যে অপরের ১ টি হাজত পূরন করবে কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ তার ৭০ টি হাজত (চাহিদা) পূরন করবেন৷
এখানে ঈশ্বরের কাছে প্রশ্ন হলো বর্তমানে যিনি একজনের চাহিদা পূরন করতে পারেন না তিনি ৭০টি পূরন করবেন কিভাবে?
আসলে দুনিয়ার সাথে আখিরাতকে এমন কন্ডিশনে জড়িয়ে রাখা হয়েছে যেন দুনিয়াকে শুধু পরীক্ষা ক্ষেত্র হিসাবেই দেখাচ্ছে না বরং এর উপরই কোটি কোটি বছর পরকাল নির্ভর করে৷ তারমানে দুনিয়াই গুরুত্বপূর্ন৷ কিন্তু কেন?
আসলে জগত ঠিক রাখতে এমনটি করেন৷ পরকাল রূপক৷ বাস্তব নয়৷ মনকে হিপনোটাইজ (বশ) করে জগতের কল্যান৷ এটাই ধর্মের কৌশল৷
আল্লাহ কেয়ামতের ময়দানে ৭০ টি হাজত পূরন করবেন কিনা সেটি বড় বিষয় নয়৷ বিপদগ্রস্থ ব্যক্তিটি আপনার মাধ্যমে বিপদমুক্ত হলো৷ এটিই জগতের মানবিকতার জয়৷ ধর্ম বিবেকেরই বানী৷ চরম মানবিকতারই বানী৷ধর্ম শুধু কল্যানই করে৷
ধরেন আপনার কাছে ১০,০০০ টাকা দামের মোবাইল আছে৷ আপনি ঘোষনা দিলেন যে মোবাইল ভাঙ্গবে তাকে ১০ বছর জেলে রাখবেন৷ তার মানে আপনার কাছে মোবাইলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ তোমনি আল্লাহ দুনিয়ার অল্প কিছুর জন্যে জাহান্নামে কোটি বছরের ব্যবস্থা করেন৷ তারমানে আল্লাহর কাছে দুনিয়াটাই মুখ্য৷ এটাই কুরআনের ফিলোসফি৷ যা কবি সাহিত্যিক ও দার্শনিকতরা বলে গেছেন৷ যা মোল্লাদের মাথায় ঢুকে না৷ জগত ঠিক রাখতেই ধর্ম
ধর্মের উদ্দেশ্য জাগতিক কল্যান৷
১) আপনি আত্মহত্যা করতে গেলেন ধর্ম ১ কোটি বছর জাহান্নামে থাকার নিশ্চয়তা দেবে শুধু আপনার আত্মহত্যা থামানোর জন্যে৷ জাহান্নামে নেওয়া আল্লাহর উদ্দেশ্য নয়৷
২) এক ওয়াক্ত নামায না পড়লে ২ কোটি বছর জাহান্নামে থাকতে হবে৷ এর উদ্দেশ্য আপনি যাতে নামায পড়েন
৩) ব্যভিচার করলে তো সারাজীবন আগুন৷ যাতে মানুষ ব্যভিচার না করে৷
জগত ঠিক রাখতে ও মনকে শান্ত রাখতে ও সান্ত্বনা দিতেই ধর্ম৷ বান্দাকে কোটি কোটি বছর আগুনে পোড়ানো মূলত সতর্কতা অর্থে ও রূপক (মুতাশাবিহাত)
যা আল্লাহর ৯৯ নামের সাথেও সংগতিপূর্ণ না৷ আল্লাহ এতই দয়ালু যে তাকে নিষ্ঠুর ভাবাও পাপ৷