মতামত
একজন লেখকের ভূমিকা
স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। এ উক্তিটি শেখানো হতো আমাদের স্কুলে। কিন্তু স্কুল ব্যাগের ভারে সেই মেরুদণ্ডটি আজ সোজা থাকছে না। সেদিন একজন লেখক বলছিলেন এই কথাগুলি। লেখকরাই এই সমাজের তৃতীয় নয়ন। আবার কিছু কিছু লেখক নামের কলঙ্কও আছেন সমাজে। একজন সত্যিকারের লেখক ছিলেন যিনি শিল্পের জন্য শিল্পতে বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি ছিলেন মানুষের জন্য শিল্প এই নীতিতে বিশ্বাসি। সেই লেখক যখন জীবিত ছিলেন তখন তিনি সমাজের অনেক গুরু দায়িত্ব পালন করেছিলেন। যখন শিক্ষা সামগ্রীর দাম ব্যবসায়িরা বাড়িয়ে দিলেন, কোচিং সেন্টারের দৌরাত্ম বেড়ে যাচ্ছিল সেই দিনগুলোতে লেখক একটি স্বনামধন্য বহুল প্রচারিত দৈনিকে কলাম লিখে তার বিরোধিতা করেছিলেন। জাতির নানা রকম সংকটে সেই বিশেষ লেখকের একটি লেখাই অনুপ্রেরণা জোগাতো বাঁচার আশা নিয়ে যারা বাংলাদেশে বসবাস করছেন তাদের। আর এখন জাতীয়, উপজাতিয় কত ধরণের কত রকমের অধ্যাপক এবং স্বনামধন্য সিন্ডিকেট লেখক আছেন তাদের কলমে এ সময়ের কোন উত্তাপ দেখি না। উনারা জাতির শিক্ষা ও সাহিত্যের উন্নতি কল্পে খালি প্রকল্প আর প্রকল্প করে যাচ্ছেন কিন্তু সাহিত্যের সুবাতাস আর জাতি পাচ্ছে না। একসময় বিদ্যাসাগরের মতো শিক্ষক লেখক ছিলেন বলেই আমরা বাঙালিরা বর্ণপরিচয় শিখতে পেরেছিলাম। আর একসময় সত্যিকারের কিছু লেখক ছিলেন যাঁদের লেখা পড়ে কিছু জ্ঞান অর্জন করে সঠিক পথে জীবন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার শিক্ষা পেয়েছিলাম। আর এখন সমাজে দেশে সব জায়গায় খালি ছদ্মবেশী। এ সমস্ত মুখোশপরা লেখক আর ছদ্মবেশী মানুষের কি বেশী প্রয়োজন আছে সোনার বাংলাদেশে?
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪