somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালো না লাগলে চাকরি ছেড়ে দিন: হাসিনা আপা (আপার কথাগুলো চরম লাগছে দেখে কপি দিলাম জাতির উদ্দেশ্য )

১২ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কাজ করতে না চাইলে সরকারি চিকিৎসকদের চাকরি ছেড়ে দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একইসঙ্গে চিকিৎসকসহ সমাজের সব স্তরের মানুষকে ঠিকমতো আয়কর দেওয়ারও আহবান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ১৯তম মেডিকেল সম্মেলন ও বিশেষ বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, "একটা অভিযোগ আমাকে সব সময়ে শুনতে হয়। তা হলো- উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে জাক্তাররা থাকেন না। আপনারা সরকারের চাকরি করবেন, সরকারের টাকা নেবেন। কিন্তু কর্মস্থলে থাকবেন না। সরকারি চাকরি যদি ভালো না লাগে, তা হলে ছেড়ে দেন।"

মেডিকেলে পড়ার খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এই খরচ আসে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে। জনগণের তো চিকিৎসা পাওয়ার আকাক্সক্ষা থাকবে।"

চিকিৎসদের মানসিকতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, "বিএমএর সেক্রেটারি যখন এখানে আপনাদের দাবি উত্থাপন করছিলেন, তখন সবাই বেশ জোরে জোরেই তালি দিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি যখন বললেন- 'অন্তত একটি দিন আমরা ফ্রি চিকিৎসা দেবো', তখন কেউ তো হাত তালি দিলেন না।"

শেখ হাসিনার এই কথার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই তালি দিয়ে ওঠেন।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, "এখন কোন আপনারা তালি দিলেন আমি জানি না। তবে, আপনাদের এই আচরণে আমি দুঃখ পেয়েছি।"

চিকিৎসকদের ব্যবহার ভালো হলে রোগী অর্ধেক ভালো হয়ে যায় মন্তব্য করে 'দরদী মন' নিয়ে মানুষের সেবা করার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বর্তমান মন্ত্রিসভায় পাঁচজন ডাক্তার রয়েছেন। তারা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। সবাই আপনাদের যথেষ্ট মর্যাদা দেন। আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি- দরিদ্র মানুষ যেন স্বাস্থ্য সেবা পায়।"

চিকিৎসকদের ঠিকমতো আয়কর দেওয়ার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ডাক্তারদের মধ্যে কর দেওয়ার প্রবণতা কম। আপনারা কর দিলে সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং আপনাদের করের টাকায় জনসেবাও হবে।"

কারো নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, "অনেকে দরিদ্র মানুষের জন্য অন্তপ্রাণ। কিন্তু, তাদের মাইন্ড সেট হয়ে গেছে- কীভাবে একটু কর ফাঁকি দেওয়া যায়। বিশ্বখ্যাত মানুষেরা কর ফাঁকি দিতে এদিকের টাকা ওদিকে নেয়। নয়-ছয় করে। দেশে বিদেশের অনুদান এনেও নয়-ছয় করে। কিন্তু, তারা বুঝতে চান না, তাদের করের টাকা যায় দরিদ্র মানুষের উন্নয়নে।"

স্বাস্থ্যখাতে সরকারের গত দুই বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা জানান, নতুন স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নের কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে।

ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে পঙ্গু হাসপাতালের উন্নয়নের বিষয়েও গুরুত্ব দেন তিনি।

বেসককারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে মৌলিক গবেষণায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "রোগ নিরাময়ের চেয়ে রোগ যাতে না হয়- সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।"

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক সরকারি চিকিৎসকদের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, "গ্রামে পাঠালে আপনারা মামা-কাকাদের ধরে শহরে চলে আসেন। আর, সংসদে আমাকে আর প্রতিমন্ত্রীকে গালি খেতে হয়।"

লাল-সবুজ রঙের ওষুধের মোড়ক দেখিয়ে মন্ত্রী চিকিৎসকদের বলেন, "এই লাল-সবুজ মোড়কের ওষুধ শুধু সরকারি হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য। আপনারা খেয়াল রাখবেন, এই ওষুধ যেন বাইরে কিনতে পাওয়া না যায়।"



কপি মারা হইছে বিডিনিউজ থেকে।
১২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×