somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রহস্যময় মায়া সভ্যতা

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি নতুন ব্লগার মানুষ /:) আমারো ব্লগাইতে মুঞ্চায়, মাগার মাথায় ত কিছু আসে না, কি আর করুম ..... খালি বইয়া বইয়া মাইনশের লেখা পড়ি/:)
কমেন্ট করতে মুঞ্চায়, কিন্তু কমেন্ট ও করতে দিব না :(( কয় আগে পোস্ট দিতে অইব /:)
দুখখু ...দুখখু :((
এত দুখখু কই থুই?
শেষ মেষ লেহা ধরলাম, যা আছে কপালে "খেতা আর বালিশ"

আইজকা পুরান আমলের জংলি গো (আসলে জংলি না) কিছু কথা বার্তা কপি পেস্ট মারুম। পরে আরও ভাল জিনিশ আইব ...... আস্তে আস্তে ;)

রহস্যময় মায়া সভ্যতা[/sb

কলম্বাস যখন আমেরিকা আবিষ্কার করেন তারও এক হাজার বছর আগে মায়া সভ্যতার উত্থান,যখন প্যারিস ছিলো নিতান্তই সাধারন একটা গ্রাম।তারা জংগল কেটে কেটে আধুনিক শহর তৈরী করেছিলো,তারা পাথর দিয়ে বানানো বল দিয়ে এক অদ্ভুদ খেলা খেলত যা তাদের বেঁচে থাকা বা মারা যাওয়া নির্ধারন করতো।তারা তাদের রক্ত বিসর্জন দিতো নিজেদের মঙ্গলকামনায়,তারা জীবন সাজাতো কল্পিত স্বর্গকে অনুসরন করে।তাদের লেখাগুলো ছিলো এক রহস্যময় পাজল যা মানুষ এখনো বুঝতে পারেনি।



আমেরিকান পর্যটক নাম জন লয়েড ষ্টিফেন এক নৌ অভিযাত্রায় এসে মায়া সভ্যতা খুঁজে পান যার নাম কোপান।তখন পর্যন্ত মায়া সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানা ছিলোনা।ষ্টিফেন অনেক কিছু খুঁজে পেলেন।হাজার বছর ধরে মাইলের পর মাইল মাটির নীচে চাপা পড়েছিলো নিদর্শনগুলো।ষ্টিফেন অভিভূত হয়েছিল মায়া রহস্য দেখে।
এই সমযটুকুতে ষ্টিফেন এবং এক ইংরেজ চিত্রকর ফ্রেডরিক কেটারউড ধ্বংশ হয়ে যাওয়া এই শহরে বর্ননা প্রাথমিকভাবে লিপিবদ্ধ করেন।তিন বছর পর ষ্টিফেন এবং কেটারউড উত্তরখন্ডে মায়ার আরো একটি শহরের খোঁজ পান,নাম ইয়োকাটান।ইয়োকাটানে তারা উক্সমাল এবং চিচেন ইটজা ঘুরে দেখেন।চিয়াপাস নামক জায়গায় গিয়ে তারা খুঁজে পান ‘পালানকে’ নামক আরো একটি মায়া শহর।
মায়া সভ্যতার বিস্তৃতি হন্ডুরাস থেকে শুরু হয়ে এল সেলভেডর এবং দক্ষিনে গুয়েতেমালা থেকে বিলিজ এবং উত্তরে মেক্সিকো পর্যন্ত।মায়া সভ্যতা মোট একশোটি সভ্যতার নিদর্শন প্রকাশ করে এবং প্রত্যেকটি সভ্যতারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস।মায়াদের মূলভূখন্ডকে বিশেষজ্ঞরা ‘ক্লাসিক’ বলেন এবং তা দক্ষিনের নিম্মভূমিতে অবস্থিত।



ক্লাসিক মায়ারা ধাতু ব্যাবহারে বেশ নিরুত্সাহী ছিলেন।তাবা মাটি,পাথর,গাছের গুড়ি দিয়ে তৈরীকৃত জিনিসপত্র ব্যাবহার করতো।এজন্যই শহরগুলোতে কোনো স্বর্ন বা স্বর্নজাতীয় ধাতু পাওয়া যায়নি।১৯৯২ সালে রবার্ট শেরার কোপানে মায়া রাজপরিবারের একটি সমাধি খুঁজে পান।সমাধিতে পাওয়া গেলো কিছু পাথরের তৈরী পাত্র।এই পাত্রগুলো খুবই গুরুত্ব বহন করে এদের গায়ে আঁকা অভূতপূর্ব চিত্র আর সাংকেতিক লেখাগুলোর জন্য।8০ বছর আগে মায়াবিদরা অল্প কিছু মায়া সংকেত পড়তে সক্ষম হন।এখন তারা প্রায় অর্ধেক মায়া সংকেত পড়তে পারেন।ডেভিড স্টুয়ার্ট উদ্ধারকৃত সাংকেতিক লেখা সংবলিত পাত্রগুলো নিয়ে গবেষনা করে বলেন -মায়ারা বেশ জাকজমকপূর্ন ছিলো এবং তাদের জীবন ছিলো নানা আচার ব্যাবস্থায় পরিপূর্ন।এক ধরনের মায়া লেখা চিরতরে হারিয়ে যায়।১৬শ শতকে যখন স্প্যানীশ ধর্মযাজকেরা যখন এখানে আসেন তখন তারা প্রায় একশ বাঁধাই করা বই(কোডেসিস) খুঁজে পেয়েছিলেন।কিন্তু তারা এগুলো পুড়িয়ে ফেলেন।




আজ মাত্র চার প্রকার কোডেসিস টিকে আছে,কিন্তু এই চারটি কোডেসিসই সাহায্য করছে সত্যিকারের মায়াদের সম্পর্কে জানতে।জ্যার্তিবিদ্যা সর্ম্পকিত কিছু বই পাওয়া যায় যাতে প্রমানিত হয় জ্যার্তিবিদ্যা সম্পর্কে মায়ারা বেশ আধুনিক ধারনাই রাখতো।সাধারন কিছু গানিতিক গননায় তারা বের করতে পারতো হাজার বছর আগে এবং হাজার বছর পরে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান কেমন হবে।তারা জানতো বিশ্ব ব্রম্মান্ড অসংখ্য ছোট বড় গতিশীল গ্রহের সমন্বয় এবং পৃথিবী বৃত্তাকার পথে ঘুরছে।এমনকি তারা সূর্যগ্রহনের দিনক্ষন আগে থেকেই বলে দিতে পারতো।তারা তাদের আচার অনুষ্ঠান গুলো সময়ের সাথে সাজাতে পারতো।মায়ারা পাথরের পাতলা প্লেটে তাদের গুরুত্বপূর্ন আচার অনুষ্ঠানের দিন তারিখ লিপিবদ্ধ করে রাখতো।এই প্লেটগুলো বড় বড় পাথরের ব্লকে সাঁটানো থাকতো আর এই ব্লক গুলো একটার পর একটা বসিয়ে উঁচু সিঁড়ির স্তম্ভ্য তৈরী করা হতো।একেকটা ব্লক একেকটা সংকেত ধারন করতো।এই স্তম্ভ্যগুলোর কিছু কিছু অংশ এখনো রয়ে গিয়েছে।বারবারা ফ্যাস একজন ভাস্কর্য্যবিদ।তিনি প্রায় বারশো সংকেত লিপিবদ্ধ করেন।একদিন হয়তো এই সংকেত গুলোই বলে দিবে কি ছিলো কোপান শহরের ইতিহাস।




কিছু সংকেত এগুলোর আকৃতির জন্য সহজেই বোধগম্য।যেমন মায়ারা গাছ বোঝাতে আস্ত একটা গাছই এঁকে রাখতো।একটি পাথরের সংকেত থেকে জানা যায় কোপানের প্রথম রাজা ছিলেন ২০০ খ্রীষ্টাব্দে।প্রথম রাজার অভ্যুত্থানেরও অনেক আগে মায়ারা উর্বর কোপান ভ্যালীতে বাস করতো।তারা তাদের জীবনকে প্রকৃতির নিয়মে সঁপে দিতো,তারা গাছ লাগাতো,ফসল ফলাতো,জন্মোত্সব করতো আবার মৃত্যু পরবর্তী অনুষ্ঠানও করতো।কিন্তু ৪০০ খ্রীষ্টাব্দে যখন রোম বিভক্ত হতে শুরু করে তখন এই জনপদেও পরিবর্তন আসে।
কোপান শহরকে ঘিরে ছিলো ধীর গতির একটা আঁকাবাঁকা নদী আর পাথরের ব্লক দিয়ে তৈরী সুদৃশ্য দালান গুলো গড়ে ওঠেছিলো জংগলের সমতলে।অত্যান্ত চমত্কার ভাবে রঙ করা দালান গুলোর মাঝখানে সাদা রঙ করা সেন্ট্রাল প্লাজা থাকতো যেখানে হাজার হাজার মানুষ একসাথে জড়ো হতে পারতো।এখানে জীপজন্তুর চামড়া,কচ্ছপের খোলক,কোকো বীন,তামাক,ঘোড়া এবং পশম কেনাবেচা হতো।



তাদের ধারনা ছিলো আত্মার সাথে ঈশ্বরের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম রক্ত।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অনুষ্ঠানে রাজা নিজের রক্ত উত্সর্গ করতেন।এটা মায়াদের অত্যন্ত গোপন একটি আচার ব্যাবস্থা ছিলো।এই রক্তদানে ঈশ্বরের করুনার দরজা খুলে যেতো।তারা রক্ত পুড়িয়ে ধোঁয়া সৃষ্টি করতো এবং মনে করতো এই ধোঁয়ার মধ্যেই ঈশ্বরের দর্শন পাওয়া সম্ভব।

সূত্র- Hello Today
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×