somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৌনতা পরিহার করি-ইভটিজিং এর প্রতিরোধ গড়ি

৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সৈয়দ রুবেল ৬৯

আজকাল শব্দটা বেশ আলোচিত ইভটিজিং। কিন্তু শব্দটার কিভাবে উৎপত্তি প্রসার এবং কিভাবে আজকের এই মহামারি আকার ধারন করল এর দায়ভার এখনও কেউ স্বীকার করেনি করবেও না জানি। কারন দায় স্বীকার করে আত্মশুদ্ধি করবার ইতিহাস আমাদের জাতীয় জীবনে নেই। অন্তত আমার জানামতে। নাটোরে শিক্ষক ও ফরিদপুরে মাকে হত্যা ঘটনা দুটো মহা সমুদ্রে শৈবাল এর এক ফোটা শিশীর বিন্দু দানের মতো। এ দুটি প্রতিবাদী মানুষে আত্মদানের ফলে শব্দটা বেশ পীড়া দিচ্ছে আমাদেরকে। কিন্তু ইভটিজিং এর ভুক্তভোগী এবং প্রতিনিয়ত ইভটিজিং এর স্বীকার অগনিত পরিবারের কন্যা সন্তান নিয়ে উৎকন্ঠা ও রুর্দ্ধশ্বাষে জীবন যাপন এর চিত্র আর বেশি ভয়াবহ। একটু পরালোচনা না করে পারিনা। বছর কয়েক আগের কথা জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষীকা তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন-সহপাঠিদের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠা দোষের কিছু নয়। এ উদার ভাষ্য শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এক শ্রেনীর উদারপন্থী তরুন-তরুনী উক্ত উদার কাজের মহাউৎসব শুরু করে দিল। যার ফলে ক্যাম্পাসে দেয়ালের এপাশে-ওপাশে ইন্টারনেট ক্যাফেতে কিছু শিক্ষিত লোকের এসকল উদার কাজ দেখে ইস্কু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভে বঞ্চিত কিছু লোক উদারপন্থী হবার মানষে ইভটিজিংকে বেছে নেয়। যেহেতু তারা অশিক্ষিত সেহেতু উদার কাজের প্রকাশ ভঙ্গী শিক্ষিত উদার লোকের চাইতে ভিন্ন হওয়াটা স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে তাদের উদার কাজে বাধাদানকারী ব্যাক্তিকে হত্যা করা নেহায়েত একটা স্বাভাবিক ব্যপার উনাদের উদারতার মাপকাঠিতে। এতো গেল কিছু শিক্ষিত উদার লোকের কর্মফল। এর পর আসে আকাশ সংষ্কৃতির জয়-জয়কার। ইনটানেটে অশ্লীল ভিডিও দর্শন। মোবাইল ফোনে অশ্লিল ছবির আদান-প্রদান। অশ্লীল সিডির সহজলভ্যতা। চলচিত্র্রে অশ্লীলতা। পাবলিক পার্ক ও সিনেমাহল গুলোতে শালীনতা বোধের চরম অবনতি। নাটক-সিরিয়ালে প্রেম নিবেদনের নিত্য নতুন কৌশল ইভটিজিং এ নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করছে। এছাড়াও পারিবারি ও সামাজিক মূল্যেবোধ এর অভাব। গনসচেতনতা এবং ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলনের অভাব প্রাশাসন এর নিরব ভূমিকাই মুলত দায়ী। এ সমস্যা সমাধানে কয়েকটি টকশো এর আয়োজন এবং হাটা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে কিছুটা পথ বিক্ষোভ মিছিল করে দায় এড়ানো যাবে? যাবে না। প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ সামাজিক প্রতিরোধ আন্দোলন এবং ব্যপক গনসচেতনতা।
বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদ হয়তো আরো মৃত্যূর কারন হতে পারে। আমাদের রয়েছে ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম এর মতো ঐক্যবব্ধ আন্দলনের সমৃদ্ধ ইতিহাস। আসুন এ সমৃদ্ধ ইতিহাসকে স্বরন করে ইভটিজিং, ধর্ষন, এসিড নিক্ষেপ, নারী নির্যাতন এর মতো সামাজিক ব্যাধিগুলোর বিরুদ্ধে আর একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলি। আর যদি বলি ধর্মীয় অনুশাসন এর চর্চা এ সকল সামাজিক ব্যাধি উপশমের প্রধান নিয়ামক তাহলে আবার মৌলবাদী হবার ভয় আছে। তাই এ বিষয়ে গুরত্ব দেয়া থেকে বিরত থাকলাম। ভয় এবং গা বাঁচিয়ে চলার কারনে আমরা দিন দিন হয়ে পরছি মৌনবাদী। মানে সৎ কাজের মৌন সম্মতি খারাব কাজের মৌন বিরোধীতা। এই মৌনতাই হচ্ছে সামাজিক আন্দোলনের পথে প্রথম বাধা। তাই আসুন মৌনতা পরিহার করি ইভটিজিং এর প্রতিরোধ গড়ি। আমাদের জতীয় জিবনে উদারপন্থী লোকের শংখ্যা যতো বাড়ছে ক্ষমার ইতিহাস যতো সমৃদ্ধ হচ্ছে সামাজিক অপরাধের ভিত্তিমূল ততই শক্ত হচ্ছে। আমাদের ক্ষমা যেখানে বার বার দূর্বলতা হিসাবেই প্রকাশ পাচ্ছে সেক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের ভাষয় "নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা"। তাই আসুন শপথ গ্রহন করি এই মর্মে যে- আমরা উদারপন্থী হবোনা, আমরা মৌনবাদী হবোনা, টকশোবাঁজ ও সেমিনার সূশীল? হবোনা। আমরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব সমূহ নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজ নিজ পেশা থেকে যথাযথ ভাবে পালন করব।












সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×