somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিলখানা ট্র্যাজেডি: বিদ্রোহের কারণ নিয়ে আজো সংশয়

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিডিআর ট্র্যাজেডির কথা আজো আমি ভুলতে পারিনি। ২৫ জানুয়ারী ২০০৯ সাল। আমি তখন চট্টগ্রাম থাকতাম। মিয়ার বাপের মসজিদের পূর্ব পাশে সালাম বিল্ডিংয়ে ছিল আমার বাসা। চট্টগ্রাম কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে নিয়ে অনার্সে পড়ছি। বিকাল বেলায় হাঁটতে বের হলাম। গোধূলি বেলার মিষ্টি সমীরন আমার গায়ের উপর গড়াগড়ি খাচ্ছিল। মনটা বেশ প্রফুল্ল। মাগরিবের নামাজ পড়ে বাসায় ফিরছিলাম। হঠাৎ চারিদিকে একটা শোরগোল শুনতে পেলাম। মানুষের ভেতর একটা উত্তেজনাকর পরিবেশ লক্ষ্য করলাম। সবাই এদিক সেদিক যে যার মতো করে ছোটাছুটি করছে। সবাই খবর দেখার জন্য টিভির দিকে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। আমি ও এগিয়ে গেলাম খবর দেখতে। টিভিতে খবর পড়ছে রিপোর্টার। ঢাকার পিলখানায় বিডিয়ার জওয়ান কর্তৃক বিদ্রোহের সূচনা। চারিদিকে গুলির বিকট আওয়াজ। মুখোশ পরা জওয়ানরা হাতে বন্দুক নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করছে। সাথে সাথে মানুষের ভেতর মিশ্র পতিক্রিয়া ল্য করলাম। কেউ বলছে বিডিয়ারের বহু দিনের ক্ষোভ থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছে অপারেশন ডাল-ভাত কর্মসূচীর কথা। ‍‌‌‌এই সাত বছরে বাহিনীর নিজস্ব আদালতে বিদ্রোহের বিচার শেষ হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার বিচার নিম্ন আদালতে শেষ হয়েছে। এখন উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্সের শুনানি চলছে। বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মামলার বিচার চলছে নিম্ন আদালতে। তারপরও এ বিদ্রোহের নেপথ্য কারণ নিয়ে নানা প্রশ্ন ও সংশয় রয়েছে। মামলার রায়ে বিদ্রোহের কারণ সম্পর্কে জওয়ানদের ক্ষোভের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে নিহতদের পরিবারগুলোর দাবি, নেপথ্য কারণ শুধু ক্ষোভ নয়, আরও কিছু থাকতে পারে। তারা মনে করছে, মূল পরিকল্পনাকারী এখনো চিহ্নিত হয়নি-সূত্র. ২৫ ফেব্রুয়ারী দৈনিক প্রথম আলো, ২০১৬।
এই তো গেল সেদিনের কথা। উপরের আবরণ মাত্র। সব বস্তুরই উপরে এক, বাহিরে আরেক রকম অবস্থা থাকে। মাকাল ফলের কথাই দরুণ। ফলটি উপরের দিকে দেখতে খুব সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন। কিন্তু ভেতরে বিচ্ছরি রকমের একটা দুর্গন্ধ আর তিতে। ধীরে ধীরে দিনের আলোর মত সবকিছু স্পষ্ট হতে লাগল। অনেক কিছূ আজ আমাদের সামনে স্পষ্ট আবার অনেক ঘটনার এখনো কোন রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। যার ফলে আমাদের ইতিহাসের পাতায় জন্ম নিয়েছে অনেক প্রশ্নের। তা পুরোপুরি স্পষ্ট না হলে ও সেদিনের ঘটনার দুই ঘন্টা পর ও কেন সেখানে কোন সেনাবাহিনী প্রেরণ করা হয়নি। সে উত্তর জাতির কাছে আজও অজানা। তবে সময় সুযোগ মত থলের বিড়াল ঠিকই বেরিয়ে আসবে জাতির সামনে।
এবার আসি মূল ঘটনার দিকে। বিডিয়ার সপ্তাহ পালনের আনুষ্ঠানিকতার দ্বিতীয় দিন সকাল ৯টা ৫মিনিট। বিডিয়ারের চৌকস ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল দরবার হলে প্রবেশ করেন। বিডিয়ারের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম সুললিত কন্ঠে কোরআন তেলাওয়াত করেন। এরপর ডিজি সবাইকে সম্ভাষণ জানিয়ে বক্তব্য দিলেন। এরপর তিনি ’অপারেশন ডাল-ভাত’ কার্যক্রম প্রসঙ্গ তোলেন। শাকিল জানতে চান, ডাল-ভাতের দৈনিক ভাতা সৈনিকরা ঠিকমত পেয়েছে কিনা। সৈনিকরা বললো না পাইনি। এরপর ডিজি বলেন, ’২০০৮ সালে আপনাদের শৃঙ্খলা ভাল ছিল না। অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে।’ ডিজির এ বক্তব্য সৈনিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী করে। তবু ও সবকিছু ঠিকঠাক মত চলছিল। কিন্তু হঠাৎ বদলে গেল সব দৃশ্যপট। তখন সকাল সাড়ে নয়টা। ১৩ ব্যাটালিয়নের সিপাহি মাঈন অস্ত্র হাতে ডিজির দিকে তাক করে। সঙ্গে সঙ্গে দরবার হলে হট্টগোল শুরু হয়। এভাবেই শুরু হয় ঘটনার সূত্রপাত। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী একটি গ্র“প কাজ করে। ঘটনা সামনের দিকে যেতে থাকে। ১৫-২০ মিনিট পর দরবার হলের পূর্ব-দক্ষিণ কোণ থেকে গুলির আওয়াজ আসতে থাকে। ডিজি চেয়েছিলেন সবকিছু স্বাভাবিক করতে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। সেখানে উপস্থিত অফিসারেরা সেটা আঁচ করতে পারেনি। (বাংলাদেশ প্রতিদিন ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১২)।
যার ফলে পরিণতি হয়েছে প্রচন্ড ভয়াবহ। ইতিহাসে সংযোজন হয় কলঙ্গজনজক এক অধ্যায়ের। একে একে ঝরে পড়ে জন ৭৪টি তাজা প্রাণ। এর মধ্যে ছিল ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা। এ রক্তের দাগ কোনদিন শুকাবে না। জাতি ভুলবেনা তাদের ত্যাগের কথা। তাঁদেরকে হারানোর পর যে ত আমাদের কলিজায় সৃষ্টি হয়েছে তা ভাল হবার নয় কোন অত্যাধুনিক ঔষুধেও। এভাবে যুগ যুগ অবধি সম্মানিত অফিসারেরা আমাদের অস্তিত্ত্বের মাঝে মিশে থাকবেন। তাদেরতো কোনো দোষ ছিল না। আমরা কখনো তাঁদেরকে ভুলতে পারবো না। যে তি আমাদের স্বধীনতা যুদ্ধের সময় ও হয়নি ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সে তি আমাদের হল ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারীতে। এ বেদনা কোথায় রাখি। এ ত কি দিয়ে ঢাকি।
ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল তখনো সমাধানের পথ খুঁজছেন। আর চেষ্টা করছেন কিভাবে এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়। এক পর্যায়ে তিনি কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর (এসএম) নুরুল ইসলামকে বলেন, ‘সৈনিকদের এ রকম ক্ষোভ আছে আপনি তো কোন দিন একবারও বলেননি !’ তখন কেউ একজন ডিজিকে বলেন, ‘স্যার গাড়ি লাগানো আছে আপনি চলে যান’ ডিজি বলেন, ‘আমি কোথায় যাব এবং কেন যাব?’। (বাংলাদেশ প্রতিদিন ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১২)।
ঘড়ির কাঁটায় তখন ১০টা ২০ মিনিট। সিপাহী সেলিম মাইকে কর্মকর্তাদের বেরিয়ে আসতে বলেন। সেলিম বলেন, ‘কাম, ওয়ান বাই ওয়ান’। এরপর ডিজিকে কোণায় একটি চেয়ারে বসানো হলো। অন্যরা সবাই ডিজির গা ঘেঁষে দাঁড়ালেন। ডিজি শাকিল বললেন, ‘তোমরা মৃত্যুকে কেন ভয় পাচ্ছ? মরতে তো একদিন হবেই।’ কর্মকর্তারা বলেন, ‘স্যার আপনার সেফটির দরকার আছে।’ ডিজি তখন বললেন, ‘র‌্যাব বা সেনাবাহিনী কেউ এখনো আসলো না!’ সময় ঘড়িয়ে চলে। এরপর বিদ্রোহীরা হ্যান্ডমাইকে বলছিল, ‘ভেতরে কেউ থাকলে বাইরে বের হয়ে আসেন’ এরপর একে একে ডিজিসহ অন্য কর্মকর্তারা পর্দা সরিয়ে বাইরে আসেন। মঞ্চের নিচে নেমেই কর্মকর্তারা ডিজি শকিলকে মধ্য রেখে গোল হয়ে দাঁড়ান। এসময় একজন সৈনিক চিৎকার করে বলে, ‘শুয়োরের বাচ্চারা, সারা জীবন আমাদের সিঙ্গেল লাইন করে হাঁটিয়েছ, আর নিজেরা গোল হয়ে দাঁড়িয়েছিস!’ লাইনে ডিজি সবার সামনে দাঁড়ালেন। এরপর কিছুটা জ্যোষ্ঠতা মানার মতো সবাই লাইনে দাঁড়ালেন। নির্মম, নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের শিকার হতে এগিয়ে গেলেন দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তারা। এরপর বিশ্ববাসী দেখল এক নিষ্ঠুর বর্বর অধ্যায়। (বাংলাদেশ প্রতিদিন ২৫ ফেব্রƒয়ারী ২০১২)।
সেদিনের খুনিদের হাতে শাহাদাত বরণ করেছিলেন ৭৪ জন। এর মধ্যে ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা, ১ জন সৈনিক, ৮ জন বিডিয়ার সদস্য ও ৮ জন বেসামরিক ব্যাক্তি। সর্বমোট ১৮৩৭৬ জনের বিরূদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে এবং নৃশংস হত্যা, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক-সংক্রান্ত অভিযোগ আনা হয়েছে ৮৫০ জনের বিরূদ্ধে। যার মধ্যে ২২ বেসামরিক ব্যাক্তি ও ১ জন আনসার রয়েছে। যার বিচার চলছে আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন অস্থায়ীভাবে স্থাপিত আদালতে। স্বাীর বিবরনীতে ভেসে উঠছে মর্মন্তুদ নোমহর্ষক নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতা। কিন্তু কেন এই নৃশংসতা? (বাংলাদেশ প্রতিদিন ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১২)।
এরপর ডিজি শাকিলের বাসায় হানা দেয় বিদ্রোহীরা। তাঁর সুন্দরী স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে তাকে নৃশংস নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। বাসায় বেড়াতে আসা আত্নীয় অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল দেলোয়ার ও তার স্ত্রীকে বাসার ভেতরেই হত্যা করে বিডিয়ার জওয়ানরা। (দৈনিক সংগ্রাম ২৫ জানুয়ারী)।
আসলে দিনের শুরূতে পিলখানার ভেতর কি ঘটেছিল তা বাইরে থেকে কেউ উপলব্ধি করতে পারেনি। উপরন্তু অনেক অসংলগ্ন তথ্য ও গুজব ভেতরের আসল রূপটাকে ঢেকে রেখেছিল। হত্যা, ষড়যন্ত্র ও শক্তির মাধ্যমে মতা দখল আমাদের মত উন্নয়নশীল তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বেশি পরিলতি হয়। পিলখানা হত্যাকান্ড তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
বিডিয়ার বিদ্রোহের তিন বছর অতিবাহিত হলেও এখনও বিদ্রোহের প্রকৃত কারণসহ অনেক তথ্যই অজানা রয়ে গেছে। থেকে গেছে রহস্যের আঁড়ালে। বহুবার তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার সম্ভাব্য সময় নিয়ে এবং সরকারের প থেকে বারবার তাগাদা দিয়ে ২০১০ সালের ১৩ জুলাই তদন্ত সংস্থা সিআইডি ৮২৪ জনের নামে মামলার তদন্ত রিপোর্ট দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও সেনাবাহিনীর তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। ফলে বিডিয়ার বিদ্রোহের নেপথ্য কারণ ও উদ্দেশ্য নিয়ে আজও হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ছিল একটি ঐতিহ্যবাহী সুশৃঙ্খল বাহিনী। দেশের সীমান্ত রায় অতন্দ্রপ্রহরী এই বাহিনীর ঐতিহ্য ২১৪ বছরের। গত ২০০৯ সালে মাত্র একদিনের মর্মান্তিক ট্রাজেডিতে তাদের প্রায় সোয়া দুই শতাব্দীর ঐতিহ্য ধুলায় মিশে যায়।
বেঁচে আসা সেনা কর্মকর্তাদের বক্তব্য থেকে জানা যায়, বিদ্রোহের শুরুতে তৎকালীন ডিজি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। ডিজি প্রধানমন্ত্রীকে সেনাবাহিনী পাঠাতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তার এ অনুরোধের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। ঘটনার প্রথমদিন দুপুরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামীলীগ নেতা মির্জা আজম পতাকা হাতে পিলখানায় যান। সরকারি আলোচক ১১০ মিনিট কথা বলেন ডিএডি তৌহিদের সাথে। নানকের স্কুল জীবনের সহপাঠী ডিএডি তৌহিদের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসে। ওই বৈঠকে শেখ হাসিনা বিডিআর জওয়ানদের সাধারণ মা ঘোষণা করেন। (দৈনিক সংগ্রাম ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১২)।
বিডিআর বিদ্রোহের তিন বছর উপলে আমাদের দেশের রাজনৈতি নেতাদের মধ্যে পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে ল করা গেছে। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিডিআর হত্যাকান্ডকে সুদূরপ্রসারী নীলনকশা ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ ২৫ ফেব্রুয়ারী শোক দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। সুবিদ আলী ভূঁইয়ার মতে, ‘মুক্তিযুদ্ধেও এত অফিসার মারা যায়নি’ আওয়ামীলীগের কথা বেশি বলার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহ্বুব উল্ আলম হানিফ বলেছেন, ‘বিরোধী দলীয় নেত্রীর জবাবেই জানা যাবে বিদ্রোহের কারণ।’ আজব দেশে আরও কত বেফাঁস মন্তব্য যে শুনতে হবে আল্লাহ ভালো জানেন। মুখ থাকলেই যে যেমন খুশি তেমন বলা যায়; হানিফের বক্তব্য না শুনলে বুঝা যাবে না। যাক সে কথা। তবে আমার কাছে প্রবীন রাজনীতিবিদ সুবিদ আলী ভুঁইয়ার বক্তব্যকে যথোপযুক্ত বলে মনে হয়েছে। আসলে মুক্তিযুদ্ধেও আমাদের এতগুলো সেনা অফিসার এক সঙ্গে মারা যায়নি। শুধু আমাদের দেশ কেন পৃথিবীর কোন দেশে একসঙ্গে এত সেনা অফিসার মারা গেছে বলে আমার হয় না। তবে এ হত্যাকান্ডকে শুধু আবেগ দিয়ে মূল্যায়ন করলে চলবে না। ভবিষ্যতে যাতে এ রকম ঘটনা না ঘটে তার জন্য গবেষণা করে বের করে আনা প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট ত্রুটিসমূহ।
হে আল্লাহ, নিহত সকল সেনা কর্মকর্তাদের মাফ করে দাও। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে সকল ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত থেকে নিরাপদ রাখো। এ দেশের সকল নাগরিককে সুখ, শান্তি আর নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করো।

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠিক কোন বিষয়টা মৌলবাদী পুরুষরা শান্তি মত মানতে পারে???"

লিখেছেন লেখার খাতা, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭


ছবি - গুগল।


ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম এখন আর শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়, রোজগার এর একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্মও। একটু স্মার্ট এবং ব্রেন থাকলে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম থেকে রোজগার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×