়ে খুতখুতে স্বভাব। যা এনে দেন তাই পরীক্ষা করে দেখবে। কোন তরকারীতে পোকা আছে তা ওদের কাছে না গেলে বুঝতেই পারবেন না। আপনি না হয় ডিজাইনার। একটা ডিজাইন করে ফেলেছেন। এখন যদি ভাল করে না দেখেন তাহলে কি চলবে?
রং সচেতনতা
আমার বড় দুই বোন। ওরা সব সময় একই রঙের জিনিস এক সাথে পড়তো। আমি ছোট ছিলাম তাই হা… করে তাকিয়ে থাকতাম। কানের, নাকের, গলার গহনা, হাতের চুরি, জামা, ওড়না এমন কি জুতার মধ্যেও নাকি একই রকমে রঙের ডিজাইন প্রয়োজন। মার্কেটে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায় মিলানো যায় না সহজে। ইদানিং কালের ভাল ভাল ওয়েব ডিজাইনারদের মাঝেও এই বেপারটা দেখতেছি। প্রতিটি ডিজাইনের লগো, আইকন, ফেভিকন, থিমের ডিজাইন, কনটেন্ট ও ফন্টের রঙের মাঝে বেশ একটা রঙের মিল। মনে হয় এটা ওই সব মেয়েদের কাছ থেকেই শিখেছে ওরা।
সামাজিকতা
নতুন এলাকাতে গেলাম কিছু দিন আগে। আমার বোনেরা আসে পাসের অন্যান্য মেয়েদের সাথে বেশ ভাল এক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলেছে। আমি কারো সাথে পরিচিত হতেই পারি নি। পরীক্ষার হলে ম্যাডাম গার্ড দিতে এলে আমার বিরক্তের অন্ত ছিল না। আমি জানি ..মেয়েরা একটু বেশি-ই বক বক করে।আজ কাল মোবাইল ফোনে মেয়েরা মিস কল দিয়ে দিয়ে ছেলেদেরা টাকা শেষ করে শুধু ওদের বক বক স্বাধ মিটায়।
কিন্তু এই বেশি বেশি বক বক করাটা নাকি আজ কাল নেটওয়ার্কিং এর জন্য ভাল। ফেসবুক টুইটার,ম্যাসেঞ্জারে সারাদিন বক বক করে নাকি আনেক লাভ হয়। অনলাইনের একটা ধন্দাও নাকি এর মধ্যে লুকিয়ে থাকে.. কি ভয়ানক!!!
গুছিয়ে রাখা

দশ বছরের ব্যাচেলর জীবনে কখনো গুছিয়ে থাকি নি। সে দিন খালাম্মা বেড়াতে এলো । আমরা তো আমাদের মতোই সব কিছু এলো মেলো রাখি। অপরিস্কার জীবনটাই আমাদের স্বাভাবিকতা। কয়েক ঘন্টার মধ্যে খালাম্মা আমাদের ঘরের চেহারাটাই পাল্টে দিল।
ওয়েব ডিজাইনারদেরও নাকি গুছিয়ে রাখতে হয়। সিএসএস এর বক্স বানিয়ে বানিয়ে কনটেন্টগুলোকে ভাজ ভাজ করে রাখা খুব দরকারী। আরএই কাজ টা করতে পারলেই তো ওয়েব ডিজাইনের ৯০ ভাগ শেখা হয়ে যায়।
দামাদামি
বাজারে ইদানিং মেয়েদের আনাগোনা বেড়েছে। কারন ছেলেরা নাকি ভাল জিনিস পছন্দও করতে পারে না, বেশি দাম দিয়ে কিনে ফেলে। দোকানদাররাও জানে মেয়েরা অনেক দামাদামি করে।
কয়েক জনের ওয়েব বানিয়ে দেওয়ার অফার পেলাম, কিন্তু আমি দামের বেপারে কিছুই বলি নি। “ঠিক আছে বানিয়ে দেব টাকা পয়সার বেপারে কিছু বলতে হবে না।” কাজ শেষে যা দিল-তা রীতি মতো অপমানজনক। তাই মেয়েদের কাছ থেকে দামাদামিটা শিখেই নিতে হবে -ভাবছি।
ক্রিয়েটিভিটি

মেয়েরা কি ক্রিয়েটিভ? আমার অফিসের বন্ধু বলে-”মেয়েদের মাঝে নাকি ক্রিয়েটিভ কিছু নাই” কিন্তু কয়েকটা বান্ধবীর ক্লাস হ্যান্ড নোট দেখে মনে হলো একটু বেশিই ইউনিক। যাই হোক। বেশ কিছু ইউনিক আইডিয়া পেতে মেয়েদের কাছে গেলে আসুবিধা কোথায়?
ভাবছি কোন একটি ডিজাইনের কাজ শেষ করার আগে কোন এক মেয়ে মানুষকে সমালোচনা করার জন্য দিব। … বেপারটা কি একটু বাড়াবাড়ি নাকি?
তাহলে আজ মনের স্বাদ মিটিয়ে মেয়েদের বিরুদ্ধে বললাম। সমালোচনা করতে ভুলে গেলে চলবে না।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×