ভগবান মানুষের দুখ দুর করতে পারে৷
মানুষ মানুষের দুখ দূর করতে পারে৷
যে মানুষের দুখ দূর করতে পারে সেই ভগবান৷
মানুষেই আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি৷ আল্লাহ নিরাকার৷ কুরআনে তার যে হাত থাকার কথা বলা আছে তা আসলে মানুষেরই হাত৷ মানুষই তার জাহির রূপ৷
মানুষের হাতই আল্লাহর হাত হয়ে মানুষের দুখ দূর করতে পারে৷
কিন্তু কুরআনের বিষয়গুলি না বুঝে সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আমরা মানুষের সমস্যার সমাধান না করে আল্লাহর উপর দায় চাপাচ্ছি৷
ভগবান= মানুষের শুদ্ধরূপ যা আল্লাহর গুনে গুনান্বিত৷
আরবিতে হবে ওয়াজ-আল্লাহর মুখ বা ঈশ্বরের সাকার রুপ৷
অমানুষ থেকেই মানুষ হতে হয়
মানুষ থেকেই মুমিন হতে হয়
মুমিন থেকেই আল্লাহর সাকার রুপ বা ভগবান হতে হয়৷
ভগবান হতেই মৃত্যুর মাধ্যমে লীন হয়ে আল্লাহর সাথে মিশে যেতে হয়৷
কিন্তু সমস্যা হলো আমরা অমানুষ পদবি থেকেই বের হতে পারতেছিনা৷ তাই নয় কি?
আল্লাহ অখন্ডনীয় (আহাদ) ও অসীম৷ তাই প্রতিটি মানুষের অন্তরে তিনি বীজরূপে(রুহ) আছেন৷ এই বীজকে যে বৃক্ষে পরিনত করতে পারেন তিনিই মুমিন৷ মুমিন থেকেই ওয়াজ-আল্লাহ বা আল্লাহর মুখ বা আল্লাহর সাকার রূপ বা ভগবান হতে হয়৷
মানুষই আল্লাহ জাহের(প্রকাশ্য) রূপ৷ এই রুপকে জীবসত্তার (নফস) অসৎ গুনাবলি দ্বারা যে ঢাকিয়া রাখে সেই কাফের৷ যে বিকশিত করে(আল্লাহর গুনে গুনান্বিত হয়) সেই ভগবান৷
১) ধরেন আপনি একটি পুতুল তৈরি করলেন৷ তাহলে আপনি পুুতুলের স্রষ্টা৷ পুতুল সৃষ্টি৷ তেমনি মানবদেহ আল্লাহর
সৃষ্টি৷ কিন্তু রুহ আল্লাহর সৃষ্টি নয়৷ কারন কুরআন বলে আল্লাহ নিজেই আদমের মাটির দেহে ঢুকে পড়ে৷ আল্লাহ যতক্ষন অবস্থান নেন ততক্ষন মানুষ বাচে৷ দেহ ছেড়ে দিলে মানুষ লাশ হয়ে যায় ৷ ফলে মানুষের রুহ আল্লাহই৷মানুষই আল্লাহর জাহের রুপ
আল্লাহ প্রকাশিত হওয়ার আগে বাতেন অবস্থায় ছিলেন৷ এটাও রুহ ও প্রচন্ড শক্তি৷ এটা এখনও একইভাবে বলবৎ
আছে৷ তাই তার আরেক নাম আল বাতেন৷ বাতেন শক্তিটি লা মোকামে (অসৃষ্ট স্থানে) অবস্থিত৷
জাহির (প্রকাশিত) বাতেন(অপ্রকাশিত) এরই রূপ
খন্ড তুমি অখন্ডেরই রূপ৷
আল্লাহ আল ইলাহ
সর্বোচ্চ ইলাহ বা সর্বোচ্চ উপাস্য৷
"আপনি কি তাকে দেখেছেন যে নিজের প্রবৃত্তিকে নিজের ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে।" [সূরা আল ফুরক্বান : ৪৩]
এখানে তাদের কথা বলা হচ্ছে যারা তাদের খেয়ালখুশীর অনুসরণে জীবনযাপন করে, এজন্যই প্রবৃত্তিকে তাদের ইলাহ বলা হয়েছে।