ইন্ডিয়ান সিনেমা বাংলাদেশের সিনেমা হলে চলতে বাধাদানকারী কুচক্রি মহলের কালো হাত গুঁড়িয়ে দিন।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৩৮ বছর!! এতদিন অপেক্ষা!! আমার বাবাটাও মারা গেল স্বপ্ন পুরন হবার আগেই। অবশ্য বাবা এখন স্বর্গে বসে ভাববেন, আমার স্বপ্ন পুরন না হলে কি হবে আমার ছেলে-মেয়ে-নাতিদের স্বপ্নতো পুরন হল। হুম ৩৮ বছর পর আমার বাবার স্বপ্ন পুরন হতে চলেছে। বাবা বলেছিল দেখবি তোকে একদিন আর কষ্ট করে ভারত যেতে হবেনা বড় পর্দায় ভারতীয় সিনেমা দেখতে, এখানেই চলে আসবে সেটা। অবশেষে অন্তরে প্রশান্তি নিয়ে এল সেই মহেন্দ্রক্ষন।
কলকাতার স্বপন সাহা পরিচালিত এবং টালিগঞ্জের সুপারস্টার জিৎ, বর্ষা ও দিপঙ্কর দে অভিনীত ‘জোর’ ছবিটি মুক্তির মাধ্যমে আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে প্রায় দুই যুগ পর বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে শুরু হচ্ছে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন শুরু থেকেই ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বিরোধিতা করে আসছে। কিন্তু এসব দুষ্ট লোকের আন্দোলনে আজকে জল ঢেলে দিয়েছে মহামান্য হাইকোর্ট।
ভারতীয় সিনেমা চালানো হলে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে মহামান্য হাইকোর্ট এর আদেশঃ
বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট ভারতীয় ছবি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি না করতে বা আন্দোলন না করতে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে নির্দেশ দেয়। আদালত তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, পুলিশ কমিশনার এবং বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের উদ্দেশ্যেও এ বিষয়ে নোটিশ জারি করে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মনীতি মেনেই আমদানিকারকেরা ভারতীয় ছবি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ আইনসম্মত নয়। আমদানিকৃত ছবি প্রদর্শনের বিষয়ে প্রদর্শক ও সিনেমা হলগুলোর প্রযোজনীয় নিরাপত্তা প্রদান নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেয় আদালত।
খুব শান্তি পেলাম মনে। মহান বিজয়ের মাসে বাংলাদেশে বসেই সিনেমা দেখবো ভাবতেই আবেগে আমার কাশি এসে গেল।
ক্ষেদোক্তিঃ এ ধরনের সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছে তারা আর যাই হোক দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে হয় না। এদের কাছে দেশ বড় না এদের ব্যবসা বড়। এরা মুক্তিযদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির নামে প্রকারান্তরে মুক্তিযুদ্ধকে প্রতিনিয়ত করছে ধর্ষন। যেখানে আমাদের একটি চ্যানেল ও ভারতে প্রচারের অনুমতি দেয় না তাদের নিজেদের স্বার্থের কথা এবং তাদের সংস্কৃতির ক্ষতি হবে বলে সেখানে আমাদের দেশের মানুষ তারতীয় চ্যানেলে বুদ হয়ে থাকে সারাক্ষন। আমাদের প্রতিটি ঘরে ঘরে ভারতীয় অপসংস্কৃতির ছোয়ায় আচ্ছন্ন, এমন কি আমাদের শিশুরা পর্যন্ত ভারতীয় বিভিন্ন চ্যানেলের প্রতি মোহবিস্ট হয়ে থাকে। এটা বাংলাদেশের জন্য শুধু লজ্জারই নয় চরম হতাশার। বাকি আছে আমাদের রুগ্ন প্রায় চলচ্চিত্র এখন তাকেও ধ্বংস করার পরিকল্পনা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্তের প্রতি চরম ঘৃনা জানাচ্ছি। আসুন আমরা সবাই দেশীয় সংস্কৃতিকে ভালবাসি,আর এ ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই।
২৪টি মন্তব্য ১১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ব্যাড গাই গুড গাই
নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন
টান
কোথাও স্বস্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকাতে ছুটির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছবি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বাড়ে গতিবেগ
ভাবনাদের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্বস্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজলে ঢেউ এসে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্পতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী
স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ
১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন
অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি
অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?
যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন