মস্তিষ্ক, মানবদেহ বড়ই আজব। প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এর গঠন,কার্যক্ষমতা,কার্যপ্রক্রিয়া এসব নিয়ে ভাবতে গেলেই একটা জায়গায় গিয়ে চুপচাপ প্রশংসা করেই খুশি থাকতে হয়। অবশ্য যে জ্ঞান আহরণকারী সে হয়তো বা গভীর থেকে গভীরে যাওয়ার যাত্রা সচলই রাখে কোন না কোন ভাবে। আর এসব নাহয় বাদ দিলাম। মস্তিষ্ক, যে জিনিসটার নাম নিয়ে পোস্টের শুরু। সে জিনিসটা বোধহয় মানবদেহের আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ স্বরুপ। যার গঠন নিয়ে পড়াশুনা করেই শেষ করা যায় না, আর কার্যকারিতা অথবা কার্যক্ষমতা নিয়ে পড়তে গেলে এক সময় দেখা যায় নিজের মস্তিষ্ক এর কোন একটা ক্ষুদ্র নিউরণে শর্টসার্কিট হয়ে হাল ছেড়ে দিয়ে আবোল-তাবোল বকতে হয়। ভাবতেই কতটা জটিল লাগে, আর যখন এ নিয়ে পড়াশুনা করতে হবে! তখন তো জটিলতার সীমারেখা কে সুন্দর করে মুছে দিয়ে নিয়ে তারপর বসতে হবে। শুরু থেকেই জেনে রাখতে হবে যে সীমা বলে কিছু নেই এখানে। এরপর আপনি পড়তে বসুন মস্তিষ্ক নিয়ে।
একটা মিথ চালু আছে যে মানুষ তার মস্তিষ্কের ১ ভাগ ব্যবহার করতে সমর্থ। কোথাও কোথাও সেটা ১০ ভাগ। বেশিরভাগ স্থানে, ১০ ভাগ উল্লেখ করা আছে। যাই হোক, এটা নিয়ে এত মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। এটা যে শুধুমাত্র একটা মিথ এতে কোন সন্দেহ আমার অন্তত নেই। সেই মিথের উপর বেজ করেই বলছি,
ধরুন আপনি ব্রেইন এর ১০ ভাগ ব্যবহার করতে সমর্থ। এখন মানব ইতিহাস ঘেটে দেখুন, কোথায় আমরা ছিলাম আর এখন কোথায় আছি। অথবা এখনো অনেক কিছুই ভাবতে অসমর্থ অথত অন্যদিকে কেও না কেও তা করে বসে আছে। পুরো মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ যদি আমরা পেতাম তবে কি হতে পারে ভেবে দেখছেন? জ্ঞানের সীমা বলে কিছু থাকবে না, না থাকবে দুনিয়াতেই কোন কিছুর সীমা, আপনার কাছে। ভেবে দেখুন, আপনিই হতে পারেন সবার থেকে আলাদা, সর্বোত্তম মানুষ। সৃষ্টির সেরা জীবদের মধ্যে সেরা, অসম্ভব কে হাতের ময়লা করে নিয়ে আপনিই হতে পারেন সর্বেসর্বা। ভাবতেই কেমন রোমাঞ্চকর অনুভূতি নাড়া দিয়ে যাচ্ছে, তাই না ?
হুম, সম্ভব হলে কত ভালোই না হত। এক লাফে অনেক দূরে এগিয়ে নেওয়া যেত দুনিয়াটা। আচ্ছা, এগিয়ে নেওয়া যেত বলেছি মনে হয়? কি এগিয়ে নেওয়া যেত ? মূলত কি এগোয় আর কি পেছোয় ? সভ্যতা ? নাকি সময় ?
ধরুন, মনোরম পরিবেশে সবুজ মাঠে বসে একটা গাড়ি দেখছেন সামনের রাস্তা দিয়ে খুব জোরে চালিয়ে গেলো। পরের টা আরো জোরে, পরের টা তার চেয়েও জোরে। এভাবে যত দ্রুত গাড়ি পার হচ্ছে, সেই গাড়ির প্রতিকৃতি ও ঠিক পাল্লা দিয়ে ঝাপসা থেকে আরো ঝাপসা হচ্ছে, তাই না ?
এমনটাই হওয়ার কথা। ঝাপসা হতে হতে যদি অদৃশ্য হয়ে যায়? তবে ? কোথায় যেতে পারে গাড়িটা?
অদৃশ্য হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার, কিন্তু গাড়িটি কোথায় যলে যাবে? একদম হাওয়ায় মিলিয়ে নিশ্চয় যেতে পারে না। তার অস্তিত্ব নিশ্চয় একদম এভাবেই বিলীন হয়ে যেতে পারে না ?
হুম, ভাবার বিষয়। আচ্ছা, আমি তো আর উত্তর জানিনা। প্রশ্ন গুলো জানি। দেখুন ভেবে কার মাথায় কি উত্তর আসে। আমার মাথায় আপাতত কোন উত্তর আসেনি, কিছুদিন ঘাটাঘাটি করে দেখা যাক কোন যথাযথ সমাধানে পৌছতে পারি কি না, অথবা নিউরণে শর্ট সার্কিট হয়ে নিজেই উধাও হয়ে যাই কি না।
যাওয়ার আগে এসব প্রশ্নের আগমণ কিরুপে হল তা নিশ্চয় জানিয়ে যেতে পারি?
হুম, LUCY মুভিটি দেখে। আপনারাও দেখতে পারেন, কার মনে কি প্রশ্ন জাগে তা জানতে আমিও আগ্রহী। দেখা যেতে পারে আমার মনে যেটা প্রশ্ন, কারো মনে সেটার উত্তরটাই প্রশ্ন হিসেবে আগমণ ঘটবে। এক্ষেত্রে আমরা একে অপরের সহযোগী তো হতেই পারে, জ্ঞান বিনিময়ে বাড়ে, জানা তো আছে নিশ্চয়।
মুভিটির আইএমডিবি লিঙ্ক
মুভিটির টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্ক ৭২০পি
মুভিটির আইডিএম ডাউনলোড লিঙ্ক
জানিনা কার কেমন লাগবে তবে আমার খারাপ লাগেনি খুব একটা, কন্সেপ্ট টা বিশেষ করে বেশ ভালো ছিল। তবে মুভিটার এক্সিকিউশনে ঘাটতি ছিল। এটা মিনিমাম তিনটা পার্ট এ করা দরকার ছিল। কন্সেপ্ট টা এত কম সময়ে ঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা বৃথাই গিয়েছে বলে আমি মনে করি। সব মিলিয়ে রেটিং ৬/৭ দেওয়া যেতে পারে।
আলোচিত ব্লগ
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।
মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অহমিকা পাগলা
এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
হার জিত চ্যাপ্টার ৩০
তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবনাস্ত
ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে
প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন