জাতীয় শিক্ষাক্রমের অন্তর্ভূক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার অধীনে পাটিগণিত এর অন্তিম ধাপ ৮ম শ্রেণী। ৯ম শ্রেণী হতে পাটিগণিত এর কোন স্থান নেই। যারা ৮ম শ্রেণীর গন্ডী পার হয়ে এসছেন তারা ভাল করেই জানেন, এই ৮ম শ্রেণীর পাটিগণিত বইয়ে পৌণঃপুনিক দশমিক ভগ্নাংশের কিছু কিম্ভূতকিমাকার অংকের প্রবর্তন করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নতুনভাবে সংযোজনের কারণে শিক্ষার্থীদের এই অংকের নিয়মগুলি সবই প্রথমবারের মত শিখতে হচ্ছে। পৌণঃপুনিক থেকে সামান্য ভগ্নাংশে রূপান্তর (গুণ ও ভাগের জন্য), সদৃশকরণ (যোগ ও বিয়োগের জন্য) এবং যোগ ও বিয়োগের বিশেষ নিয়মাবলী ইত্যাদি সবই নতুন করে শিখতে হচ্ছে। এতে তাদের যে সময় ব্যয় করতে হচ্ছে সেটা তারা ভাল কোন বিষয়ের জন্য ব্যয় করতে পারত।
৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদেরকে জেএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। সেজন্য তাদের পাঠ্যক্রম শেষ করা এবং চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির কারণে সময়ক্ষেপন একেবারেই কাম্য নয়। সেক্ষেত্রে এই নতুন নিয়মের পৌণঃপুনিক অংক শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু সময় কেড়ে নিচ্ছে, যা একেবারেই নিরর্থক। কারণ বর্তমানে বিশ্বের কোথাও অংকের ক্ষেত্রে এই পৌণঃপুনিক নিয়ম ব্যবহার করা হয় বলে মনে হয় না। তাছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তিয়ায়নের শতাব্দীতে এইরকম মান্ধাত্তা আমলের সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় এবং অব্যবহৃত কিম্ভূতকিমাকার জটিল একটি বিষয় কেন রাখা হল সেটা কি কেউ ভেবে দেখেছেন?
তাই, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং জাতীয় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনুরোধ করছি, ৮ম শ্রেণীর পাটিগণিত বই থেকে পৌণঃপুণিক নামের অপ্রয়োজনীয় অংশটি বাদ দিয়ে বাস্তবমুখী কোন বিষয় অন্তর্ভূক্ত করার জন্য অনুরোধ করছি।