somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারীর প্রতি নিপীড়ন : হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনামূলক রায় ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

২৯ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাম্প্রতিক সময়ে আগের চেয়ে ইভ টিজিং যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে ইভ টিজিংয়ের কারনে মৃত্যু। আইন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে, শুধু ইভ টিজিং বা উত্ত্যক্ততার কারণে জানুয়ারি থেকে ১৬ মে পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন ১৪ নারী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্রসহ নানা ক্ষেত্রে নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। শুধু নির্দিষ্ঠ বয়সী না বরংচ বিভিন্ন বয়সের নারীরাই টিজিংয়ের শিকার। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ২০০৮ সালের ৮ আগষ্ট যৌন হয়রানী রোধে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছিল হাইকোর্ট বিভাগের কাছে। তারই প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি নির্দেশনামূলক রায় প্রদান করে। হাইকোর্ট বিভাগের পক্ষ থেকে একটি পুর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা সেই আইনের দেখা পাই নি। এমনকি মেনে চলা হয় নি হাইকোর্ট বিভাগের সেই নির্দেশনাও। অথচ সংবিধানের ১১১ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের রায় অবশ্যপালনীয়। পরিনামে আমরা দেখতে পেয়েছি ইভ টিজিংয়ের পরিমান বেড়েছে। ইভ টিজিং ও আইন নিয়ে কথা বলতে গেলেই দুটি প্রসঙ্গ উঠে আসবেই। এক. মেয়েরা পোশাক-আশাক, আচরণ ও অবাধ চলাফেলা এর জন্য দায়ী, দুই. ইভ টিজিং আইন করে প্রতিরোধ করা যাবে না। প্রথম ক্ষেত্রে বলতে হয়, নিজেদের দোষ ঢাকতে কি নির্লজ্জ পুরুষতান্ত্রিক প্রচেষ্টা! দ্বিতীয় ক্ষেত্রে জবাব, এইভাবে ভাবতে গেলে কোন বিষয়ই আইন করে প্রতিরোধ সম্ভব না। তারপরেও সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় আইনের আবির্ভাব। আইনের সাথে মানবিক বোধ ও সামাজিক অবস্থানের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। এজন্যই বুঝি ক্রিমিনোলজি বলে আইনের আলাদা একটা পাঠ আছে। আইনের প্রয়োগ থাকা জরুরী। তাই আইন করে ইভ টিজিং কতোটা প্রতিরোধ করা যাবে সেই বিতর্কে না গিয়ে বলা দরকার আইন থাকা জরুরী। বিচারের জন্য একটা আশ্রয় তো থাকা লাগবে।

এবার আসা যাক, হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনামূলক রায় প্রসঙ্গে। রায়টি মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি হয়রানিমূলক আচরন প্রতিরোধকে লক্ষ্য করে দেওয়া। নির্দেশনামূলক রায়ে এর প্রচারের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এর ব্যাপক প্রচার হয় নি। যার ফলে, রায়টি নিয়ে প্রচুর মিথ ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ বেশিরভাগ লোকই সঠিকভাবে জানে না রায়টিতে কি রয়েছে। এমনকি ইভ টিজিংয়ের সংঙা নিয়েও নানা ধরনের ভুল ধারণা প্রচলিত। নির্দেশনা রায়টি সম্পর্কে বলতে হলে রায়টি পড়তে হবে, জানতে হবে। না পড়ে, না জেনে মনের ইচ্ছা মতো মন্তব্য করা খুব সহজ। পোস্টটির সাথে হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনামূলক রায়ের মূল বিষয়ের বাংলা ভাষান্তর প্রদান করা হলো। আগ্রহীরা দেখতে পারেন।


যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনামূলক রায়

মূল বিষয়ের বাংলা ভাষান্তর


লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য:

ক) যৌন নির্যাতন সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা; খ) যৌন নির্যাতনের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা; গ) যৌন নির্যাতন শাস্তিযোগ্য অপরাধ—এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা
সংজ্ঞা:
যৌন হয়রানি বলতে বোঝায়: ক) অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন আবেদনমূলক আচরণ (সরাসরি কিংবা ইঙ্গিতে) যেমন: শারীরিক স্পর্শ বা এ ধরনের প্রচেষ্টা। খ) প্রাতিষ্ঠানিক এবং পেশাগত ক্ষমতা ব্যবহার করে কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা। গ) যৌন হয়রানি বা নিপীড়নমূলক উক্তি। ঘ) যৌন সুযোগলাভের জন্য অবৈধ আবেদন। ঙ) পর্নোগ্রাফি দেখানো। চ) যৌন আবেদনমূলক মন্তব্য বা ভঙ্গি। ছ) অশালীন ভঙ্গি, যৌন নির্যাতনমূলক ভাষা বা মন্তব্যের মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করা, কাউকে অনুসরণ করা বা পেছন পেছন যাওয়া, যৌন ইঙ্গিতমূলক ভাষা ব্যবহার করে ঠাট্টা বা উপহাস করা। জ) চিঠি, টেলিফোন, মোবাইল, এসএমএস, ছবি, নোটিশ, কার্টুন, বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল, নোটিশ বোর্ড, অফিস, ফ্যাক্টরি, শ্রেণীকক্ষ, বাথরুমের দেয়ালে যৌন ইঙ্গিতমূলক অপমানজনক কোনো কিছু লেখা। ঝ) ব্ল্যাকমেইল অথবা চরিত্র লঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে স্থির বা চলমান চিত্র ধারণ করা। ঞ) যৌননিপীড়ন বা হয়রানির কারণে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং শিক্ষাগত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হওয়া। ট) প্রেম নিবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়ে হুমকি দেওয়া বা চাপ প্রয়োগ করা। ঠ) ভয় দেখিয়ে বা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বা প্রতারণার মাধ্যমে যৌন সম্পর্ক স্থাপন বা স্থাপনে চেষ্টা করা।

সচেতনতা এবং জনমত সৃষ্টি:

ক) সরকারি-বেসরকারি সব কর্মক্ষেত্রে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেন্ডারবৈষম্য, যৌন হয়রানি এবং নির্যাতননিরোধ ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টিতে নিয়োগদাতা/সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সচেতনতামূলক প্রকাশনার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে। এ বিষয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি শিক্ষাবর্ষের প্রারম্ভে শ্রেণীর কাজ শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের এবং সব কর্মক্ষেত্রে মাসিক এবং ষাণ্মাসিক ওরিয়েন্টেশন ব্যবস্থা রাখতে হবে। খ) প্রয়োজন হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য অবশ্যই উপযুক্ত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে। গ) সংবিধানে উল্লিখিত অনুচ্ছেদ এবং সংবিধিবদ্ধ আইনে নারী শিক্ষার্থী এবং কর্মে নিয়োজিত নারীদের যে অধিকারের বিষয়ে উল্লেখ করা আছে, তা সহজ ভাষায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। ঘ) আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যক্তিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রের নিয়োগকর্তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং কার্যকরী মতবিনিময় করবেন। ঙ) সংবিধানে বর্ণিত জেন্ডারসমতা এবং যৌন অপরাধ-সম্পর্কিত দিক-নির্দেশনাটি পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করতে হবে। চ) সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংবিধানে উল্লিখিত মৌলিক অধিকার-সম্পর্কিত নিশ্চয়তাগুলো প্রচার করতে হবে।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:

সব নিয়োগকর্তা এবং কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ যৌন হয়রানি প্রতিরোধের লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে, অন্যান্য পদক্ষেপ ছাড়াও তারা নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ক) নির্দেশনায় উল্লিখিত ৪ ধারা অনুযায়ী যৌন হয়রানি এবং যৌন নির্যাতনের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে, তা কার্যকরভাবে প্রচার ও প্রকাশ করা। খ) যৌন হয়রানিসংক্রান্ত যেসব আইন রয়েছে এবং আইনে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের জন্য যেসব শাস্তির উল্লেখ রয়েছে, তা ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। গ) কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাক্ষেত্রের পরিবেশ নারীর প্রতি যেন বৈরী না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং কর্মজীবী মহিলা ও নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বিশ্বাস ও আস্থা গড়ে তুলতে হবে যে, তারা তাদের পুরুষ সহকর্মী ও সহপাঠীদের তুলনায় অসুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে না।

শৃঙ্খলাবিধি কার্যক্রম:

এ নির্দেশনায় উল্লিখিত ৪ ধারা অনুযায়ী যৌন হয়রানি এবং যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে যথাযথ শৃঙ্খলাবিধি প্রণয়ন ও কার্যকর করতে হবে।
অভিযোগ:
যেসব আচরণ এই গাইডলাইনের অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন অশোভন আচরণ সম্পর্কে যদি অপরাধের শিকার নারী অভিযোগ করতে চায়, তা গ্রহণ করার ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং তা প্রতিকারের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ক) অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখতে হবে। খ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অভিযোগকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। গ) অপরাধের শিকার নিজে অথবা বন্ধু বা চিঠি বা আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করতে পারে। ঘ) অভিযোগকারী ব্যক্তি স্বতন্ত্রভাবে অভিযোগ কমিটির নারী সদস্যের কাছে অভিযোগ জানাতে পারে। ঙ) অভিযোগ কমিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করার জন্য ধারা ৯ অনুসরণ করতে হবে।

অভিযোগ গ্রহণকারী কমিটি:

(ক) অভিযোগ গ্রহণের জন্য, তদন্ত পরিচালনার জন্য এবং সুপারিশ করার জন্য সরকারি-বেসরকারি সব কর্মক্ষেত্রে এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগ গ্রহণের জন্য কমিটি গঠন করবে। (খ) কমপক্ষে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হবে, যার বেশির ভাগ সদস্য হবেন নারী। সম্ভব হলে কমিটির প্রধান হবেন নারী। (গ) কমিটির দুজন সদস্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে হবে, যে প্রতিষ্ঠান জেন্ডার এবং যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করে। (ঘ) অভিযোগ কমিটি সরকারের কাছে এ নীতিমালা বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত বাত্সরিক অভিযোগ প্রতিবেদন পেশ করবে।

অভিযোগ কমিটির পরিচালনা প্রণালী:

সাধারণভাবে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগ কমিটির কাছে অভিযোগ পেশ করতে হবে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের জন্য কমিটি: (ক) লঘু হয়রানির ক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয়, অভিযোগ কমিটি সংশ্লিষ্ট উভয় পক্ষের সম্মতি নিয়ে অভিযোগ খারিজের ব্যবস্থা নেবে এবং এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে। (খ) অন্য সব ক্ষেত্রে অভিযোগ কমিটি বিষয়টি তদন্ত করবে। (গ) অভিযোগ কমিটি ডাকের মাধ্যমে উভয় পক্ষকে এবং সাক্ষীদের রেজিস্ট্রার বিজ্ঞাপন প্রেরণ, শুনানি পরিচালনা, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ এবং সব সংশ্লিষ্ট দলিল পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা রাখবে। এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে মৌখিক প্রমাণ ছাড়াও অবস্থানগত প্রমাণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ অভিযোগ কমিটির কার্যক্রম নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট অফিস সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে বাধ্য থাকবে। অভিযোগ কমিটি অভিযোগকারীদের পরিচয় গোপন রাখবে। অভিযোগকারীর সাক্ষ্য গ্রহণের সময় এমন কোনো প্রশ্ন বা আচরণ করা হবে না, যা উদ্দেশ্যমূলকভাবে নীচ, অপমানজনক এবং হয়রানিমূলক হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ ক্যামেরায় ধারণ করতে হবে। অভিযোগকারী যদি অভিযোগ তুলে নিতে চায় বা তদন্ত বন্ধের দাবি জানায়, তাহলে এর কারণ তদন্ত করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে। অভিযোগ কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে তাদের সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রদান করবে। প্রয়োজনে এ সময়সীমা ৩০ কার্যদিবস থেকে ৬০ কার্যদিবসে বাড়ানো যাবে।
যদি এটা প্রমাণিত হয় যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হবে। অভিযোগ কমিটির বেশির ভাগ সদস্য যে রায় দেবে, তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শাস্তি:


সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে (ছাত্র ব্যতিরেকে) সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারে এবং ছাত্রদের ক্ষেত্রে অভিযোগ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তাদের ক্লাস করা থেকে বিরত রাখতে পারে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে এবং সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রের শৃঙ্খলাবিধি অনুসারে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং যদি ওই অভিযোগ দণ্ডবিধির যেকোনো ধারা অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কোর্ট বা ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেবে।

আমরা নির্দেশ দিচ্ছি যে, এই দিকনির্দেশনা সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে অনুসরণ এবং পালন করা হবে, যত দিন পর্যন্ত না এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত আইন প্রণয়ন হয়।

কৃতজ্ঞতা : বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:০৭
১৩টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×