আচ্ছা ... আপনাকে যদি নামাজ পড়তে বলা হয় , তবে আপনি কার তরিকায় নামাজ পড়বেন ? আব্রাহাম লিংকনের তরিকায় ? বারাক ওবামার তরিকায় ? হাসিনার তরিকায় ? নাকি আপনার শ্রদ্ধেয় পীর বা মুরুব্বীর তরিকায় ?
-- অবশ্যই আপনি নামাজ পড়বেন , রাসুল [সাঃ] এর তরিকায় । নচেত আপনার নামাজ শুদ্ধ'তো হবেই না , বরং রাসুল [সাঃ] এর আনুগত্য করার যে হুকুম আল্লাহ্ আপনাকে দিয়েছেন , সেটা অমান্য করার দোষে দোষী হবেন । নতুন তরিকায় নামাজ পড়ার কারনে বিদ'আতের গুনাহতে জড়াবেন । এছাড়া নামাজ নিয়ে খাম খেয়ালি করার সাজা তো আছেই ।
তাহলে আপনি শরিয়া কায়েমের মত এমন গুরুত্ব পূর্ণ একটা ইবাদত পালন করতে চাচ্ছেন কার তরিকায় ? আপনাকে উপরের নাম গুলো আবার দেয়া হল , আপনি আপনাকে প্রশ্ন করে উত্তর খানা বের করে নিন ।
-- এছাড়া , পরিবেশ পরিস্থিতির প্রসঙ্গ এনে , দলের শক্তিবৃদ্ধির প্রসঙ্গ এনে বুঝানো হচ্ছে যে ... সাময়িক সময়ের জন্য কুফরি তন্ত্রের রাজনীতি করার মধ্যে কোন সমস্যা নেই । শক্তি সঞ্চয় করে একটা খাড়া পলটি মেরে দিবো । ওকে ... আসুন রাসুল [সাঃ] এর জীবন থেকে হুবহু এমনই একটা ঘটনা দেখি , যেখানে রাসুলও [সাঃ] সাময়িক সময়ের জন্য কুফরিতে ডুবে ছিলেন , এবং পরবর্তীতে খাড়া পলটি দিয়েছিলেন জাহেলদের । [নাঃবিঃ]
" মক্কার জাহেল নেতারা রাসুল [সাঃ] কে প্রস্তাব দিলো , যদি তুমি ইসলাম প্রচার বন্ধ করো , তবে তোমাকে মক্কার সবচেয়ে সুন্দরী রমনি দেয়া হবে , বিপুল পরিমান অর্থ দেয়া হবে , এবং নেতা বানানো হবে । এমন প্রস্তাব পেয়ে তো রাসুল [সাঃ] যেন হাতে চাঁদ পেয়ে গেলেন । কারন , তখন মক্কায় রাসুল [সাঃ] উপরে অত্যাচারের সাইক্লোন বয়ে যাচ্ছিল । এমন সময় এমন প্রস্তাব হাতে চাঁদ পাওয়ারই মত । রাসুল [সাঃ] মুহূর্তের মধ্যে সেই প্রস্তাব মেনে নিলেন । এই কাজ দেখে রাসুল [সাঃ] এর সাহাবী'রা [রাঃ] প্রশ্ন করলো ... আপনি কেন এই প্রস্তাব মেনে নিলেন । তখন রাসুল [সাঃ] বললো ... এই প্রস্তাব মেনে নেয়ার ফলে আমরা আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারবো , দল গুছাতে পারবো , আমাদের মাঝে মুজাহিদ তৈরি করতে পারবো । এই প্রস্তাব মেনে নিলে আমাদেরই লাভ তথা ইসলামের লাভ হবে । এভাবে শক্তি সঞ্চয় করে নিয়ে হঠাৎ একটা খাড়া পলটি দিবো ওদের সাথে " - [সুত্র- আল-বানাতুল হাদিস]
-- প্রিয় পাঠক ... দেখুন তো , এমন কিছু কি রাসুল [সাঃ] করেছেন ? জাহেলদের জাহিলিয়াতি মেনে নিয়ে , ওদের সাথে মিশে , ইসলামের উপকারের কথা ভেবেছিলেন ? নাকি ওদের এই প্রস্তাব'কে পায়ে ঠেলে দিয়ে দীপ্ত কণ্ঠে বলেছিলেন ... যদি আমার এক হাতে চন্দ্র আর এক হাতে সূর্য দেয়া হয় , তবুও আমি এক বিন্দু পরিমান পিছু হটবো না । [আল্লাহু আকবর]
ক্যারে ভাই ... রাসুল [সাঃ] এর চেয়ে কি আপনি আমি ইসলাম'কে বেশী ভালোবেসে ফেলছি ? যে কারনে সাময়িক সময়ের কথা বলে , সামর্থ্যহীনতার কথা বলে , পরিবেশের দোহাই দিয়ে জাহেলদের পন্থায় রাজনীতি করা শুরু করে দিয়েছি । মক্কার সেই ভয়ংকর পরিবেশের চেয়ে কি খুব বেশী ভয়ংকর অবস্থায় আছি আমরা ? নাকি সংখ্যার দিক থেকে পিছিয়ে আছি ? নাকি জ্বিহাদের আয়াত এখনও নাজিল হয়নি ।
ওহো! শুনলে আপনারা খুশী হবেন যে ... পবিত্র কোরআনে ভোট দেয়ার পক্ষে আয়াত নাজিল হয়েছে । না , নতুন করে কোন আয়াত নাজিল হয়নি , সেই ১৪০০+ বছর আগের কোরআনেই ভোটের আয়াত পাওয়া গেছে । আসুন আয়াত গুলো দেখি ...
" হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না । সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী । আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত " -- [৫-৮] - এছাড়া [২-২৮৩]-[৪-৮৫] ও নাকি ভোট দেয়ার আয়াত । যদিও এই প্রথম এই কথা আমি শুনছি , আপনারা আগে জানতেন কিনা জানাবেন ।
-- উক্ত আয়াত গুলোর তাফসীর পড়লে ভোট প্রদানের মত কোন কিছুর নাম গন্ধও পাবেন না । তবে সাক্ষ্য প্রদানের ব্যাপের খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে । এতে কেউ আপনার গলায় ছুড়ি ধরলেও আপনি যাতে মিথ্যা সাক্ষ্য না দেন , সে ব্যাপারে হুঁশিয়ার করা হয়েছে । তো কথা হচ্ছে যে ... যদি ধরেও নেই যে , ঐ আয়াত ভোটের পক্ষের আয়াত । আর আমাদের ভোট দেয়া উচিত । তখনও প্রশ্ন আসে আমি কিসের পক্ষে ভোট দিচ্ছে ? আমার ভোটে বিজয়ী হয়ে উক্ত ব্যাক্তি কোন আইন দিয়ে আমাদের শাসন করবে । যেমন ...
ন্যায়পরায়ন = মুমিন ।
ন্যায় = কোরআন ।
-- এখন একজন ন্যায়পরায়ন ব্যেক্তি মানব রচিত আইনের আওতায় জাহেলদের বিপরীতে নির্বাচনে দাঁড়াল । আর আমাদের'কে উক্ত কোরআনের আয়াত দিয়ে বুঝানো হল যে ... একজন ন্যায়পরায়ন ব্যেক্তির পক্ষে তোমাকে সত্য সাক্ষ্য দিতে হবে , তথা ভোট দিতে হবে । মানে , বিপরীত পক্ষ যে জালিম , জাহেল , অন্যায়কারী সেটা প্রমান করতে হলে তোমাকে অবশ্যই আমাকে ভোট দিতে হবে । এটাই হবে অন্যায়র বিরুদ্ধে সত্য সাক্ষ্য । বুঝা গেছে ব্যাপার'টা ?
তো , ঐ যায়গায় আমার মনে প্রশ্ন জাগলো যে ... আমি একজন ন্যায়পরায়ন ব্যেক্তি'কে ভোট দিলাম । সে বিজয়ী হল । পরবর্তীতে সে মন্ত্রী হল । সে এখন সুদী ব্যাংকের লাল ফিতা কাটে , কিন্তু সে ন্যায়পরায়ন । সকল আজাইরা দিবসে সে প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মানিত হয় , কিন্তু সে ন্যায়পরায়ন । সে আমাকে শাসন করা শুরু করলো ঐ মানব রচিত বিধান দিয়েই , তবুও সে ন্যায়পরায়ন ।
তাহলে কি পরোক্ষ ভাবে আমি আমার ভোট তথা সাক্ষ্য ঐ মানব রচিত আইনের পক্ষেই দিলাম না ? প্রকৃত ন্যায় হচ্ছে - কোরআন । কিন্তু আমি শুধু মাত্র ন্যায়পরায়ন ব্যেক্তি দেখেই ভোট দিয়ে দিলাম , অথচ সেখানে কায়েম হল অন্যায় , আল্লাহ্দ্রোহী বিধান । তাহলে আমার ভোট দেয়া কি উচিত হচ্ছে ? আমিও কি তাহলে আল্লাহ্দ্রোহীতা করছি না ?
প্রকৃত পক্ষে তো ন্যায়ের পক্ষ ন্যায় সাক্ষ্য হচ্ছে সেটা ... যেখানে আমার জীবন গেলেও আমি শরিয়া বিচ্যুত হব না । অন্যায়কারী , জালিম হাসিনা বা খালেদা বা বারাক ওবামা , পুতিনের সামনে দাড়িয়ে বলা ... তোমাদের এই মানব রচিত বিধান আমি মানি না । হয় তোমরা ক্ষমতা ছাড়ো নয়তো আমাদের সাথে লড়াই করো । আমরা ততক্ষন পর্যন্ত ক্ষান্ত হব না , যতক্ষণ না তোমরা পরাজয় মেনে নাও , নয়তো আল্লাহ্ আমাদের প্রাণ নিয়ে নেয় । এটা কে বলে সত্য সাক্ষ্য । নাকি সেটা'কে বলে , যেখানে ন্যায়পরায়ন ব্যেক্তির পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার ফলে সেই জাহেলিয়াতের আইনই কায়েম হয় , বিজয় হয় । আর আমাদের বুঝানো হবে ... তোমরা এক্কেবারে যায়গা মত ছিল মারছো । এই ছিলের দায় ভার কেয়ামতের মাঠে কে নিবে ? আমার ভোটে যে একজন ব্যেক্তি জাহেলি আইনে ক্ষমতা পেল , এই সাক্ষ্যের দায় ভার কার ঘারে দিবো আমি সেদিন ? নাকি আমাকেই বহন করতে হবে ? যদি তাই হয় তবে আমি এমন সাক্ষ্য দেয়া থেকে বিরত থাকবো । কারন , কোন এক জনৈক ন্যায়পরায়নের লেবাস পড়া ব্যেক্তির মুখের দিকে তাকিয়ে আমি সম্পূর্ণ কোরআনের বিপরীত কোন আইন'কে সাহায্য করতে পারবো না ।
শরিয়া আমাকেই কায়েম করতে হবে , এই গো ধরা ছাড়তে হবে আমাদের । আমাদের পরিপূর্ণ ইসলামে প্রবেশ করতে হবে , মুসলিম অবস্থায় থাকতে হবে সর্ব হালতে । শরিয়া কায়েম করতে হবে শরিয়ার পদ্ধতিতে , নিজের মন গড়া পদ্ধতিতে না ।
তারা বলে ... কোরআনে কোথাও লিখা নাই , কিভাবে শরিয়া কায়েম করতে হবে । আমি বললাম , কোরআনের ২ নাম্বার সূরার ১৯৩ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন ... কিভাবে শরিয়া কায়েম করতে হবে । আর রাসুল [সাঃ] যে প্রকৃত শহীদের বর্ণনা দিয়েছেন , সেই হাদিসে স্পষ্ট বলা আছে ... যে আল্লাহ্ বিধান কায়েমের জন্য লড়াই করে এবং নিজের প্রাণ বিসর্জন দেয় সেই প্রকৃত শহীদ ।
এই উভয় আয়াত এবং হাদিস থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় ... শরিয়া কায়েম হবে যুদ্ধের মাধ্যমে । আর সেই রাসুল [সাঃ] জামানা থেকে এখন পর্যন্ত কেউ এমন প্রমান দিতে পারবে না যে ... শরিয়া কায়েম হয়েছে গনতন্ত্রের মাধ্যমে , বরং আল্লাহ্ এবং রাসুল [সাঃ] যে সত্য বলেছেন , সেটাই বার বার সামনে চলে আসে । বর্তমান দুনিয়াও তার আরেকটা উদাহরন ।
পরবর্তীতে তারা বোল পালটে বলে ... আপনাকে উক্ত আয়াতের শানে নুজুল দেখতে হবে । বলি ভাই ... শানে নুজুল দিয়ে যদি কোরআনের আয়াতের হিসেব ধরি , তাহলে কোরআনের কোন আয়াতই আমাদের জন্য নাজিল হয়নি । সব আয়াত নাজিল হয়েছে তৎকালীন প্রেক্ষাপটের হিসেবে । যেমন ... তখন সুদ হারাম করা হয়েছে । কিন্তু বর্তমান দুনিয়া চলছে সুদী লেনদেনের উপরে । তো আমরা যদি বলি , তখনকার পরিস্থিতি অনুযায়ী সুদ হারাম হয়েছে , কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন , তাই ঐ আয়াতের শানে নুজুল দেখুন আর বর্তমান সুদ'কে হালাল মনে করুন ।
বলুন ... এমন কিছু কি আমাদের করা বৈধ হবে ? শানে নুজুল দেখা হয় এই কারনে যে ... ঐ আয়াত খানা যাতে পুংখানু পুংখানু ভাবে আমরা বুঝতে পারি , নাকি কিভাবে ঐ আয়াত পরিত্যাগ করা যায় , সেই কারনে শানে নুজুল দেখবো ? এই কিতাব মুত্তাকীদের জন্য । আর অবশ্যই মুত্তাকী বলতে আল্লাহ্ শুধু সাহাবি'দের [রাঃ] দিকে ইঙ্গিত করেননি । এর মানে , কোরআনের প্রতিটি বক্তব্য সর্ব সময়ের , সর্ব কালের জন্য নাজিল হয়েছে । আমরা যেকোনো আয়াতের শানে নুজুল দেখবো উক্ত আয়াত'টার ব্যাখার জন্য , আর ব্যাখার মাধ্যমে বুঝার চেষ্টা করবো উক্ত আয়াতের মধ্যে কি হুকুম আসছে । যেমন ... আপনি কোরআনের তাফসীর পড়লে দেখবেন , সেখানে সকল আয়াতের শানে নুজুলের ঘটনা সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ করা হয় শুরুতে , এরপরে সেটার উপরে পরবর্তী সাহাবী [রাঃ] আর প্রসিদ্ধ ইমামদের ব্যাখা তুলে ধরা হয় । সেখানে কোথাও এই কথা বলা হয় না , এই আয়াত রাসুল [সাঃ] ঐ কাজের জন্য নাজিল হয়েছে , যা এখন আর আমাদের উপরে বর্তায় না , আসো লুডু খেলি । না , বরং উক্ত সকল আয়াতের ব্যাখা দিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে । আমাদের সাথে ঐ আয়াতের অর্থ , ব্যাখা না মিললে আমরা ঐ আয়াত পরিত্যাগ করবো না , বরং আমাদের জীবনের কর্ম পরিবর্তন করবো । এটাই হচ্ছে মুসলিমের কাজ , যার কারনে আল্লাহ্ বলছে ... পরিপূর্ণ ইসলামে প্রবেশ করো আর মুসলিম না হয়ে মৃত্যু বরণ করো না । পরিপূর্ণ ইসলাম হচ্ছে কোরআন , আর সেটা সর্ব হালতে মানলেই হবেন মুসলিম । এমন হবে না যে ...পরিবেশ , পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে আপনি ইসলাম থেকে দূরে সরে জাহেলিয়াতের বিধানের মধ্যে প্রবেশ করবেন আর নিজেকে মুসলিমদের পীর বলে দাবি করবেন । এটা করলে এর দায় ভার আপনার , আমাদের না । আমরা মুক্ত এই জাহেলিয়াতি নীতি থেকে ।
ফেরাউন যখন তার দাসী'কে বলছে ... আমার প্রতি ঈমান আনো , নয়তো তোমার সন্তান'কে গরম তেলে ফেলে দেয়া হবে , তখন ঐ দাসী পরিবেশ , পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে , প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে বলতে পারতো , সাময়িক সময়ের জন্য ফেরাউন'কে মেনে নেই , এখান থেকে ছুটতে পারলে পলটি নিয়ে আল্লাহ্ পক্ষে চলে যাবো । না , ঐ দাসী এমন কিছুই করেনি । সত্য সাক্ষ্য দিয়েছিল নিজ সন্তানের মৃত্যু দেখেও , এমনকি নিজেও মৃত্যু মুখে দাড়িয়ে ছিল । ঈমানের এটাই পরীক্ষা । এতে আপনার শক্তি না থাক , আপনি নিশ্চিত মৃত্যু মুখে দাড়িয়ে আছেন ... তবুও আপনি ঈমান থেকে দূরে সরতে পারবেন না । আর এই ঈমানের বিনিময়েই দেয়া হবে জান্নাত । কিন্তু আমরা ? বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নিজেদের ঈমান বিক্রি করছি । কি অদ্ভুত ব্যাপার যে ... শরিয়া কায়েমের কথা বলে ঈমান বিক্রি করি । অথচ আমরা এইটা ভাবি না ... শরিয়া কায়েম হোক অথবা না , আমার ঈমান থাকা জরুরী । আমার মুসলিম থাকা জরুরী , আমাকে পরিপূর্ণ ইসলামের মধ্যে থাকা জরুরী । না , তারা এটা না করে , বরং ঈমান গেলে যাক , আমাকেই শরিয়া কায়েম করতে হবে , সেটার জন্য প্রয়োজনে জাহিলিয়াতের বিধানের আওতায় নির্বাচন করবো , ক্ষমতায় যাবো , যখন আমাদের দলের শক্তি বৃদ্ধি পাবে ,তখন ওদের পরিত্যাগ করবো । একেবারে শয়তানের মত আচরন । রাসুল [সাঃ] আপোষ না করে হিজরত করছেন । আর আমরা হিজরত না করে আপোষ করতেছি । যদিও সেই আপোষের দরুন উলটো জাহেলিয়াতি বিধানই কায়েম হয়না কেন , তাতে আমাদের কিছুই যায় আসে না । কারন , আমাদের ভাব খানা এমন যে ... আমাকেই আল্লাহ্ টেন্ডার দিয়েছেন শরিয়া কায়েমের , সেটা যেভাবেই হোক , কায়েম আমাকেই করতে হবে ।
সাবধান ... ক্ষমতার স্বার্থে ঈমানের বিনিময়ে কুফরি গ্রহন করা থেকে । ক্ষমতায় থাকা জরুরী না , বরং ঈমান থাকা জরুরী ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭