somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার জানালায়...

১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভোর বেলা থেকে রাস্তাটা নিরবই থাকে, বেলা হতে থাকে আর মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে, রাস্তার আশেপাশে সব কর্মব্যাস্ত মানুষের বাস, তারাই বেশি ব্যাবহার করে রাস্তাটা। তাই অফিসে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই চেহারাটা বদলে যায়, সাড়ে আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত মানুষ মানুষের গায়ে ধাক্কা দিয়ে চলতে থাকে, শুধু মাত্র নয়টা বা তার কিছু পর পর্যন্ত, তারপর আবার নিরব হয়েযায় সব। সারাদিন ধরে অল্প কিছু মানুষ আর কিছু পথশিশু হেঁটে বেড়ায় সেই রাস্তা দিয়ে, মাঝে মাঝে গরুর পাল হেঁটে যায় সাথে একজন রাখাল। বৈশাখের কটকটে রোদে সারাদিন একাই পোড়ে রাস্তাটা। ওটার ধারে একটা ছোট্ট মজা পুকুর, তাতে সারাদিন খেলা করে হাঁসের দল, প্রচন্ড গরমে তাদের আরামদায়ক সাঁতার আর গোসল দেখে ইচ্ছা হয় যদি আমিও হাঁস হতাম!

ছোট বেলায় ফড়িং ধরতে যেতাম পাশের বাড়ির বাগানে, ধরতে পারতামনা, উড়ে উড়ে অনেক উঁচুতে অনেক দূরে চলে যেত ফড়িংগুলো, মনেহত যদি আমি ফড়িং হতাম! ভাইয়া বলত তাহলে তোকে কেউ ধরে ফেলত আর তুই মরে যেতি, তখনই ইচ্ছা বদলে ফেলতাম ভয়ে, বলতাম তাহলে আমি পাখি হব, ভাইয়া বলত কি পাখি? বলতাম চড়ুই পাখি, ভাইয়া বলত তাহলে সবার আগে মারা পড়বি, সবাই চড়ুই পাখির বাসায় হামলা করে পাখি ধরে এনে রান্না করে খায়, তারপর ভাবতাম কোন পাখিটা সবচেয়ে উচু দিয়ে উড়ে, কিন্তু নিরাপদ কোনও পাখির নাম পেতাম না, ভাইয়া কোনও না কোনও বিপদ খুঁজে বের করত। খুব গরমে হাঁসদের সাঁতার কাটার আনন্দ দেখে আমার এখনও লোভ হয় হাঁস হওয়ার আবার তার পর মুহূর্তেই ভয় পাই যদি কেউ ধরে জবাই করে ফেলে!

হাঁসেরা চলেগেলে পুকুরটাও একা হয়েযায়, একলা একটা পুকুর একলা একটা রাস্তা। মাঝে মাঝে হাল্কা বাতাস বয় তাতে পুকুরে ঝিরিঝিরি ঢেঁউ হয়, ময়লা সবুজ পানিতে নীল আকাশের ছায়া পড়ে রংটা পরিষ্কার লাগে, মনেই হয়না এটা কোনও মজা পুকুর। পুকুরের ধারে একটা কড়ই গাছ ছায়া দিচ্ছে, ফুল ফুটেছে, বাতাসে গোলাপী ফুল গুলো দুলতে থাকে, রাস্তা ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় উদাসী ভাবটা কেটে যায়, হঠাৎ গাছের ওপরে চোখ উঠতেই সারিসারি অট্টালিকার দিকে তাকিয়ে মনেপড়ে যায় কত কাজ পড়ে আছে আমার।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×