১৯৭২ সালের আজকের এই দিনে স্বাধীন হয় মিরপুর। ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় হলেও দেশের সকল স্থানে একই দিনে বিজয় আসেনি। সারা দেশে যখন বিজয়ের সূর্য উদিত হল তখনো মিরপুর সেই বিজয়ের সূর্য দেখতে পায়নি। বিজয়ের দেড় মাস পর মিরপুর এলাকাকে স্বাধীন করতে জীবন দিতে হয়েছিল আরো অনেক মুক্তিযুদ্ধা, দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতাকামী বাঙ্গালীকে। এই মিরপুরই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শেষ রণাঙ্গণ। স্বাধীনতার পর মিরপুর ছিল বিহারী বা অবাঙ্গালীদের দখলে। অবাঙ্গালীরা তখনো ভারী অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। সেখানে যেসব বাঙ্গালী ছিল তাদের একের পর এক মেরে ফেলতে লাগলো বিহারীরা।
মিরপুরকে বিহারী মুক্ত করে স্বাধীন করতে ৩০ জানুয়ারী নিহত হয় ক্যাপ্টেন সেলিমও হেলাল মোশারফসহ ৪০ জনের মত বাঙ্গালী।
পরবর্তীতে ৩১ জানুয়ারী দ্বিতীয় ও চতুর্থ বেঙ্গল দিয়ে গোটা মিরপুর ঘিরে রাখা হয়। এসময় অবাঙ্গালীরা পিছূ হটতে শুরু করে। তারপর বাঙ্গালী আর্মি মিরপুর দখলমুক্ত করে নিজেদের আয়ত্বে আনে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এই দিনটি দীর্ঘদিন সে অর্থে পালন করা হয়নি। ২০০১ সালের ৩১ জানুয়ারী থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মিরপুর মুক্ত দিবস পালন করা হয়। স্বাত্নিক নামের একটি নাট্যদল র্যাবিট কমিউনিকেশনের ব্যানারে "মিরপুর দ্য লাস্ট ফ্রন্টিয়ার" নামে একটি ডুকুমেন্টারী তৈরী করেছে।
আসুন এই দিনটিকে স্মরণকরি এবং স্মরণ করি মহান বীরদের। সাথে সাথে দেশ গড়ার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করি আমরা সকলে।