somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভূবন মাঝি কথন- মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে দুই প্রজন্মের চিন্তা ভাবনার একটা ব্রিজই ভূবন মাঝি

০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



যখন কোনো ইংলিশ / হিন্দি মুভি মুক্তি পায় তখন দেখি আসে পাশের সকলেই মুভি বিশেষজ্ঞ হয়ে যায়।ওয়াচিং এভেঞ্জারস,সুলতান,সানাম রে,এ দিল হে মুশকিল হ্যান-ত্যান বাল ছাল! কয়েকজন ইমোশনাল মানুষের কথা শুনলে বুঝে উঠতে পারিনা যে আসলে এদের নোবেল দেওয়া উচিৎ নাকি অস্কার।যেমন কয়েক দিন আগে একটা ওয়াচিং ট্রেড শুরু হলো আর তা হলো এ ওয়াচিং এ দিল হে মুশকিল।কয়েকজন তো আবার সেই ভাবে লিখছে যে অনেক কষ্ট করেও চোখের জল আটকাতে পারলামনা! আজব ব্যাপার। ওইটা কোনো সিনেমা হলো??? বালের ছ্যাঁচড়ামি ছাড়া তো আর কিছুই চোখে পড়লোনা! আচ্ছা বাদ দেই অসব ফাউল ছিঃনেমার কথা! আসলে আমাদের সমস্যা কোথায় জানেন? বাংলা ছবি তো সেই জন্য!বাংলা ছবি দেখি বল্লে বন্ধু মহলে মানইজ্জত থাকবেনা।স্ট্যাটাস দিলে ক্ষ্যাত বলবে।হা হা রিয়েক্ট করবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু সত্যিকারের বাংলা ছবির ইতিহাস বল্লে অনেকের গায়ের লোম খারা হয়ে যাবে।আজ না হয় থাক অসব। এমন অনেক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আছে যে গুলো আগে কেও চিনতই না কিন্তু শুধু মাত্র জনগন পাশে ছিলো বলে আজ তারা বিগ বাজেটের ফিল্ম বানানোর রিস্ক নিচ্ছে আর সফল ও হচ্ছে তার একটা উদাহরণ মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কয়েক দিন আগে যখন আয়নাবাজি মুক্তি পাইছিলো তখন তখন কতো হাইপ।কিন্তু মুক্তির ১ সপ্তাহ আগে মুভির নাম কয়জন জানতো?? ১০০ জনের ৫ জন? সংখ্যাটা হয়তো আরো লজ্জা জনক।কিন্ত বিভিন্ন গ্রুপে আলোচনা,ভিন্ন ধর্মী প্রচারনার দরুন আজ মুভিটি ১৬ সালের ব্যাবসা সফল একটি মুভি।যখন আয়নাবাজি মুক্তি পায় ওই সময়ই আরেকটা মুভি মুক্তি পাইছিলো তার নাম 'অজ্ঞাতনামা'।এই মুভিটা যে কত দেশই না ঘুরলো আর প্রশংসা পেল কিন্ত নিজ দেশে কেও নামই জানেনা! হায় খোদা। আর যখন নাম জানলো তখন অনেক দেরি হয়ে গেছিলো কারন তখন এই অজ্ঞাতনামা ইউটিউব এ ছড়াছড়ি। অনেকে আবার বলছে যে অজ্ঞাতনামা আয়নাবাজির থেকে ভালো!! আর এটি হলো বছরের সেরা ট্রল। যারা মুভি বুঝেনা শুধু মাত্র তাদের দ্বারা এত মূল্যবান বক্তব্য দেওয়া সম্ভব কারণটা এখন আমি ব্যাখা করছি। আয়নাবাজি একটি ক্রাইম-থ্রিলার ফিল্ম আর অজ্ঞাতনামা একটা ড্রামা ফিল্ম।এই দুইটা দুই জেনরের ফিল্ম তাকে কিভাবে আপনারা এক করেন আমার মাথায় আসেনা! সানি দেওল এর সাথে সানি লিওওনের তুলনা!!! যাই হোক আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সব ধরনের ফিল্মের ই প্রয়োজন আছে,শিকারি মুসাফির এর মত একশন মুভি থেকে শুরু করে মনপুরার মত রোম্যান্টিক ফিল্মের ও আবার অজ্ঞাতনামার মতো জীবন ভিত্তিক সিনেমার ও। হলিউড ফিল্ম মেকাররা তাদের বিখ্যাত লেখকদের বই এডাপ্ট করে মুভি বানাচ্ছে ইন্ডিয়াতেও হচ্ছে তাহলে আমাদের দেশে কেন হচ্ছেনা? কারন টা আমরাই। আমরা যদি বছরের দুই একটা ভালো মুভি নিয়ে আগ্রহ না দেখাই তাহলে কিভাবে প্রযোজকরা তাদের টাকা বিনিয়োগ করতে সাহস পাবে?তাই আমাদের সকলের উচিৎ এসব ভালো মুভিকে উৎসাহ দেওয়া।আমাদের দেশে ভালো নির্মাতার অভাব নাই।শুধু অভাব আছে ভালো দর্শকের।এই বার আসি আসল পয়েন্টে। আমাদের দেশে আরেকটি মাস্টারপিস ফিল্ম আসতে চলেছে আর তা হলো "ভুবন মাঝি"।আমি মুভিটার কথা অনেক আগে থেকেই জানি। কিন্তু অনেক ভালো দর্শকেরাই হয়তো জানেন না।মুভিটার ট্রেইলার গান সবই আমি দেখছি। সব গুলোই আমার কাছে ভাল্লাগছে।মুভিটা নিয়ে আমি অনেক আসাবাদী। আমার বিশ্বাস আপনারা ও যদি ট্রেইলারটি দেখেন তাহলে অবশ্যই মুভিটি দেখতে ইচ্ছা হবে।হলিউডে প্রত্যেক বছরই তাদের যুদ্ধ নিয়ে ২-৩ সিনেমা তৈরি হয় আর হিট ও পুরষ্কার ও পায়।যেমন লাস্ট অস্কারে তাদের ওয়ার ফিল্ম হ্যাকস রিজ মুভিটি নমিনেশন পায়।আর ১/২ পুরস্কার ও জিতছে। আসলে আমাদের সকলেরই নিজ দেশের যুদ্ধের ইতিহাস যানা উচিৎ। আর বিশেষ করে ছোটোদের ও বেশি জানা উচিৎ কারন আজকাল অনেকেই স্বাধীনতা দিবস মানে জানে ১৬ই ডিসেম্বরকে।হায় আফসোস। আমি চাইনা গেরিলা, আমার বন্ধু রাশেদ ইত্যাদি ফিল্মের সাথে যে অবিচার হয়েছে তা যেন ভুবন মাঝির সাথে পুনরাবৃত্তি না ঘটে।সরকারি অনুদান হওয়ার দরুন মুভিটির হয়তো প্রচারনা হয়নি কিন্তু আমাদের সকলের চাহিদাতেই ফিল্মগুলি নিকটবর্তী হলগুলোতে আনতে বাধ্য হবে।আয়নাবাজি যখন মুক্তি পায় তখন হলের সংখ্যা ছিলো ২৫ বা তার কাছাকাছি কিন্তু পরের ইতিহাস তো সবারই জানা।ভুবন মাঝি নিয়ে বেশি কিছু বলবোনা বিবেবক থাকলে বুঝানোর প্রয়োজন পরেনা।মুভির ট্রেইলার এর ডায়লগ গুলা আমার মন কাড়ছে।আর মুভির "আমি তোমারি নাম গাই" শিরোনামের গানটি এখন আমার পছন্দের তালিকার শীর্ষে। গানের দুইটা লাইন আমার মন ছুঁয়ে গেছে নিম্নে উল্লেখ্যঃ
"কবিতা গেলো মিছিলে মিছিল নিয়েছে চিলে,
অসহায় জন্মভূমি"
কথাটির মূল্য কতখানি তা একবার হৃদয় দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করলেই পেয়ে যাবেন।আমি আবারো বলছি এই সব মুভিদের পাশে দাঁড়ান নতুবা কেও আর অজ্ঞাতনামা,ভুবন মাঝি বা গেরিলা বানানোর সাহস দেখাতে পারবেনা!আমাদের ফিল্ম দায়িত্বটাও আমাদের।অন্যদেশের মানুষ ছবি দেখলেও তা কোনো কাজে দেবেনা।কারন টাকাই সব ভাই।প্লিজ সবাই হলে গিয়ে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে >>> ৩ মার্চ
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×