somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আঙুল কেঁপে কেঁপে ওঠে!

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রিয় লুবনা!
প্রাণের ভেতরে দোল খেয়ে যায় উতলা বাতাস!
অামি ভাবতেই পারছি না, তোমাকে দেবো পত্র, হৃদয়ের তন্ত্রীগুলো খুলে যাবে উচ্ছ্বাসে ভরবে ফের এই পোড়া মন!!
কেন যেন মনে হয়, তোমার পাশেই আছি সবসময়। তাইতো লিখতে মোটেও ইচ্ছে হয় না। চোখ দুটো মুদে গেলে সেখানে ভেসে ওঠে তোমার মুখায়ব। তোমার মায়াময় চোখখানি সর্বদা অনুসরণ করে আমায়।
জানটু, তোমাকে লিখতে চাই কিন্তু ভাষা হারিয়ে যায়। হাতের আঙুল কেঁপে কেঁপে ওঠে!
যখন শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম, ভেসে ওঠে তোমার মুখখানি। আমি ফিরে আসি ফের ধরণীতে। যখনই বিষাদ জেঁকে বসে মনের ভেতরে; তোমার হাসিমুখ আর অভয় বাণী কানে বাজে অমৃতের মতো।
তুমি জানতে চেয়েছিলে, তোমার ভেতরে প্রশ্ন কিলবিল করছিল- চিঠিখানি আমার হস্তগত হবে কি না? তোমার লেখা মুক্তোদানাগুলো আমার নজরে আসবে কি না। তোমার সংশয় ছিল, চিঠিখানি আমার কবরের পাশে পড়ে থাকবে কি না। অথবা, আমার শিয়রে বসে কান্নার রোলে ভাসাবে শেষ চিঠির শব্দগুলো!
আমি সবসময়ই বলে আসছি, বিধাতা আমাদের পাশে আছে। তিনি জানেন- আমাদের ভালবাসা কত পবিত্র! এখানে লোভলালসার কোনো স্থান নেই। কেননা আমাদের কাছাকাছি আসা আগে থেকেই নির্ধারণ ছিল।
বহুদূরে রয়েছ, তবুও কখনও ভাবতে পারি না, আমার কাছে নেই তুমি। তোমার শরীরের গন্ধ আমাকে শরীরময়! আমি তোমার সুবাস পাই অহরহ।
আচ্ছা, আমরা কখনো কি সমুদ্রের ধারে যেতে পারবো? বিশ্বাস করি পারবো। দুজনে হাত ধরে মাখবো শেষবিকেলের লালাভ আলো; সমুদ্রের জলে ভেজাবো পা। আমার বুকে ফেলবে তোমার স্বস্তির নি:শ্বাস!
অবিশ্বাস করবে আমায়? না করো না। ভুল করতেই পারি, ভুল তোমারও হতে পারে। তবে দুজনার লক্ষ্য যদি এক হয়- এসব কিছুই না। আমি ভুল করেছি, অন্যায় করেছি তোমার সাথে। কিন্তু কখনো ভাবতে পারিনি অপরাধ করেছি। তবে, ভুল জায়গায় নৌকা বেঁধেছিলাম। এটি আমার মজ্জাগত। তুমি তো জানো, ভালবাসার কতখানি কাঙাল আমি; বিশ্বাস করে করে ঠকেছি বারবার। যাকে হৃদয়ের সবটুকু নির্যাস দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করেছি, সেই হারিয়ে গেছে এই বিশ্বাস থেকে। তোমার ভেতরে সেই বিশ্বাসটুকু এখনও বিদ্যমান। তাই সব হারিয়ে তোমাতে ঠেকেছি আজ। তোমার ভেতরে কী যে অমূল্য ধন রয়েছে, আমি অনুভব করি প্রতিনিয়ত।
সোনাপাখি, তুমি বোঝো বলেই আমার জগৎটা আজ এতো সুন্দর প্রফুল্লময়। সৃষ্টিকর্তা তোমাতে আমাতে দিয়েছেন এক অপূর্ব রসায়ন; সেই কেমিস্ট্রিতে ভাসি দুজন। এই ভালবাসা অনাদি আর অনন্তকালের।

তোমারই ফালতু
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×