somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্রেকিং নিউজ-ইতিহাসে তৃতীয় বিদেশী নাগরিক হিসেবে ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার "ভারতরত্ন" পাচ্ছেন বাংলাদেশের জলমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান।:D:D

২১ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বহু আকাংক্ষিত সেই "ভারতরত্ন" পদক।

প্রথমেই সংক্ষেপে বলা বাহুল্য, "ভারতরত্ন" (ইংরেজি অনুবাদে জুয়েল অফ ইন্ডিয়া বা জেম অফ ইন্ডিয়া) হল ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার। জাতীয় সেবার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি হিসেবে ভারতরত্ন প্রদান করা হয়। ভারতরত্ন প্রাপকগণ ভারতীয় মানক্রমে বিশেষ স্থানের অধিকারী। বাংলাদেশের ভারতরত্নের পদকটি অশ্বত্থ পাতার আদলে নির্মিত। এর একদিকে দেবনাগরী লিপিতে “ভারত রত্ন” কথাটি লিখিত, অপর দিকে জাতীয় প্রতীক ও নীতিবাক্যটি খচিত।

অদ্যাবধি ৪২ জন ব্যক্তি এই সম্মান পেয়েছেন। যার মধ্য মাত্র দুজন অ-ভারতীয় বিশ্বের অত্যন্ত মর্যাদাকর এই পুরস্কার পান, তারা হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা (সাউথ আফ্রিকা) এবং আবদুল গফফর(পাকিস্তান)। আর জলমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান হবেন তৃতীয় মহান সম্মানিত ব্যক্তি যিনি এই বিরল সম্মানের অধিকারী হচ্ছেন।


গফফর-ম্যান্ডেলা-মাহবুব

কিন্তু কেন এই পুরস্কার? তাও বাংলাদেশের মত দুর্বল একটি গরিব দেশের একজন মন্ত্রীকে? ঐ যে আপনাদের আগেই বলেছি, মূলত ভারতরত্ন পুরস্কার দেয়া হয় ভারত মাতার সেবার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি হিসেবে। কিন্তু জনাব মাহবুব কি এমন সেবা করে ফেলেছেন যে তাকে এই মহামূল্যবান পুরস্কার দেয়া হবে?

যেখানে ভারতের মণিপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং টিপাইমুখে ড্যাম বা বাধ দেয়ার কাজ উদ্ভোদন করতে এসে রাজ্যের জনগণের রোষানলে পড়েছিলেন ২০০৬ সালে সেখানে আরেকটি রাজ্য(বাংলাদেশের) একজন মন্ত্রী বলছেন টিপাইমুখে তিনি কোন সমস্যা দেখছেন না। যেখানে ভারতের স্থানীয় অধিবাসীরা নব্বই দশক থেকেই বলে আসছেন, এই প্রকল্প হলে বিরাট এলাকা জলমগ্ন হবে। তাদের বাসস্থান, জমিজিরাত এবং বিশেষ করে তাদের ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি হ্রদ হারাতে হবে। ৬০টি গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার লোক তাদের পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের শিকার হবেন। ২০০৬ সালে ভারতীয় পরিবেশবাদীদের দ্বারা সমর্থিত দুই ডজনেরও বেশি উপজাতি গোষ্ঠী টিপাইমুখে ড্যাম নির্মাণ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মণিপুর জুড়ে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছিল। ড্যাম নির্মাণের বিরুদ্ধে গঠিত অ্যাকশন কমিটির অবস্থান হচ্ছে- ভূমির সঙ্গে উপজাতিদের জীবন, সংস্কৃতি এবং বাঁচা-মরা সম্পর্কিত। এর বিনাশ সাধন করে তারা কিছুতেই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দিতে পারে না। প্রয়োজনে তারা তা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে। আর সেখানে বাংলাদেশের জলমন্ত্রী মাহবুবুর কেন্দ্রীয় ভারত সরকারে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন।

ভারতে আন্দোলনরত উপজাতি গোষ্ঠীগুলো আরও মনে করে, দিল্লি এই বাঁধ দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ মণিপুরের উন্নয়নেও কাজে লাগাবে না। এমনকি প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাজ করাতেও ভারতের অন্য প্রদেশের লোকবল ব্যবহার করবে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এনএইচপিসি রাজ্যের বাইরে চড়া দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করবে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজ্য সরকার এবং তার মন্ত্রীগণ আশা করছেন এই বাধ থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে বাংলাদেশ রাজ্য হবে আলোকিত ডিজিটাল বাংলাদেশ।

আর ভারতের এই মহান কাজে দুষ্ট লোকের কথায় কান না দিয়ে বাংলাদেশের জলমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান বাধের পক্ষে নিজেদের ক্ষতি জেনেও যে অনমনীয় অবস্থান নিয়েছেন সেটা কেন্দ্রীয় ভারত সরকারকে করেছে উৎসাহিত অনুপ্রানিত দু ভাবে। প্রথমত বাধ মেরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে করবে জমজমাট ব্যাবসা আর অন্যদিকে এমন কিছু মন্ত্রী থাকলে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে আর বেশী সময় লাগবেনা।

আমার আজকে এই খবর শোনার পর খুব আনন্দে হচ্ছে। আনন্দে সন্ধ্যা থেকে গাচ্চি আমার প্রিয় সঙ্গীত, প্রানের সঙ্গীত, কবিগুরুর অমর সৃষ্টি..........

জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ(বাংলাদেশ)
বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা উচ্ছলজলধিতরঙ্গ
তব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিষ মাগে,
গাহে তব জয়গাথা।
জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে।।


জয় হিন্দ..ভারত ম্যাতাকি জয়।


ঐতিহাসিক সেই সাক্ষাৎকার, যার কারনে আজ এই মুল্যবান পদক বাংলাদেশে।
৩৭টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রফেসদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×