একটু পুরানা খবর দিয়েই শুরু করি।
বাংলাদেশের মোট ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি (ইন্টারনেট সক্ষমতা) প্রতি সেকেন্ডে ২০০ গিগাবাইট। এর মধ্যে মাত্র ৩২ গিগাবাইট ব্যবহার হচ্ছে। ব্যবহার না হওয়া প্রতি সেকেন্ডের ব্যান্ডউইথের দাম ১৩৮ কোটি টাকা। অন্যদিকে সরকার বলছে অবকাঠামো না থাকায় এ মহামূল্যবান ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
বর্তমানে প্রতি মেগাবাইট পার সেকেন্ড ব্যান্ডউইথের দাম ৮ হাজার টাকা। এই হিসাবে ফেলে রাখা ১৬৮ গিগা ব্যান্ডউইথের দাম ১৩৮ কোটি। অন্যদিকে ব্যবহৃত ব্যান্ডউইথের দাম মাত্র ২৭ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে সাবমেরিন ক্যাবলে গত ৩ বছরে ৩০ লাখ টেরাবাইটের বেশি কনটেন্ট অব্যবহৃত ছিল। অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথের বাজার মূল্য বিশাল অংকের। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকার। দিনে দিনে এই ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশে যেই পরিমান ব্যান্ডউইথ অপচয় হচ্ছে তা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল, ভুটান এমনকি মায়ানমার(বার্মা) এ পর্যন্ত বিক্রি করে মুদ্রা উপার্জন করা সম্ভব। অথচ সরকারের এই দিকে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই।
একটু আগে সুনলাম বাঁশেরকেল্লা নাকি বন্ধ কইরা দিছে। গতবার বাশেরকেল্লা বন্ধ করার পর ৪ থেকে ৬ টা বাঁশেরকেল্লা পেজ খোলা হয়েছিল। এইবার বন্ধ করার কারনে আল্লাহ মাবুদ ই জানেন কয়টা পেজ খোলা হবে। এতে বিপুল অঙ্কের না হলেও বেশ ভালই ব্যান্ডউইথ এর অপচয় রোধ করা যাবে।
ব্যান্ডউইথ অপচয় রোধে সরকারের এই সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা জানাই।
অন্যদিকে ফেসবুকে ছাগুপেজের সংখা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ছাগুপেজের সাথে সাথে খাসিপেজের সংখ্যাও কম নয়। সেয়ানে সেয়ানে লড়াই কাহাকে বলে... ...
আর যাই হোক না কেন সাধারণ পাবলিক হিসাবে আমার দাবি সরকার যেন বাকি ব্যান্ডউইথ গুলার একটা হিল্লে করে।
আর কিছু কমু না। ব্যান্ডউইথ নষ্ট হইতাছে।
(লেখাটি ভালো লাগলে আমার জন্য দোয়া করবেন। একটু অসুস্থ আছি।)