মেছতা থেকে রেহায় পেতে আপনি এমসিডি করাতে পারেন। চামড়ার স্তরে স্তরে কোষের ভেতর মেলানিন নামক পিগমেন্ট বেশি জমা হয়েই সৃষ্টি হয় মেছতার। মেছতা ৩ ধরনের হয়ে থাকে। ১. এপিডারমাল যা চামড়ার একদম ওপরের স্তরে থাকে। ২. ডারমাল যা থাকে চামড়ার একটু গভীর স্তরে। ৩. মিশ্রিত- ত্বকের ওপর ও নিচ সব স্তরেই থাকে মেলানিনের বিস্তার। মেছতার চিকিৎসায় তাই সর্বপ্রথম প্রয়োজন ত্বকের কোন স্তরে মেলানিন জমে আছে তা নির্ণয় করা। এ উদ্দেশ্যে বিশেষ একটি আলোকরশ্মির প্রক্ষেপণ পরীক্ষা করা হয়, যা উডস ল্যাম্প নামে পরিচিত এবং এতে চামড়ার তলায় কতদূর পর্যন্ত মেলানিন বিস্তৃত আছে তা পরিস্কার ধরা পড়ে। এই উডস ল্যাম্প পরীক্ষা হলো মেছতা চিকিৎসার প্রথম ধাপ এবং এর পরই চিকিৎসার পরবর্তী ধাপ শুরু হয়।দ্বিতীয় ধাপে আসে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সানব্লকের ব্যবহার। মেছতার ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এগুলো ব্যবহার করে যেতে হয়।
আপনার জানা থাকা ভালো, মেছতার চিকিৎসায় উপরোক্ত ধাপগুলো যথাযথভাবে পালন করলে অনেকেরই মেছতার দাগের উন্নতি হয়ে থাকে। তবে এভাবে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে মেছতার চিকিৎসায় উন্নতি ঘটে বেশ ধীরে ধীরে এবং যারা দ্রুত মেছতার উন্নতি চান বা ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে যাদের আশানুরূপ উন্নতি ঘটে না, তাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর ও দ্রুত উন্নতির পদদ্ধতি হলো মাইক্রোডার্মাব্রেশন বা এমসিডি।
এ পদ্ধতির মাধ্যমে ত্বকের সবচেয়ে ওপরের একটি সূক্ষ্ম স্তর সম্পূর্ণ ব্যথাহীন ও রক্তপাতহীনভাবে খসিয়ে ফেলা হয় এবং এরপর ত্বকে ওষুধ প্রয়োগ করলে ওষুধের কার্যকারিতা অবধারিতভাবে বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকভাবে শুধু ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে মেছতার লক্ষণীয় কোনো উন্নতি ঘটতে ৩/৪ মাস সময় লেগে যায়; কিন্তু এমসিডির মাধ্যমে এক মাসের মধ্যেই মেছতার ব্যাপক উন্নতি ঘটে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এক মাসেই শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত নিরাময় ঘটতে দেখা যায়। পরবর্তী এক মাসের মধ্যে বাকিটুকুও সেরে যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। এক্ষেত্রে আপনাদের জানা থাকা প্রয়োজন, এমসিডির মাধ্যমে মেছতার চিকিৎসা লেজার চিকিৎসার চেয়েও কার্যকর, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ও সাশ্রয়ী।
এই এমসিডি পদ্ধতির কোনো রকম ক্ষতি বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তো নেই উপরন্তু এটি ত্বকের সার্বিক উন্নতি সাধন করে ত্বককে ঝকঝকে ও মসৃণ করে তোলে। তাই মেছতার চিকিৎসা ছাড়াও শুধু ৱ্বকের ব্যাপক উল্পম্নতি সাধনের জন্য এমসিডি করা যায়। ৱ্বককে সব রকম মলিনতা থেকে মুক্ত করে একে উজ্জ্বল, মসৃণ ও অনেক ফর্সা করে তোলায় এমসিডির জুড়ি নেই। এমসিডি যদি করাতে চান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করবেন। স্ক্রীন স্পেশালিষ্ট দিয়ে দেখিয়ে করবেন। তাড়াহুড়া কোন কাজ সফলতা বনে আনতে পারে না।
Detailsঃhttp://www.the-editor.net/women/details.php?cat=21
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:২৪