১১-১০-১৫
আজ আমার মনটা অনেক অনেক আনন্দে পরিপূর্ণ। অনেকদিন পর প্রিয় একজনকে নিয়ে ডি ইউতে ঘুরলাম রিকশায় এবং পায়ে হেঁটে। কলা ভবনের এখানে সন্ধ্যার পর পর্যন্তও বসে ছিলাম ঝিম মেরে। টি এস সির ওখানে এমন সরগরম বক্তৃতায় কান গরম হয়ে যাচ্ছিলো। ওই জায়গা দ্রুত পার হয়ে গেছি। হাকিম মামার ( একদা নাকি মামা ৩০-৪০ বছর বিজনেস করেছে চায়ের! শুনেই গেলাম দেখার সুযোগ হয় নাই ) ওখানে গিয়ে আলুর চপ, আলুর চিকেন চপ, আলুর ডিম চপ, চিকেন টোস্ট, ভেজিটেবল রোল, চা খেয়েও দেখি পেট ভরে না। আজ অফিস থেকে আর্লি বের হয়েছি। গুলশান বনানীর জ্যাম পেরিয়ে যখন ঢাকা ইউনি আসলাম, সব ক্লান্তি যেন নিমিষেই উবে গেলো।
ঢাকা ইউনির সন্ধ্যার সৌন্দর্যই অন্যরকম। যা বলে বা লিখে বা ছবি তুলে কখনওই বোঝানো সম্ভব না। কার্জন হলের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার দুই পাশের গাছ গুলোর একে অপরের সাথে লেগে থাকা, সন্ধ্যার নীল আকাশ আর সোডিয়াম এর আলো এক অপার্থিব সৌন্দর্য! আমি বরাবরই সে সময়টায় আকাশের দিকে মুখ তুলে তাকিয়ে থাকি। কি যে একটা ফিলিংস হয় আমার! উফফ
আই লাভ মাই ঢাকা সিটি। বংশালের হোটেলে ঢুকে একটু খেতে পারলে পেটটা ঠান্ডা হতো। আমার খিদা লাগছে, খিদা লাগছের প্যানপ্যানানিতে আমার পার্টনার আমাকে নুডুলসও খাইয়েছে। আরেকজনের টাকায় জোর করে, ঘ্যানঘ্যান করে খাওয়ার মজাই আলাদা আর সে যদি হয় স্পেশাল কেউ!
আসার সময় পাঁচটা বেলি ফুলের মালা কিনে দিছে। রিং এ ঝুলাই রাখছি। ঘরটা সুবাসে ম ম করতেছে।
অনেক অনেক দিন পর আর্লি অফিস ফাঁকি দিয়ে এতোটা সুখ পাবো ভাবিনি, আর এতোটা আনন্দ নিয়ে ঘুমাতে পারবো ভাবতেই ভালো লাগতেসে। অলরেডি হাই তুলতেছি।
আই লাভ মাইসেল্ফ
১৩-১০-১৫
গতকাল সারাদিন, সন্ধ্যা ভেবেছি গতকাল ছিল ১৩ তারিখ, Tuesday। অথচ রাত ১০ টায় জানলাম গতকাল ছিল সোম বার। আমার মনটা তেতো হয়ে গিয়েছিল। ভাবছিলাম সপ্তাহটা কবে শেষ হবে। আজ সকালে অফিসেই আসতে ইচ্ছে করছিল না। ইচ্ছে করছে চলে যাই। সপ্তাহটা যদি এমন হতো একদিন কাজ করব আর পরদিন ছুটি কাটাবো!!!! খুব ভালো হতো!
১৪-১০-১৫
গভীর রাতের বৃষ্টি! জানালার গ্রিলের ফাঁক গলিয়ে হাতে বৃষ্টি মেখে কতটুকু আর শখ মেটে, মন ভরে!
তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে এই মুহুর্তে! সেই সাথে শীত শীত বাতাস ছাপিয়ে আসছে খুব টের পাওয়া যাচ্ছে। আশেপাশে গাছপালা আর মাটির পরশ থাকায় বৃষ্টির ছাঁটের সাথে মাটির ঘ্রাণ আর বৃষ্টির ঘ্রাণ একাকার হয়ে গেছে!
২১-১০-১৫
ঝড় উঠেছে তপ্ত হাওয়ায় হাওয়ায়
মনকে সুদূর শূন্যে ধাওয়ায়
অবগুন্ঠন যায় যে উড়ে
চক্ষে আমার তৃষনা...
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর লেখা সম্ভবত!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭