somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাকিদের যে জাহাজটা আজ সের দরে বেচে দিচ্ছেন, সেই জাহাজটা দেখেই কৈশোরে আমরা মুক্তিযুদ্ধকে চিনেছিলাম।

১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডুবন্ত একটা জাহাজ, শুধু মাস্তুল দেখা যায়। আর কিছু না। বাসা থেকে বের হয়ে যে ডাকাতিয়া নদী, তার ঠিক অপর তীরেই ডব্লিউ রহমান জুট মিল। মিলের সামনেই, নদীতে জাহাজটা। অনেক মিথ ছিল জাহাজটাকে নিয়ে। অমুকে নদী পার হতে গিয়ে এটা দেখেছে, সেটা দেখেছে। কিন্তু সেই মিথগুলোকে নিয়ে নাড়াচাড়া করার মতো আমাদের অমন বয়স ছিলো না। আমরা ঘর থেকে বের হতে, স্কুলে আসতে যেতে, বিকেলে নদীর পাড়ে বসতে গেলেই সে বয়সে কোনো না কোনো ভাবে এই জাহাজটির কথা চলে আসতে। অমুক মুক্তিযোদ্ধা দেড় মাইল দুর থেকে সাঁতরে এসে মাইন দিয়ে ডুবিয়েছিলো। আবার আরেক দল বলতো: না, না। বোমা মেরে। আবার এই জাহাজ ডুবলে ভয়ে কোন কোন রাজাকার পালিয়েছিলো, কাদেরকে ধরে ধরে মারা হয়েছিলো এই নিয়ে বচসা হতো। বাজিও হতো। কোন পক্ষই জিততো না। আমরা সন্ধ্যায় এইসব গল্প মাথায় করে বাড়ি ফিরতাম। যেতে যেতে বহুকিছু চিন্তা হতো। ঐ এলাকার চারপাশে আমরা যারা যারা থাকতাম, তারা এই জাহাজটাকে নিয়ে কত কত বচসা করেছি,একে ঘিরেই আমাদের সাইকিতে কী করে মুক্তিযুদ্ধ ঢুকেছে তার বিবরণ আজ আর দেয়া সম্ভব নয়।

আজ শুনি জাহাজটাকে কেটে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। জানি না, এই সিদ্ধান্তের কারণ কী! ঐ নদী তো সংকীর্ণ ও হয়নি আগে থেকে। যা থাকার তাই আছে। তাহলে?

এটাকে চাঁদপুরের মানুষ থামাতে পারবে কী না জানি না। কিন্তু , আগামীবার লঞ্চঘাট থেকে বাসায় ফেরার সময় যখন ঐ রাস্তাটা পার হবো, যখন সন্ধ্যার সেই নিঃসঙ্গ, রহস্যময় জাহাজটার মাস্তুলটুকু আর দেখা যাবে না, তখন একটা দীর্ঘ শোচনায় মনটা ভরে উঠবে। এই জাহাজের সাথে আমাদের কতই না স্মৃতি, বিস্মৃতি; এসবকিছূ ফেলে জাহাজটি এবার সত্যিই আমাদের একা করে রেখে যাবে!

রিলেটেড পোস্ট: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১২:৪২
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×