অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সম্প্রতি হরতালের বিকল্প কিছুর সন্ধান করিতেছেন। ইহা শোনার পর হইতেই মস্রতিষ্কের ভিতর বুদ্ধির পোকাগুলো নাড়াচাড়া দিয়া যাইতেছে। নিজের মাথায় সংগৃহীত বুদ্ধি বাদেও আশপাঁশ বিভিন্ন দিক ঘাঁটিয়া উনার জন্য ৪ টি বিকল্প ব্যাবস্থা বের করিয়াছি। ইহাতে যেমন জান-মালের সাশ্রয় হইবে তেমনি নিরাপদ। ইহাদের মধ্যে প্রথম ৩ টি Biological এবং শেষেরটি Informative.
ওগুলো নিচে বর্ণনা করা হইলঃ-
১। যাহারা হরতাল দিবেন তাহারা জামা-কাপড় খুলিয়া (সল্পবসন কিংবা একেবারেই জন্মপোশাক) রাস্তা-ঘাটের এইমাথা থেকে ওইমাথা পর্যন্ত দৌড়াদৌড়ি করতে পারেন। ইহাতে নেতাকর্মীদের বহুমুত্র রোগের আরাম হইতে পারে। রাস্তাঘাটে ওইরূপ অবস্থায় লোকজন দৌড়াদৌড়ি করিলে এমনিতেই রাস্তায় লোক চলাচল কম হইবে (বিশেষ করিয়া নারী জাতি রাস্তায় বাহির তো দুরের কথা জানালা দিয়াও বাহিরে তাকাইবে না) , গাড়িঘোড়া কম চলিবে। এতে হরতাল সফল হইবে।
২। যাহারা হরতাল দিবেন তাহারা হরতালের দিন রাস্তাঘাটে প্রাকৃতিক কাজ সারিতে পারেন। হাজার হাজার লোক যদি রাস্তায় মল-মুত্র ত্যাগ করে তবে রাস্তায় মানুষ খুজিয়া পাওয়া মুশকিল হইয়া পড়িবে। গাড়িঘোড়া চলিবে না। এমনকি পুলিশ পর্যন্ত থানা হইতে বাহির হইবে না। ইহাতেও হরতাল সফল হইবে।
৩। ইহা ১ নং এর সাথে কিঞ্চিত সম্পর্কিত। হরতালে যেই সকল নেতা-কর্মীদের বাতের বেদনা হয় তাহারা রাস্তায় গায়ে লোশন মাখিয়া সল্পবসনে কিংবা জন্মপোশাকে এক খানা ইজিচেয়ার লইয়া সূর্যস্নান (Sunbath) সারিয়া লইতে পারেন। ইহাতে বাতের ব্যামোর আরাম হইবে। আর রাস্তার উপরে হাজার হাজার মানুষ শুইয়া থাকিলে গাড়িঘোড়া যাইতে পারিবে না। প্রকারান্তরে হরতাল সফল হইবে।
৪। সবশেষে মিডিয়া দিয়া শেষ করি। সকল মিডিয়া যদি একজোট হইয়া হরতাল সম্পর্কিত কোন খবর না প্রকাশ করে তাহা হইলে জনগন জানিতে পারিবে না যে আগামীকাল হরতাল হইবে কি হইবে না। ফলে রাস্তা-ঘাট চারিদিক গাড়িঘোড়ায় টইটুম্বুর থাকিবে। ফলে কোন হরতাল হইবে না। তাহাদের তো আর খাইয়া দাইয়া এতো ঠ্যাকা পড়েনাই যে তাহারা ১৬ কোটি বাঙ্গালীর কানে কানে আসিয়া বলিবে আগামীকাল হরতাল। আর যেকেহ তাহাদের মুখের উপর জবাব দিতে পারিবে যে,"হরতাল ডাকসেন মিয়া আগে জানাইবেন না? হরতাল কি বাংলালিঙ্ক দামে পাইসেন যে যখন তখন ডাকেন???"
বিঃদ্রঃ- ইহা একটি রম্য পোস্ট।