কেয়ারটেকার সরকারের আমলে বিটিআরসি ভিওআইপি ব্যবসার বিরুদ্ধে মোটামুটি চিরুনি অভিযান চালিয়েছিল এতে সরকারের মানে বিটিসিএল এর রেভিনিউ বেড়ে গিয়েছিল কয়েকগুন। গ্রামীনফোনসহ আরও অনেক মোবাইল অপারেটর এর জরিমানা করা হয়েছিল কয়েক শ কোটি টাকা। তারপর কেয়ারটেকার সরকারের বৈধ লাইসেন্স দেয় অনেকগুলো কোম্পানিকে। এরপর সরকারের পালাবদলে আওয়ামিলীগ সরকার এসে কিছুটা ভাটা পড়ে যায় ব্যাপারগুলি। তবে গত বছর আমরা বিটিআরসির
অভিযান চালাতে দেখি ঢাকা ফোনসহ এদেশর ফিক্সড পিএসটিন অপারেটর গুলোর বিরুদ্ধে। ভিওআইপি ব্যাবসার কারনে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেয়। কর্মহীন হয়ে পড়ে অনেক মানুষ।তবে হ্যাঁ আইন সবার জন্য সমান হওয়া দরকার। অবৈধ কাজ সেটা যেই করুক না কেন শাস্তি দরকার আছে। কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ান এয়ারটেল বাংলাদেশে ওয়ারিদ টেলিকম এর মালিকানা কিনে এয়ারটেল বাংলা নামে ব্যবসা শুরু করে। তাদের কার্যক্রম শুরুর পর এদেশের সাধারন মানুষের মনে একটা আশার সঞার হয়েছিল যে হয়তোবা এয়ারটেল বাংলা তাদের Value Added Service ও কল রেট এবং নেটওয়ার্ক এর মান উন্নতি করবে।কিন্ত তা হয়নি বরং তারা জমিয়ে তুলেছে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা । প্রতিদিন বিদেশ থেক যত কল আদান-প্রদান হয় তার ৮৫ ভাগ কল এয়ারটেল বাংলার এর মাধ্যমে হচ্ছে।এয়ারটেল মুলত বাংলাদেশে আসে ভিওআইপি ব্যবসা করার জন্য। যাদের স্বজনরা বিদেশ এ থাকেন তারা ব্যাপারটি খুব ভাল করেই জানেন। অথচ আমাদের নিয়ন্রন সংস্থা বিটিআরসি এখন ঘুমিয়ে আছেন। প্রতিদিন আমাদের সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে আর তারা মুখে বড় বড় বুলি মেরে টকশো করে বেরাচ্ছেন। এখন আমার প্রশ্ন বিটিআরসি যেসব দেশী কোম্পানিগুলো বন্ধ করে দিল তাদের তা হলে দোষ কি ছিল???? এয়ারটেল যদি চুটিয়ে ব্যবসা করতে পারে তাহলে বাংগালিরা কি আঙুল চুষবে???? দেশ থেকে টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে আর আমাদের কর্তারা টাকা খেয়ে খেয়ে দেশটার বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। এভাবে আর কতদিন চলবে? আমাদের মনে কি কখনও দেশপ্রেম জাগবে না ????
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:০৮