একসময় মনে হতো কবিতা আর সম্ভব নয়,
ভাল ভাল কবি ছাড়া কবিতা কি ভাল হয়!
কি দরকার কবিতার সে কি পারে কিছু বোঝাতে,
কবিরাতো সেটাই লিখেন তাঁরা যখন যেটাতে মাতেন।
কত বড় বড় কবি, তাঁদের কত অর্থবহ কবিতা,
আমি কি ছাইপাঁশ লিখি যেন খাবার ডালে তেজপাতা।
অল্প তেজপাতাও বেশ ভাল লাগে ডালে আনে ঘ্রাণ,
অনেক কবি কবিতার ভিড়েও খুঁজে ফিরি নিজের প্রান।
সে অনেক আগের কথা,
যখন ছড়া ছাড়া পড়িনি কোন কবিতা,
তখনও হাসাহাসি হতো, বলা হতো কবিতাতো সব শেষ,
যা বলার ছিল তা কবিদের দিয়ে আগেই শেষ করেছেন বিধাতা।
তাই যদি হয় তাহলে এখন কি কবিতা হয়না, কবিতা আসলে কি?
সেটা খায় না পরে যে তা নিয়ে কবিরা করে মাতামাতি।
যেটা পড়ে বোঝা যায়, একটা অর্থ নিহিত থাকে,
কিংবা রূপকভাবে কিছু ইঙ্গিত করে, সবাই বুঝতে পারে – সেটা কবিতা,
নাকি কঠিন শব্দের ঝংকারে সব মাথার উপর দিয়ে যায় – সেটা কবিতা?
আমি বুঝিনা কোন, আমি বড্ড খোকা, তবে অনেকে বলে বোকা।
যাকগে সেসব কথা, এবার বলি অন্য কথা,
কিরে তোর কবিতা কেমন চলে?
এক বন্ধু আমায় জিজ্ঞেস করে বলে।
কবিতা কি আমার পেট চালায় যে সে চলবে!
মনের মাঝে সে যখন আসে এমনি ছন্দে সে ভাসে,
প্রভাত, নিঝুম রাত কিংবা বরষা কতকিছুরইতো ছড়াছড়ি,
কখনোবা নীলাম্বর সেজে খুঁজে ফিরি কল্পনার নীলাম্বরী।
পেট চালাতে যেমন চাকরী করি নিত্য,
তেমনি মন ভরাতে চর্চা করি খানিক সাহিত্য।
তোর ওসব লেখায় কেমন পাইস লাইক?
আমি অবাক হই, ভাবি
লাইকে যদি বোঝা যেত কবিতা তাহলে একটা
কবিতা লিখে এলান করতে ভাড়া করতে হতো মাইক।
তুইতো লাইক দিসনা তাইনা, তাহলে একটা কথা শোন,
তুইই যদি লাইক না দিস তাহলে
আমার লেখায় লাইক দিবে কি নির্মলেন্দু গুণ?
দোষ দেইনা ওই বন্ধুকে, তাঁকে আরো নিকট বন্ধু ভাবি
হতে পারে তাঁর দেয়া কিছু কথা আমার উন্নতির জন্য চাবি।