মিয়ানমারের ভোটের রায় সত্যিকার গণতন্ত্রের যাত্রা-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণতন্ত্র আবার শৃংখলিত -বেগম খালেদা জিয়া।
উপরের দুটি বক্তব্যের প্রথমটির বক্তা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, নব্বইয়ের এরশাদ বিরোধী গণ আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, আওয়ামীলীগের সভানেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার।দ্বিতীয়টির বক্তা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, নব্বইয়ের এরশাদ বিরোধী গণ আন্দোলনের অন্যতম আপোষহীন নেত্রী,বিএনপির সভানেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা ভাবতে গেলে যেমনি করে ভাবতে হয় একান্নর ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের নির্বাচন, একাত্তরে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কথা।তেমনি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কথা ভাবতে গেলে ভাবতে হয় নব্বইয়ের এরশাদ বিরোধী গণ আন্দোলনের কথা।নব্বইয়ের গণ আন্দোলনের মুখে জেনারেল এরশাদের পতনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।এরশাদের পতনের পর শুধু বাংলাদেশের অসহায় জনগণই নয় বিশ্ববাসী আশা করেছিল এবার হয়ত এ জলন্তপুরী শান্ত হয়ে শান্তির সুবাতাস বইবে।
কিন্তু দুর্ভাগা জাতির দুর্ভাগ্যই যে একমাত্র সংগী। যে বিএনপিকে জনগণ একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রায় দিয়ে ক্ষমতায় বসাল। সেই বিএনপিই জনগণের সাথে বেঈমানি করে জনগণকে সাদেক আলী মার্কা একখানা নির্বাচন উপহার দিলেন।
এরপর অনেক পানি গড়াল।গণতন্ত্র রক্ষার্থে লগি বৈঠার লড়াই হল। ফখরুদ্দিন, মঈনের আমল গেল। একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসল।
এ সব কিছুই যেমন আমাদের জানা।ঠিক তেমনি বর্তমান পরিস্থিতি ও আমাদের অজানা নয়। তারপরও এগুলো উল্লেখ করার একটি কারন হচ্ছে এ দেশের প্রধান দুটি দলকে এ দেশের জনগণ যতই বিশ্বাস করে তারা যেন ততই বেশি গোস্বা হয়ে প্রতিশোধ পরায়ণকারীর মত জনগণের ওপর আরো বেশি চড়াও হয়।
কিন্তু তাদের দলীয় প্রধান এমনকি নিচু সারির নেতাদের ও কথা শুনলে মনে হয় আমরাই গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং আমরাই গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক। সারা বিশ্বে আমরাই গণতন্ত্র রপ্তানি করে থাকি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯