এক জন অতি সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি কীভাবে আমার দেশকে এই সংঘাতের হাত থেকে বাঁচাতে পারি তা ঠিক আমার জানা নেই। নিজের বিবেকের কাছে আজ আমি প্রশ্নবিদ্ধ! দেশকে শত্রুমুক্ত কীভাবে করবো?
আমার গদবাঁধা জীবনের তো কোনো পরিবর্তন আমি ঘটাতে পারছি না। র্ভাচুয়াল দুনিয়াতে লিখে, ছবি শেয়ার করে নীরব প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু নিজেকে কোনো ভাবেই ক্ষমা করতে পারছি না এই ভেবে যে এতোগুলো নীরিহ মানুষের জীবন চলে গেলো এবং এখনো যাচ্ছে, সংঘালঘুদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছে আর আমাদের মহান দুই দল তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে খালাস হয়ে যাচ্ছেন। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন । বসে বসে দেখছি এবং শুনছি কিন্তু তাদের কাছে গিয়ে বলতে পারছি না চিৎকার করে যে দয়া করে থামুন। এবার একসাথে হয়ে দেশটাকে রক্ষা করুণ। লাখো শহীদদের রক্তের দাম দিন। ক্ষমতার লড়াই না করে দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার লড়াই করুণ।
একদল তো আমাদের তরুণ সমাজের আন্দোলনকে আর ব্লগারদেরকে নাস্তিকতা আর আস্তিকতার মধ্য সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। কিন্তু আস্তিকতার সঙ্গা কী তা পরিষ্কার করে বলেনি। জামায়াতরা যে এতো মানুষের জীবন নিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে কি নাস্তিক বলবো না আস্তিক তা পরিষ্কার নয়!!
শুধু মানুষকে কুপিয়ে আর শ্বাস রোধ করে হত্যাই নয় সাধারণ জনগণের চোখে ধূলো দিয়ে চাঁদে সাঈদীকে দেখা যায় গুজব ছড়াচ্ছে জামায়াত। এতে প্রধান দুই দলের কোনো ক্ষতি হয়েছে কী না জানি না! কিন্তু দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধীকারী সাধারণ মানুষের জীবন হারাতে হয়েছে, এই আর কী। কী অদ্ভুত আমরা!!! ভাবতেই যেন কেমন লাগে? আমরা এখনো অন্ধকার যুগেই আছি।
নেট কথা হলো সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে। মাঝ খান দিয়ে দুই দল পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে একে ওপরকে দোষারোপ করছে। কিন্তু এতে কোনো সমাধান আসছে না। কবে জামায়াতের এবং এর সমমনা দলগুলোর সন্ত্রাসের রাজনীতি চিরতরে বাংলার মাটি থেকে নির্মূল হবে তা ধোয়াসাচ্ছন্ন!
অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে হতাশ হয়ে যাই মাঝে মাঝে। আর ভাবি যে আর কতদিন জেগে থেকে ঘুমানো অভিনয় করবো? মা কে বাচাঁবো কী করে? জবাব খুজঁছি...