somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের জামাত-শিবির ভাইদের জন্য বিশেষ (জরুরী) পোষ্ট....।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আচ্ছা ... আপনাকে যদি নামাজ পড়তে বলা হয় , তবে আপনি কার তরিকায় নামাজ পড়বেন ? আব্রাহাম লিংকনের তরিকায় ? বারাক ওবামার তরিকায় ? হাসিনার তরিকায় ? নাকি আপনার শ্রদ্ধেয় পীর বা মুরুব্বীর তরিকায় ?

-- অবশ্যই আপনি নামাজ পড়বেন , রাসুল [সাঃ] এর তরিকায় । নচেত আপনার নামাজ শুদ্ধ'তো হবেই না , বরং রাসুল [সাঃ] এর আনুগত্য করার যে হুকুম আল্লাহ্‌ আপনাকে দিয়েছেন , সেটা অমান্য করার দোষে দোষী হবেন । নতুন তরিকায় নামাজ পড়ার কারনে বিদ'আতের গুনাহতে জড়াবেন । এছাড়া নামাজ নিয়ে খাম খেয়ালি করার সাজা তো আছেই ।

তাহলে আপনি শরিয়া কায়েমের মত এমন গুরুত্ব পূর্ণ একটা ইবাদত পালন করতে চাচ্ছেন কার তরিকায় ? আপনাকে উপরের নাম গুলো আবার দেয়া হল , আপনি আপনাকে প্রশ্ন করে উত্তর খানা বের করে নিন ।

-- এছাড়া , পরিবেশ পরিস্থিতির প্রসঙ্গ এনে , দলের শক্তিবৃদ্ধির প্রসঙ্গ এনে বুঝানো হচ্ছে যে ... সাময়িক সময়ের জন্য কুফরি তন্ত্রের রাজনীতি করার মধ্যে কোন সমস্যা নেই । শক্তি সঞ্চয় করে একটা খাড়া পলটি মেরে দিবো । ওকে ... আসুন রাসুল [সাঃ] এর জীবন থেকে হুবহু এমনই একটা ঘটনা দেখি , যেখানে রাসুলও [সাঃ] সাময়িক সময়ের জন্য কুফরিতে ডুবে ছিলেন , এবং পরবর্তীতে খাড়া পলটি দিয়েছিলেন জাহেলদের । [নাঃবিঃ]

" মক্কার জাহেল নেতারা রাসুল [সাঃ] কে প্রস্তাব দিলো , যদি তুমি ইসলাম প্রচার বন্ধ করো , তবে তোমাকে মক্কার সবচেয়ে সুন্দরী রমনি দেয়া হবে , বিপুল পরিমান অর্থ দেয়া হবে , এবং নেতা বানানো হবে । এমন প্রস্তাব পেয়ে তো রাসুল [সাঃ] যেন হাতে চাঁদ পেয়ে গেলেন । কারন , তখন মক্কায় রাসুল [সাঃ] উপরে অত্যাচারের সাইক্লোন বয়ে যাচ্ছিল । এমন সময় এমন প্রস্তাব হাতে চাঁদ পাওয়ারই মত । রাসুল [সাঃ] মুহূর্তের মধ্যে সেই প্রস্তাব মেনে নিলেন । এই কাজ দেখে রাসুল [সাঃ] এর সাহাবী'রা [রাঃ] প্রশ্ন করলো ... আপনি কেন এই প্রস্তাব মেনে নিলেন । তখন রাসুল [সাঃ] বললো ... এই প্রস্তাব মেনে নেয়ার ফলে আমরা আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারবো , দল গুছাতে পারবো , আমাদের মাঝে মুজাহিদ তৈরি করতে পারবো । এই প্রস্তাব মেনে নিলে আমাদেরই লাভ তথা ইসলামের লাভ হবে । এভাবে শক্তি সঞ্চয় করে নিয়ে হঠাৎ একটা খাড়া পলটি দিবো ওদের সাথে " - [সুত্র- আল-বানাতুল হাদিস]

-- প্রিয় পাঠক ... দেখুন তো , এমন কিছু কি রাসুল [সাঃ] করেছেন ? জাহেলদের জাহিলিয়াতি মেনে নিয়ে , ওদের সাথে মিশে , ইসলামের উপকারের কথা ভেবেছিলেন ? নাকি ওদের এই প্রস্তাব'কে পায়ে ঠেলে দিয়ে দীপ্ত কণ্ঠে বলেছিলেন ... যদি আমার এক হাতে চন্দ্র আর এক হাতে সূর্য দেয়া হয় , তবুও আমি এক বিন্দু পরিমান পিছু হটবো না । [আল্লাহু আকবর]

ক্যারে ভাই ... রাসুল [সাঃ] এর চেয়ে কি আপনি আমি ইসলাম'কে বেশী ভালোবেসে ফেলছি ? যে কারনে সাময়িক সময়ের কথা বলে , সামর্থ্যহীনতার কথা বলে , পরিবেশের দোহাই দিয়ে জাহেলদের পন্থায় রাজনীতি করা শুরু করে দিয়েছি । মক্কার সেই ভয়ংকর পরিবেশের চেয়ে কি খুব বেশী ভয়ংকর অবস্থায় আছি আমরা ? নাকি সংখ্যার দিক থেকে পিছিয়ে আছি ? নাকি জ্বিহাদের আয়াত এখনও নাজিল হয়নি ।

ওহো! শুনলে আপনারা খুশী হবেন যে ... পবিত্র কোরআনে ভোট দেয়ার পক্ষে আয়াত নাজিল হয়েছে । না , নতুন করে কোন আয়াত নাজিল হয়নি , সেই ১৪০০+ বছর আগের কোরআনেই ভোটের আয়াত পাওয়া গেছে । আসুন আয়াত গুলো দেখি ...

" হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না । সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী । আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত " -- [৫-৮] - এছাড়া [২-২৮৩]-[৪-৮৫] ও নাকি ভোট দেয়ার আয়াত । যদিও এই প্রথম এই কথা আমি শুনছি , আপনারা আগে জানতেন কিনা জানাবেন ।

-- উক্ত আয়াত গুলোর তাফসীর পড়লে ভোট প্রদানের মত কোন কিছুর নাম গন্ধও পাবেন না । তবে সাক্ষ্য প্রদানের ব্যাপের খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে । এতে কেউ আপনার গলায় ছুড়ি ধরলেও আপনি যাতে মিথ্যা সাক্ষ্য না দেন , সে ব্যাপারে হুঁশিয়ার করা হয়েছে । তো কথা হচ্ছে যে ... যদি ধরেও নেই যে , ঐ আয়াত ভোটের পক্ষের আয়াত । আর আমাদের ভোট দেয়া উচিত । তখনও প্রশ্ন আসে আমি কিসের পক্ষে ভোট দিচ্ছে ? আমার ভোটে বিজয়ী হয়ে উক্ত ব্যাক্তি কোন আইন দিয়ে আমাদের শাসন করবে । যেমন ...

ন্যায়পরায়ন = মুমিন ।
ন্যায় = কোরআন ।

-- এখন একজন ন্যায়পরায়ন ব্যেক্তি মানব রচিত আইনের আওতায় জাহেলদের বিপরীতে নির্বাচনে দাঁড়াল । আর আমাদের'কে উক্ত কোরআনের আয়াত দিয়ে বুঝানো হল যে ... একজন ন্যায়পরায়ন ব্যেক্তির পক্ষে তোমাকে সত্য সাক্ষ্য দিতে হবে , তথা ভোট দিতে হবে । মানে , বিপরীত পক্ষ যে জালিম , জাহেল , অন্যায়কারী সেটা প্রমান করতে হলে তোমাকে অবশ্যই আমাকে ভোট দিতে হবে । এটাই হবে অন্যায়র বিরুদ্ধে সত্য সাক্ষ্য । বুঝা গেছে ব্যাপার'টা ?

তো , ঐ যায়গায় আমার মনে প্রশ্ন জাগলো যে ... আমি একজন ন্যায়পরায়ন ব্যেক্তি'কে ভোট দিলাম । সে বিজয়ী হল । পরবর্তীতে সে মন্ত্রী হল । সে এখন সুদী ব্যাংকের লাল ফিতা কাটে , কিন্তু সে ন্যায়পরায়ন । সকল আজাইরা দিবসে সে প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মানিত হয় , কিন্তু সে ন্যায়পরায়ন । সে আমাকে শাসন করা শুরু করলো ঐ মানব রচিত বিধান দিয়েই , তবুও সে ন্যায়পরায়ন ।

তাহলে কি পরোক্ষ ভাবে আমি আমার ভোট তথা সাক্ষ্য ঐ মানব রচিত আইনের পক্ষেই দিলাম না ? প্রকৃত ন্যায় হচ্ছে - কোরআন । কিন্তু আমি শুধু মাত্র ন্যায়পরায়ন ব্যেক্তি দেখেই ভোট দিয়ে দিলাম , অথচ সেখানে কায়েম হল অন্যায় , আল্লাহ্‌দ্রোহী বিধান । তাহলে আমার ভোট দেয়া কি উচিত হচ্ছে ? আমিও কি তাহলে আল্লাহ্‌দ্রোহীতা করছি না ?

প্রকৃত পক্ষে তো ন্যায়ের পক্ষ ন্যায় সাক্ষ্য হচ্ছে সেটা ... যেখানে আমার জীবন গেলেও আমি শরিয়া বিচ্যুত হব না । অন্যায়কারী , জালিম হাসিনা বা খালেদা বা বারাক ওবামা , পুতিনের সামনে দাড়িয়ে বলা ... তোমাদের এই মানব রচিত বিধান আমি মানি না । হয় তোমরা ক্ষমতা ছাড়ো নয়তো আমাদের সাথে লড়াই করো । আমরা ততক্ষন পর্যন্ত ক্ষান্ত হব না , যতক্ষণ না তোমরা পরাজয় মেনে নাও , নয়তো আল্লাহ্‌ আমাদের প্রাণ নিয়ে নেয় । এটা কে বলে সত্য সাক্ষ্য । নাকি সেটা'কে বলে , যেখানে ন্যায়পরায়ন ব্যেক্তির পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার ফলে সেই জাহেলিয়াতের আইনই কায়েম হয় , বিজয় হয় । আর আমাদের বুঝানো হবে ... তোমরা এক্কেবারে যায়গা মত ছিল মারছো । এই ছিলের দায় ভার কেয়ামতের মাঠে কে নিবে ? আমার ভোটে যে একজন ব্যেক্তি জাহেলি আইনে ক্ষমতা পেল , এই সাক্ষ্যের দায় ভার কার ঘারে দিবো আমি সেদিন ? নাকি আমাকেই বহন করতে হবে ? যদি তাই হয় তবে আমি এমন সাক্ষ্য দেয়া থেকে বিরত থাকবো । কারন , কোন এক জনৈক ন্যায়পরায়নের লেবাস পড়া ব্যেক্তির মুখের দিকে তাকিয়ে আমি সম্পূর্ণ কোরআনের বিপরীত কোন আইন'কে সাহায্য করতে পারবো না ।

শরিয়া আমাকেই কায়েম করতে হবে , এই গো ধরা ছাড়তে হবে আমাদের । আমাদের পরিপূর্ণ ইসলামে প্রবেশ করতে হবে , মুসলিম অবস্থায় থাকতে হবে সর্ব হালতে । শরিয়া কায়েম করতে হবে শরিয়ার পদ্ধতিতে , নিজের মন গড়া পদ্ধতিতে না ।

তারা বলে ... কোরআনে কোথাও লিখা নাই , কিভাবে শরিয়া কায়েম করতে হবে । আমি বললাম , কোরআনের ২ নাম্বার সূরার ১৯৩ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেছেন ... কিভাবে শরিয়া কায়েম করতে হবে । আর রাসুল [সাঃ] যে প্রকৃত শহীদের বর্ণনা দিয়েছেন , সেই হাদিসে স্পষ্ট বলা আছে ... যে আল্লাহ্‌ বিধান কায়েমের জন্য লড়াই করে এবং নিজের প্রাণ বিসর্জন দেয় সেই প্রকৃত শহীদ ।

এই উভয় আয়াত এবং হাদিস থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় ... শরিয়া কায়েম হবে যুদ্ধের মাধ্যমে । আর সেই রাসুল [সাঃ] জামানা থেকে এখন পর্যন্ত কেউ এমন প্রমান দিতে পারবে না যে ... শরিয়া কায়েম হয়েছে গনতন্ত্রের মাধ্যমে , বরং আল্লাহ্‌ এবং রাসুল [সাঃ] যে সত্য বলেছেন , সেটাই বার বার সামনে চলে আসে । বর্তমান দুনিয়াও তার আরেকটা উদাহরন ।

পরবর্তীতে তারা বোল পালটে বলে ... আপনাকে উক্ত আয়াতের শানে নুজুল দেখতে হবে । বলি ভাই ... শানে নুজুল দিয়ে যদি কোরআনের আয়াতের হিসেব ধরি , তাহলে কোরআনের কোন আয়াতই আমাদের জন্য নাজিল হয়নি । সব আয়াত নাজিল হয়েছে তৎকালীন প্রেক্ষাপটের হিসেবে । যেমন ... তখন সুদ হারাম করা হয়েছে । কিন্তু বর্তমান দুনিয়া চলছে সুদী লেনদেনের উপরে । তো আমরা যদি বলি , তখনকার পরিস্থিতি অনুযায়ী সুদ হারাম হয়েছে , কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন , তাই ঐ আয়াতের শানে নুজুল দেখুন আর বর্তমান সুদ'কে হালাল মনে করুন ।

বলুন ... এমন কিছু কি আমাদের করা বৈধ হবে ? শানে নুজুল দেখা হয় এই কারনে যে ... ঐ আয়াত খানা যাতে পুংখানু পুংখানু ভাবে আমরা বুঝতে পারি , নাকি কিভাবে ঐ আয়াত পরিত্যাগ করা যায় , সেই কারনে শানে নুজুল দেখবো ? এই কিতাব মুত্তাকীদের জন্য । আর অবশ্যই মুত্তাকী বলতে আল্লাহ্‌ শুধু সাহাবি'দের [রাঃ] দিকে ইঙ্গিত করেননি । এর মানে , কোরআনের প্রতিটি বক্তব্য সর্ব সময়ের , সর্ব কালের জন্য নাজিল হয়েছে । আমরা যেকোনো আয়াতের শানে নুজুল দেখবো উক্ত আয়াত'টার ব্যাখার জন্য , আর ব্যাখার মাধ্যমে বুঝার চেষ্টা করবো উক্ত আয়াতের মধ্যে কি হুকুম আসছে । যেমন ... আপনি কোরআনের তাফসীর পড়লে দেখবেন , সেখানে সকল আয়াতের শানে নুজুলের ঘটনা সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ করা হয় শুরুতে , এরপরে সেটার উপরে পরবর্তী সাহাবী [রাঃ] আর প্রসিদ্ধ ইমামদের ব্যাখা তুলে ধরা হয় । সেখানে কোথাও এই কথা বলা হয় না , এই আয়াত রাসুল [সাঃ] ঐ কাজের জন্য নাজিল হয়েছে , যা এখন আর আমাদের উপরে বর্তায় না , আসো লুডু খেলি । না , বরং উক্ত সকল আয়াতের ব্যাখা দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে । আমাদের সাথে ঐ আয়াতের অর্থ , ব্যাখা না মিললে আমরা ঐ আয়াত পরিত্যাগ করবো না , বরং আমাদের জীবনের কর্ম পরিবর্তন করবো । এটাই হচ্ছে মুসলিমের কাজ , যার কারনে আল্লাহ্‌ বলছে ... পরিপূর্ণ ইসলামে প্রবেশ করো আর মুসলিম না হয়ে মৃত্যু বরণ করো না । পরিপূর্ণ ইসলাম হচ্ছে কোরআন , আর সেটা সর্ব হালতে মানলেই হবেন মুসলিম । এমন হবে না যে ...পরিবেশ , পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে আপনি ইসলাম থেকে দূরে সরে জাহেলিয়াতের বিধানের মধ্যে প্রবেশ করবেন আর নিজেকে মুসলিমদের পীর বলে দাবি করবেন । এটা করলে এর দায় ভার আপনার , আমাদের না । আমরা মুক্ত এই জাহেলিয়াতি নীতি থেকে ।

ফেরাউন যখন তার দাসী'কে বলছে ... আমার প্রতি ঈমান আনো , নয়তো তোমার সন্তান'কে গরম তেলে ফেলে দেয়া হবে , তখন ঐ দাসী পরিবেশ , পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে , প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে বলতে পারতো , সাময়িক সময়ের জন্য ফেরাউন'কে মেনে নেই , এখান থেকে ছুটতে পারলে পলটি নিয়ে আল্লাহ্‌ পক্ষে চলে যাবো । না , ঐ দাসী এমন কিছুই করেনি । সত্য সাক্ষ্য দিয়েছিল নিজ সন্তানের মৃত্যু দেখেও , এমনকি নিজেও মৃত্যু মুখে দাড়িয়ে ছিল । ঈমানের এটাই পরীক্ষা । এতে আপনার শক্তি না থাক , আপনি নিশ্চিত মৃত্যু মুখে দাড়িয়ে আছেন ... তবুও আপনি ঈমান থেকে দূরে সরতে পারবেন না । আর এই ঈমানের বিনিময়েই দেয়া হবে জান্নাত । কিন্তু আমরা ? বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নিজেদের ঈমান বিক্রি করছি । কি অদ্ভুত ব্যাপার যে ... শরিয়া কায়েমের কথা বলে ঈমান বিক্রি করি । অথচ আমরা এইটা ভাবি না ... শরিয়া কায়েম হোক অথবা না , আমার ঈমান থাকা জরুরী । আমার মুসলিম থাকা জরুরী , আমাকে পরিপূর্ণ ইসলামের মধ্যে থাকা জরুরী । না , তারা এটা না করে , বরং ঈমান গেলে যাক , আমাকেই শরিয়া কায়েম করতে হবে , সেটার জন্য প্রয়োজনে জাহিলিয়াতের বিধানের আওতায় নির্বাচন করবো , ক্ষমতায় যাবো , যখন আমাদের দলের শক্তি বৃদ্ধি পাবে ,তখন ওদের পরিত্যাগ করবো । একেবারে শয়তানের মত আচরন । রাসুল [সাঃ] আপোষ না করে হিজরত করছেন । আর আমরা হিজরত না করে আপোষ করতেছি । যদিও সেই আপোষের দরুন উলটো জাহেলিয়াতি বিধানই কায়েম হয়না কেন , তাতে আমাদের কিছুই যায় আসে না । কারন , আমাদের ভাব খানা এমন যে ... আমাকেই আল্লাহ্‌ টেন্ডার দিয়েছেন শরিয়া কায়েমের , সেটা যেভাবেই হোক , কায়েম আমাকেই করতে হবে ।

সাবধান ... ক্ষমতার স্বার্থে ঈমানের বিনিময়ে কুফরি গ্রহন করা থেকে । ক্ষমতায় থাকা জরুরী না , বরং ঈমান থাকা জরুরী ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

সততা হলে প্রতারণার ফাঁদ হতে পারে

লিখেছেন মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নাদিম, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৯

বিষয়টি আমার ভালো লেগেছে। ক্রেতাদের মনে যে প্রশ্নগুলো থাকা উচিত:

(১) ওজন মাপার যন্ত্র কী ঠিক আছে?
(২) মিষ্টির মান কেমন?
(৩) মিষ্টি পূর্বের দামের সাথে এখনের দামের পার্থক্য কত?
(৪) এই দোকানে এতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০, কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×