৯ মার্চ ২০০৩,
গভীর রাতে ঠাকুরবাড়ীর কর্তা নিরঞ্জণ ভট্টাচার্যকে হত্যাকল্পে হামলে পড়ে ১৫ জন পাষন্ড বর্বর। কিন্তু নিরঞ্জনকে পাওয়া গেলো না সেই রাতে। তাতে কি ওরা বড় ভাইয়ের বদলায় ছোট ভাই তপন ভট্টকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করলো। ঘটনাটি এখানেই শেষ নয়। ওরা বাড়ীর দু-দুটো জোয়ান বউ, বউয়ের মাকে ধর্ষণ করলো পালাক্রমে। অপরাধ ওরা সংখ্যালগু, ওরা ভোট দিয়েছিল। নিহত তপনের কিশোরী বউ মাত্র সপ্তাহ খানেক আগে একটি মৃত সন্তান প্রশব করেছিল । তার সেলাই ছিন্নভিন্ন হয়ে রক্তে রক্তে ভেসে যায় শাড়ী, শাড়ীর আঁচল বেয়ে বাড়ীর উঠান, মাঠ আমাদের হাটবার পথে পথে পুরোটা বাংলাদেশ।
দায়ের কোপে খন্ড বিখন্ড স্বামীর সীনা।
ছিন্নভিন্ন শরীর খানা মৃত্যু যন্ত্রনায় দাপড়াটে ছিল ঘরের মেঝেতে। কাটা গলাটার ফিনকি রক্ত আর ফ্যাস ফ্যাম আওয়াজে আওয়াজে উল্লাসে ফেটে পড়ে জল্লাদের হাসি। তপন ভট্ট মৃত্যু যন্ত্রণায় যখন হাত পা ছুড়ে কাতরাতেছিল জল্লাদেরা তা দেখে ঠাট্টা করে "দেয় দেয় ভোট দেয় জীবনের শেষ বারের মত ভোট দিয়া ল"।
স্বামীর লাশের কাছে বিধ্বস্থ কিশোরী বউ অভিমানে ফুফিঁয়ে উঠেছিল কি সেদিন "মাগো এইটা কি আমার দেশ না"।
আর মা বিবস্ত্র, অপমানে নিচ্ছল পাথর।
এদেশের মানুষ কি এমন পরিবেশ চায় যেখানে এমন করে মরতে হবে। আসুন আমরা জাগ্রত হই।