একথা সবাই স্বীকার করে যে, কেবল শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেই কাউকে পুরোপুরি সুস্থ বলা যায় না। বরং যে ব্যক্তি শরীর ও মন উভয় দিক থেকে সুস্থ, তাকেই পরিপূর্ণ সুস্থ বলা যাবে। শরীরের সুস্থতার জন্য যেমন বিভিন্ন ঔষধ-পথ্য খেতে হয় তেমনি মনের সুস্থতার জন্য যাবতীয় মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়। মিথ্যাবাদিতা, কপটতা, ছিদ্রান্বেষণ বা অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানো, পরশ্রীকাতরতা, গর্ব-অহংকার, ক্রোধ, ওয়াদার খেলাপ, বিশ্বাসঘাতকতা, ঝগড়া-বিবাদ, লোভ-লালসা প্রভৃতি বদগুণ মানুষকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তোলে। তাই সুস্থ থাকার প্রয়োজনেই এসব বদগুণ থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে চেষ্টা চালাতে হবে। মানব চরিত্রের খারাপ গুণগুলোর মধ্যে লোভ-লালসা একটি মারাত্মক গুণ। মুলত লোভের কারণেই মানুষ মিথ্যা বলে, বিশ্বাসঘাতকতা করে, ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়; এমনকি ওয়াদার খেলাপ করে।
'লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু' এই প্রবাদটি কম বেশী সবাই জানে। এই প্রবাদটি মধ্যেই কিন্তু লোভের ফল ও এর পরিণতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরও অনেক মানুষ লোভ-লালসার কাছে নিজেকে বন্দি করে ফেলে। একজন লোভী ব্যক্তি সমাজের জন্য দুঃখ-কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কেননা লোভী ব্যক্তিরা তাদের লোভের পথে পা বাড়াতে গিয়ে অন্যের ধনসম্পদ অবৈধভাবে দখল করে থাকে। আর একারণেই রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমরা লোভ থেকে বিরত থাকো, কারণ তোমাদের পুর্ববর্তীদের অনেকেই লোভের কারণে ধ্বংস হয়েছে।
লোভ থেকে যে দুঃখ-কষ্টের সৃষ্টি হয় সে সম্পর্কে হযরত আলী ( আঃ) বলেছেন, লোভ পরিহার কর । কেননা লোভী ব্যক্তি অপমানের হাতে বন্দী। তার এ বন্দীদশা কখনও শেষ হবে না। তিনি আরো বলেন, লোভ আত্মাকে অপবিত্র করে, ধর্মকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে এবং যৌবনকে ধ্বংস করে।
পাঠক ! লোভ-লালসা সম্পর্কে আমরা রংধনু আসর থেকে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করেছি।