সাইদ র'মান
আমরা কখনোই বলতে পারিনা যে, লোকটি কবি ছিল।
মহাকালের চাঁদ বলে দেবে এই কক্ষপথে কে কার নক্ষত্র - বলে দেবে জলের ঘূর্ণির মতো গভীরতা।
সুমন প্রবাহনের মৃত্যুর পর আমরা বুঝতে পারি লোকটি কবি ছিল,কাঙালও। যে নিজের সাথে কথা বলতে বলতে সত্তার অপর অংশে নিমজ্জমান, বাস্তব নির্ঘন্টে যার কথা বলা...
আমরা যারা দৈনন্দিন। চিন্তাশূন্য। সবসময়ই বর্ম খুলে রাখি। আমরা যারা জন্ডিস- গ্যাস্টিক; আলসার নিয়ে কথা বলি- আতঙ্কিত হই শরীরের তাপমাত্রা একটু বেড়ে গেলেই। অথবা প্রেসার।
এসবের উর্ধ্বে উঠে বর্ম পরে নেয় সুমন প্রবাহন -
আমরা শুধু ওর বর্মটাই দেখেছি। সত্যটা বুঝিনি কেউ-
যে কম্পাঙ্কে ওর কথা বলা তা শুধু পোকারাই শুনতে পায়। গাছ- হাওয়ায় জড়াজড়ি করে থাকা অক্সিজেন। বধীরতা আমাদের এতটাই পাপেট করে আছে যে আমরা বারবার আক্রান্ত হই এ্যানিমেশনে। স্পেশাল এফেক্ট।
কবির স্বর বুঝে ওঠার আগেই রেললাইন ধরে ঝুমুর তালে ছুটে যায় দিগন্তে- এরপর কালো দাগ- ইসিজি'র শেষ টান। আমরা কি আবার আমাদের বুক পাঞ্চ করে ওকে বের করে আনব- রেখার ঢেউয়ে ভেঙ্গে যাবে সমুদ্রের পাড়।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৭