মসজিদে যখন নামাজের পর মা-বাবার নামে দোয়া পড়া হয় “রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বাইয়ানী সগীরা”.... চোখের পানি সংবরণ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।
আজ নারী দিবস।। বিভিন্ন রূপে আবির্ভাব এই নারী প্রত্যেক রূপেই মায়াবতী। তবুও মা রূপই আমার কাছে সর্বপ্রিয় সবার মত।
মা....
মা হচ্ছেন একজন পূর্ণাঙ্গ নারী, যিনি গর্ভধারণ, সন্তানের জন্মতথা সন্তানকে বড় করে তোলেন - তিনিই অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম ও মা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। প্রকৃতিগতভাবে একজন নারী বা মহিলাই সন্তানকে জন্ম দেয়ার অধিকারীনি। পৃথিবীর অধিকাংশ ভাষায়ই "মা"-এর সমার্থক শব্দটি 'ম' ধ্বনি দিয়ে শুরু হয়। গর্ভধারণের ন্যায় জটিল এবং মায়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অবস্থানে থেকে এ সংজ্ঞাটি বিশ্বজনীন গৃহীত হয়েছে। মা শব্দের সমার্থক শব্দ হচ্ছে - জননী, গর্ভধারিণী, আম্মা, আম্মু, আম্মাজান, আম্মী, মাতা ইত্যাদি। সাময়িক মোহ,সাময়িক দামী বা অন্য কিছু হয়ত এ শব্দটির চেয়েও অন্য কোনো শব্দকে খানিকটা প্রিয় করে তোলে, কিন্তু খুব অচিরেই তা বড় ‘ভুল’ হিসেবে চিহ্নিত হয়। মা, মা, এবং মা। প্রিয় এবং মূল্যবান শব্দ একটিই, এবং একটিই মাত্র। শুধু প্রিয় শব্দই নয়, প্রিয় বচন -মা। প্রিয় অনুভূতি -মা। প্রিয় ব্যাক্তি –মা। প্রিয় দেখাশুনা –মা। প্রিয় রান্না -মা। প্রিয় আদর -মা। সব ‘প্রিয়’ গুলোই শুধুমাত্র মাকে কেন্দ্র করেই সব প্রিয় স্মৃতি। কারণ মা-ই পৃথিবীতে একমাত্র ব্যাক্তি যে কিনা নিঃশর্ত ভালবাসা দিয়েই যায় তার সন্তানকে কোন কিছুর বিনিময় ছাড়া। পৃথিবীর ইতিহাসে সন্তানের জন্মদাত্রী হিসেবে প্রাকৃতিকভাবেই মায়ের অবস্থান। মানব সমাজে যেমন মা-এর অবস্থান রয়েছে, পশুর মধ্যেও মাতৃত্ববোধ প্রবল। সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকেই মা, সকল মমতার আধার ও কেন্দ্রবিন্দু।