somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা কোথায় যাব, কাকে বলবো আমাদের কষ্টের কথা, কেউ কি আছেন???????? হ্যালো......না কোথাও কেউ নেই!!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা যারা ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের আশেপাশে বসবাস করি অর্থাৎ কাফরুল/ইব্রাহিমপুরে আর কর্মক্ষেত্রে যেতে কচুক্ষেত-বনানী সংযোগ সড়ক অথবা স্বর্নালী-জাহাঙ্গীর গেইট ব্যবহার করতে হয় তারা কিভাবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মিলিটারী খামখেয়ালপিনা আর একগুয়েমীর বলি হতে হচ্ছে তা আর কেউ বুঝবে না। অথচ এই দুটি সড়ক পথে প্রতিদিন কম করে হলেও আমার মনে হয় ১০,০০০ লোক যাতায়াত করে। মিরপুর-১৪ টু কাকলীর গাড়িগুলি সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রতি ১০ মিনিট পরপর যাতায়াত করে, প্রতি গাড়িতে গড়ে ৪০ জন করে যায়, তার সাথে স্বর্ণালি-জাহাঙ্গীর গেইটে যাতায়াতকারী+শাহীন স্কুলের বাচ্চাদের ধরলে এ সংখ্যা অবশ্যই আরো বেশি। কিন্তু এই দুটি রুটে পর্যাপ্ত যানবাহন নেই। কী যে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহায়ে এ দুটি রুটে জনসাধারণ যাতায়াত করে তা নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন, বিশেষ করে সকাল ৮টা থেকে ১১টা আর বিকেল ৩টা থেকে ৯টা পর্যন্ত।

মিরপুর-১৪ থেকে কাকলী পর্যন্ত চলাচল করে সেনাবাহিনীর আশির্বাদপুষ্ট/অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের নিজস্ব পরিবহন বাসগুলি, মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে ৭ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে। কি এক অদৃশ্য কারণে এই রুটে আর কোন কোম্পানী রুট পারমিট পায়না। এই রুটে বিশেষ করে কচুক্ষেত থেকে সৈনিক ক্লাব পর্যন্ত বাসের পাশাপাশি কিছু সিএনজি/মিশুক চলাচল করত। মিরপুর-১৪ এবং কচুক্ষেত থেকে কাকলী পর্যন্ত একই বাসভাড়া হওয়া সত্ত্বেও অফিস টাইমে বাসগুলি মিরপুর-১৪ থেকেই যাত্রী ভর্তি করে আনে, ফলে কচুক্ষেতে শত শত যাত্রী লম্বা লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে করে ঠেলাঠেলি গাদাগাদি করে ৩/৪ জন করে যাত্রী হয়তো প্রতি বাসে উঠতে পারে। এদের জন্য আশির্বাদ ছিল ঐ সিএনজি/মিশুক। মাঝখানে সিএনজি/মিশুক এর পাশাপাশি অটোবাইক নামক ব্যাটারী চালিত যানগুলি চলাচল শুরু করলে যাত্রীদের মুখে হাসি ফোটে কিন্তু সেনানিবাস কর্তৃপক্ষের সে হাসি ভাল লাগলো না, বন্ধ করে দিল ওগুলির লাইসেন্স নেই অভিযোগে। তবুও সিএনজি/মিশুক অনেকাংশে কষ্ট লাঘবের উপায় হিসেবে চলছিল।

স্বর্ণালী হতে শাহীন কলেজ, আধা কিলোমিটারের রিক্সা ভাড়া ২০ টাকা, যদিও সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ দুই মাথায় দুটি রিক্সা ভাড়ার চার্ট লাগিয়ে নিজেদের দায় সেরেছেন এবং সেখানে এই ভাড়া ৭ টাকা লেখা আছে, সেটা রিক্সাচালকরা মানল কি মানল না তা দেখার কেউ নেই। সকালে শাহীন স্কুলের শত শত শিক্ষার্থী আর অফিসযাত্রীদের দৌড়াদৌড়ি আর ঠেলাঠেলির মাছে আশির্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছিল মিশুক। যাতে সিঙ্গেল যাত্রী ১০টাকার বিনিময়ে যেতে পারতো। এখানে উল্লেখ্য যে, এই রোডে চলাচলকারী বড় গাড়িগুলি শাহীন কলেজ থামে না। আর তাদের নিকটবর্তী স্টপেজ সৌদি কলোনীর দূরত্ব এই গন্তব্যের মঝখানে। গতি এবং সাশ্রয় দুদিক থেকেই মিশুকগুলি ছিল এই রুটের বড় আশির্বাদ।

গত ১১ ডিসেম্বর থেকে কোন এক অদৃশ্য কারণে সেনানিবাসের সব রুটে ৪ স্ট্রোক মিশুক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমার মনে হয় বিজ্ঞ পাঠকদের নিকটে নতুন করে আর এই দুই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগের কাহিনী খুলে বলার কোন অবকাশ নেই। আর এসব কেন হচ্ছে, কাদের স্বার্থে করা হচ্ছে, জনসাধারণকে জিম্মি করে কোন উদ্দেশ্যে এসব খামখেয়ালীপূর্ণ ও একগুঁয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে তা যে কেউ বুঝতে পারছেন। আমাদের কষ্টের কথা বলার কি কোন জায়গা নেই??
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×