শিক্ষকঃ তুই কি প্রাকৃতিক শব্দ নিয়ে কখনো ভেবেছিস?
ছাত্রঃ জি স্যার।
শিক্ষকঃ প্রাকৃতিক কোন শব্দটি তোকে বেশি ভাবায়?
ছাত্রঃ পাদ।
শিক্ষকঃ পাদ! কেন?
ছাত্রঃ পাদ একটি প্রাকৃতিক বিষয়। আর এর গন্ধ না পেলেও চলে, শব্দটি শুনলেই অনেক কিছু এমনি এমনি ভাবা হয়ে যায়। অনেক গল্প, অনেক স্মৃতি মনে পড়ে।
শিক্ষকঃ আর..
ছাত্রঃ শব্দ তৈরির সময় পদার্থের মধ্যে প্রতি সেকেণ্ড একবার স্পন্দনকে বলা হয় ১ হার্জ। মানুষ কানে ২০ থেকে ২০,০০০ হার্জ স্পন্দনের শব্দ তরঙ্গ শুনতে পায়। কেউ যেন না শোনে তাই অনেক সময় ইনফ্রা সাউন্ডেই অনেকে পাদ মারে, আর পাদের মাধ্যমে আল্ট্রা সাউন্ড করা সম্ভব নয়। পরিবেশের জন্য স্বাস্থ্যকর শব্দের তীব্রতা হল ৬০ ডেসিবল হলেও ইনফ্রা সাউন্ডেই পাদের জন্য ভাল।
শিক্ষকঃ বাহ, তোর পাদ অর্থাৎ কথার গতি বাতাসের গতির চেয়েও বেশি চলে দেখছি!
ছাত্রঃ জি স্যার, কোন বস্তু শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে বাতাসের মধ্য দিয়ে ধাবিত হলে তাকে সুপারসনিক বলে।
শিক্ষকঃ আচ্ছা সুপারসনিক, বল দেখি, কোনটি বেশি ভয়ংকর, বিদ্যুৎ চমকানি নাকি তার শব্দ?
ছাত্রঃ শব্দ।
শিক্ষকঃ কেন?
ছাত্রঃ বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ চমকানি দেখার সুযোগ হয় না। শব্দ শুনেই বোঝা যায় বিদ্যুৎ চমকিয়েছে কিনা। শব্দ বেশি হলে বুঝতে পারি বিদ্যুৎ চমকানিটাও বেশি হয়েছে। ভয়ও বেশি লাগে। সেহেতু শব্দটাই বেশি ভয়ংকর।
শিক্ষকঃ বল দেখি শব্দের গতি বেশি নাকি আলোর গতি বেশি?
ছাত্রঃ এটা কোনো প্রশ্ন করলেন স্যার! শব্দের গতি প্রতি সেকেন্ড মাত্র ৩৪৩.৪ মিটার, আর আলোর গতির মান ৩X১০ পাওয়ার ৮ । অর্থাৎ ২৯৯,৭৯২,৪৫৮ মিটার (২৯ কোটি সাতানব্বই লক্ষ ৯২ হাজার ৪৫৮ মিটার)।
শিক্ষকঃ আচ্ছা ধর, তোকে কানমলা না দিয়ে আলোর গতিতে একটা ঠাস করে থাপ্পড় দিলাম, তা দেখে যেন অন্য কেউ এমন করে উত্তর দেয়ার সাহস না পায়। সবার সামনে পাদের কথাও না বলতে পারে!
ছাত্রঃ সমস্যা আছে স্যার, এতো গতির থাপ্পড় কেউ দেখতে পাবে না। আপনি যেহেতু থাপ্পড় দেখাতেও চান আবার তার শব্দ শোনাতেও চান তাহলে আপনাকে বাতাসের গতিতে অর্থাৎ পাদের গতিতেই থাপ্পড়টা দিতে হবে। কারণ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় বা হারিকেনে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১৭ কিলোমিটার হলেও তার গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩২.৫ মিটারের বেশি নয়।