somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দালাল মজনু মিয়া সিন্ডিকেটের খপ্পরে পরে দুবাই গিয়ে বাংলাদেশের ৭ জেলার ১৭ যুবকের জীবন এখন সঙ্কটাপন্ন

১৩ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দালাল মজনু মিয়া সিন্ডিকেটের খপ্পরে পরে দুবাই গিয়ে বাংলাদেশের ১৭ যুবকের জীবন এখন সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েছে। নিজেদের জীবনের মোড় ঘুড়াতে, পাকা, বাড়ি আর নতুন গাড়ি কেনার স্বপ্ন নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফাড়ি দিয়ে এখন জীবন মরণ সন্ধিনে রয়েছে বাংলাদেশের ৭ জেলার ১৭ জন যুবক। দালালের খপ্পরে পড়ে বিদেশের মাটিতে গিয়ে দিবারাত কান্না আর কারা-জীবনের মত দেশে ফেরার প্রতিায় রয়েছেন ওই ১৭ যুবক।
জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার পুর্ব মশুরীয়া গ্রামের সবদর আলীর পুত্র মজনু মিয়া, রাজনগর উপজেলার মনসুর গ্রামের পুতুল মিয়ার পুত্র সেকুল মোল্লা, ইটাখোলা চা বাগানের আরফান মিয়া ও শ্রীমঙ্গল শহরের জালালিয়া রোডের মৃত জালাল উদ্দিন মুন্সির পুত্র বদিউজ্জামানসহ ৪ জনের দালাল সিন্ডিকেট, লম্বা বেতন আর ভাতার প্রলোভন দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চাকুরী দেবার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা করে ১৭ জনের কাছ থেকে ৫১ লাখ নিয়ে তাদেরকে দুবাই পাঠায়।
পৈতৃক ভিটেমাটি বিক্রি করে দালাল চক্রের কাছে প্রত্যেকে ৩ লাখ টাকা করে দিয়ে স্বপ্নে বিভোর যুবকরা এখন অন্নকষ্ট, বাসস্থান সমস্যা, বেতনভাতাহীন মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। তাদের বাবা-মা আত্মীয় স্বজনের কাছে বিদেশের ডলার পাঠানোর সকল স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। বিদেশের মাটিতে তারা নানা সমস্যার মধ্যে দেশে ফেরার চিন্তা করছে। অপরদিকে নিজ দেশে মা বাবাও চিন্তায় আছেন তাদের জন্য। বর্তমানে তারা দুবাই এর সার্জায় একটি ভাড়াটে বাসায় অন্নকষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
দুবাই থেকে টেলিফোনে পাওয়া তথ্যানুসারে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার পুর্ব মশুরীয়া গ্রামের সবদর আলীর পুত্র মজনু মিয়া, রাজনগর উপজেলার মনসুর গ্রামের পুতুল মিয়ার পুত্র সেকুল মোল্লা, ইটাখোলা চা বাগানের আরফান মিয়া ও শ্রীমঙ্গল শহরের জালালিয়া রোডের মৃত জালাল উদ্দিন মুন্সির পুত্র বদিউজ্জামানসহ ৪ জনের দালাল সিন্ডিকেট সংযুক্ত আরব আমিরাতে লোক নেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় সোর্সের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত ছলিম উল্যার পুত্র মইনুল ইসলাম, রাজনগর উপজেলার মালিকোনা গ্রামের জহুর উদ্দিনের পুত্র শাহিন মিয়া, উত্তরবাগ হায়পুর গ্রামের রেনু মিয়ার পুত্র নূরুল ইসলাম, মশুরীয়া গ্রামের জগলু মিয়ার পুত্র জহুরুল হক, একই গ্রামের মৃত পাখি মিয়ার পুত্র মজনু মিয়া, পানি সাইল গ্রামের মৃত মান উল্যার পুত্র সফাত মিয়া, কুলাউড়া উপজেলার কাদিমপাড়া গ্রামের জায়েদ উল্যার পুত্র নাজমুল ইসলাম, কালোটি চা বাগানের সাধনা নারায়নের পুত্র আকাশ অলমিক, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গুমড়া গ্রামের মছদ্দর আলীর পুত্র তাজুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদের পুত্র সফিকুর রহমান, কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার জয়পুর গ্রামের মনোয়ার হোসেনের পুত্র মামুন মনোয়ার হোসেন, মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সিংহের নন্দন গ্রামের জিতেন্দ্র মন্ডলের পুত্র গবিন্দ মন্ডল, চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রামের মৃত শাহ আলম চৌধুরীর পুত্র আজগর আলী চৌধুরী, ছন্দনাইশ উপজেলার মৃত আব্দুল আলিমের পুত্র সেলিম উদ্দিন, নোয়্খাালী জেলার সেনবাগ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের পুত্র মোস্তফা মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর গ্রামের মহ্বি উল্যার পুত্র সফি উল্যা, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামন উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত চান মিয়ার পুত্র কাকন মিয়াসহ ১৭জনকে ১২’শ দেরহাম থেকে ২২’শ দেরহাম পর্যন্ত বেতন এবং ২ বছর পর পর ভিসা নবায়নের সুযোগের কথা বলে প্রতারনার মাধমে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা করে নিয়ে বিদেশে পাঠায়। গত ২০০৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ওই ১৭ জনকে দুবাইএর আল-সাবাহ এসি কোম্পানী, এলএলসি’তে চাকুরী দিলেও দালালের দেওয়া প্রতিশ্র“তির কিঞ্চিতও বাস্তবে পাওয়া যায়নি।
বিদেশের কোম্পানীতে চাকুরী করলেও নিয়মিত বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছেন। বেতন ভাতা নিয়মিত পাওয়ার জন্য কোম্পানীর বিরুদ্ধে দুবাই শ্রম মন্ত্রনালয়ে বিগত ৭/১২/২০০৯ ইং তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে কোম্পানীর প থেকে গত ২০০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর নিয়মিত বেতন ভাতা প্রদানের পুনঃপ্রতিশ্র“তি দেয়। কিন্তু বেতন ভাতা না দেওয়ায় চলতি বছরের ৫ এপ্রিল পুনরায় অভিযোগ দাখিল করা হলে শ্রম মন্ত্রনালয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদালতে প্রেরণ করে। মামলা দায়েরের পর থেকে ওই ১৭ যুবক কোম্পানী এবং দালালদের দ্বারা চরম নিরাপত্তাহীন এবং হুমকির মুখে দিনাতিপাত করছেন।
এব্যাপারে শ্রীমঙ্গলের বদিউজ্জামানের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নির্যাতিত ওই ১৭ যুবক দুবাই শহরের সার্জায় ভারাটে বাসা নিয়ে অবস্থান করছেন। তারা বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপরে আশুহস্তপে কামনা করেছেন।

৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×