যেখানে সরকারী সেবাগুলি জনগণের লাভের কথা বিবেচনা করে কম মূল্যে হওয়া উচিত, সেখানে আমলারা সরকারী সার্ভিসকেই নিজেদের মন্ত্রনালয়ের আয়ের অন্যতম মাধ্যম করতে বদ্ধ পরিকর।
সরকারী সার্ভিসের প্রতিষ্ঠান হয় অলাভজনক - যেখানে সেবার উদ্দেশ্যই মুখ্য। অথচ এখন সেই দিন নাইরে নাতি!
সরকারী প্রতিষ্ঠান এখন নিজেদের লাভজনক করে তুলতে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়েও নিজেদের সার্ভিসের মূল্য বেশী ধার্য করে চলেছে।
ঢাকা রংপুর বাসভাড়া সাধারন হিনো কোচ - ৪৫০ - ৫০০।
সাধারন এসি - ৬৫০।
লাক্সারী এসি - ৭৫০।
আর ট্রেন ভাড়া - নন এসি চেয়ার - ৪৭৫
এসি - ৮৭৫।
দেখা যাচ্ছে এখন ট্রেনের ভাড়া আর বাসের ভাড়া হয় সমান, নয়ত ট্রেনের ভাড়াই বেশী!
হায়রে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারক মহল! এখন দেখছি বাসের থেকে ট্রেনের ভাড়াই বেশী। প্রধানমন্ত্রী নাকি রেল মন্ত্রনালয়কে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে ভাড়া কম বাড়ানোর কথা বলেছিল। ভাড়া কম বাড়াতেই যদি এই অবস্থা হয় যে সেটা বাস ভাড়ার চেয়েও বেশী হয়ে যায় - তবে আমলা/কর্মকর্তাদের প্লানে আরো না জানি কি ছিল!
ট্রেনে এমনিতেই মানুষ কম যায় - এরুপ করতে থাকলে বাংলাদেশ রেলওয়েকে প্রগৈতিহাসিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বেশী দিন সময় নিবে না এই স্বার্থান্বেষী চক্র।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:১৫