জনস্বার্থে সরকার ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০০৫ প্রণয়ন করেছে। কিন্তু আইনের বিভিন্ন ফাঁক কাজে লাগিয়ে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে তামাক কোম্পানীগুলো তাদের বিজ্ঞাপন প্রচারসহ তামাক পন্য ব্যবহারে সকলকে উদ্বুদ্ধ করছে। ফলে আইনের কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য আইনের উন্নয়ন হওয়া জরুরী। এ ল্েয আজ জাতীয় প্রেসকবের সামনে সকাল ১১টায় ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, প্রত্যাশা, মানবিক, একলাব এবং নাটাবের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এ দাবী জনান।
প্রত্যাশার সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, আইনে তামাকের সংজ্ঞায় শুধুমাত্র ধূমপানের বিষয়টি উল্লেখ থাকায় অন্যান্য তামাক পন্য জর্দা, গুল, সাদাপাতা, খৈনী, সিগার এবং পাইপে ব্যবহার্য মিশ্রণ (মিক্সার) আইনের আওতার বাইরে রয়েছে। ধূমপানের সমপর্যায়ের তিকর হলেও সংজ্ঞায় এ সকল পন্য সংযুক্ত না থাকায় এ সকল পন্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না। কর্মসূচিতে বক্তারা তামাকের তি থেকে জনসাধারনকে রায় আইনে তামাকজাত এ সকল পন্য সংযুক্ত করার দাবী জানান।
নাটাব এর প্রজেক্ট ম্যানেজার এ টি এম খলিল উল্লাহ বলেন আইনে পাবলিক প্লেস ও পরিবহন ধূমপানমুক্ত। কিন্তু আইনে যান্ত্রিক যানবাহন নিষিদ্ধ হলেও অযান্ত্রিক যান আইনের আওতার বাইরে রয়ে গেছে। তাছাড়া কর্মস্থল, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, রেষ্টুরেন্ট, সেলুনও আইনের আওতার বাইরে রয়েছে। এ সকল স্থানগুলোতে ধূমপানের কারণে পরো ধূমপানের স্বীকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা। কর্মসূচিতে বক্তারা পরো ধূমপানের তি থেকে নারী ও শিশুদের রায় অযান্ত্রিকসহ উক্তস্থানগুলোকে পাবলিক প্লেসের আওতার নিয়ে আসার দাবী জানান। দেশের ফসলী জমি রাসহ পরিবেশ রায় বক্তারা আইনের মাধ্যমে তামাক চাষ বন্ধেরও দাবী জানান।
বক্তারা বলেন, আইনে তামাকের প্রত্য বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও তামাক কোম্পানীগুলো বিভিন্ন সামগ্রীতে নাম ও লোগো ব্যবহার করা এবং উপহার সামগ্রী বিতরনসহ নাটক সিনেমায় ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে এবং সামাজিক দায় বদ্ধতার নামে পরো বিজ্ঞাপন প্রচার করে যাচ্ছে। এ সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা তরুন সমাজকেও আকৃষ্ট করছে। জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থসহ দেশের যুবসমাজকে তামাকের তি থেকে রায় এই আইনের সংশোধন প্রয়োজন।
কর্মসূচিতে বক্তারা পাবলিক পেস ও পরিবহনে ধূমপানের স্থান সংক্রান্ত বিধান বাতিল করা; প্রত্য, পরো তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৫০ শতাংশ জায়গা জুড়ে তিকর দিক তুলে ধরে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদান; সামাজিক দায়বদ্ধতার নামে তামাক কোম্পানির নামে লগো ব্যবহার করে প্রমোশনার কার্যক্রম নিষিদ্ধ; তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক বা কৌটার অনুরূপ বা সাদৃশ্যে অন্য কোন প্রকার দ্রব্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে যে কোন নাগরিককে মামলা করার অধিকার প্রদান; আইনভঙ্গের প্রেেিত তামাক কোম্পানিগুলোর জরিমানা ও শাস্তির পরিমান বৃদ্ধি; তামাকের বিকল্প চাষ ও কর বৃদ্ধির জন্য নীতিমালা প্রণয়ন, তামাক কোম্পানিগুলো হতে স্বাস্থ্যকর (ঐবধষঃয ঞধী) নামে কর আদায়, কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরিধি বৃদ্ধি এবং ধূমপানমুক্ত স্থান তৈরি করতে ব্যর্থ হলে সংশিষ্ট কর্তৃপরে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়গুলো আইনেযুক্ত করার সুপারিশ করেন।
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের ন্যাশনাল এডভোকেসী অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান এর পরিচালনায় কর্মসূচিতে একলাব’র প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এমদাদুল হক, সিরাক বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত, গ্রীণমাইন্ড সোসাইটির-সভাপতি আমির হোসেন, মানব উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক হাবিবুর রহমান, পিএসএস এর নির্বাহী পরিচালক কে এম রকিবুল ইসলাম, মানবিক’র প্রকল্প কর্মকর্তা মাসুদ রানা, সারডার নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ বক্তব্য প্রদান করেন।