somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সৈয়দ মেহেদী হাসান
পেশায় সাংবাদিক। ‘জল পরীর ডানায় ঝাপটা লাগা বাতাস’ (২০১৩), ‘সাদা হাওয়ায় পর্দাপন’ (২০১৫) দুটি কবিতার বই প্রকাশিত। তার লেখা নাটকের মধ্যে ফেরা, তৎকালীন, আদমের সন্তানেরা উল্লেখযোগ্য। লেখালেখির জন্য ২০১৫ সালে হত্যার হুমকি প্রাপ্ত হন।

কুয়াকাটায় পর্যটক হয়রানি বন্ধ হোক, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকুক

১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের প্রতিবাদে খাবার হোটেল বন্ধ করেছে কুয়াকাটার হোটেল ব্যবসায়ীরা। এটি চমৎকার একটি সুসংবাদ। আন্দোলন সংগ্রাম না করলে আসলে ব্যবসায় শঠতামির ফায়দা লোটা অসম্ভব। যেহেতু কুয়াকাটা বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায়। সুতরাং এখানে আমি জীবনে সবচেয়ে বেশিবার গিয়েছি। যতবার গিয়েছি ততবার থাকার ও খাবার হোটেলে প্রতারিত হয়েছি। এজন্য এখন গেলে লেম্বুর চর নয়তো আলীপুরে এসে খাই। শতভাগ ব্যবসায়ি যে টাউট তা কিন্তু নয়। তবে অধিকাংশরা টাউট। কিভাব একটি নমুনা দেই, সর্বশেষ ১৩ ও ১৪ জুলাই কুয়াকাটা অবস্থান করেছি। ওই সময়ে সম্ভবত কোন সরকারি ছুটি চলছিল। কোন হোটেলেই থাকার জন্য রুম খালি ছিল না। কিছু কিছু হোটেলে ছিল। যেসব হোটেলে থাকার জন্য রুম ছিল সেগুলোর ধারণা এমন দু’ মাস আগে যে রুমের ভাড়া দরকষাকষি করে ৪ শ থেকে ৫ শ টাকায় থাকা গেছে সেই রুম একদাম ২ হাজার। এই রুমে একটি পুরানো চৌকি/খাট, তেল চিটচিট বালিশ, গন্ধযুক্ত মশারি আর শরীর দুর্বল একটি ফ্যান পাবেন। আর তুলনামূলক ভালো হোটেলের রুমের ভাড়া নূন্যতম ৪ হাজার টাকা। হোটেল ভেদে এর বেশিও আছে। ১৩ জুলাই রাতে পৌঁছে দেখি হোটেলের বারান্দাও কেউ কেউ জনপ্রতি সাড়ে ৩ শ টাকা করে ভাড়া দিয়েছেন। যে ট্যুরিস্ট স্পটে পর্যটক পেলে ৪ শ টাকার ২ হাজার টাকা হয়ে যায়, যেখানে হোটেলের বারান্দাও ভাড়া দেওয়া হয় সেখানে ব্যবসায়ীরা কেমন হতে পারে আন্দাজ করুন।

আসি খাবারের প্রসঙ্গে। আপনি যদি দরদাম করে না খান তাহলে পকেটের সব টাকা দিয়ে আসতে হবে। পর্যটক কম থাকাকালীন সময়ে এক পিরিচ লাউ ৫০ টাকা। পর্যটক বাড়লে সেই লাউয়ের দাম ৭০ থেকে ১শ টাকায় বিক্রি হয়। ভাবুনতো, ঢাকা শহরে একটি আস্ত লাউ ১০০ টাকার বেশি দিয়ে কেউ হয়তো কিনবেন না। সেখানে এক পিরিচ লাউ সবজি কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকায়। শুটকি ভর্তা বা ভাজি এক প্লেট কিনবেন ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। অথচ শুটকি কিন্তু কুয়াকাটায় তৈরী হয়। আর মাছ, মুরগি বা অন্যান্য তরকারি খেতে বসবেন, এক এক হোটেলে এক এক দাম। কেন রে ভাই? এটাই কি কুয়াকাটার ব্যবসায়ীদের পুঁজি? মানুষের পকেট কাটা? আবারো বলছি, দরাদাম করে না খেতে বসলে বিল যা হবে তা আপনি দিতে পারবেন না। দরদাম করে বসলে যে আপনি জিতবেন তাও কিন্তু নয়। তখন আবার খাবারে পরিমান কম পাবেন। উপকার হচ্ছে, কত টাকা বিল হচ্ছে তার একটি প্রাথমিক ধারণা আপনার মাথায় থাকবে। আর যেসব হোটেল ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করছেন তাদের সকলের হোটেলে মাশাল্লাহ বলে পঁচা, বাসী, বালুযুক্ত খাবার পাবেনই। যতবার গিয়েছি ততবার একই অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছি।

আমি সাধুবাদ জানাই পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনকে, পঁচা-বাসী খাবার পরিবেশেন ঠেকাতে, হোটেল ব্যবসায়ীদের শঠতামি ঠেকাতে অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকুক। কুয়াকাটা পর্যটকদের উপযোগী হোক। সৎ ব্যবসায়ীরা স্বচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করুক। অসৎরা বারবার জরিমানা গুনুক। এই প্রত্যাশা রইলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×