পোস্টের টাইটেলের মতো এতো সহজ না ব্যপারটা। তবে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে যে, ব্যক্তিপর্যায়ে যে সকল ভিডিও খুব জনপ্রিয়তা পাবে তাদের সাথে লাভের অংশ শেয়ার করবে।
রেফারেন্স স্বরুপ বলা যায় ইউটিউব ইতোমধ্যেই কপিরাইটেড ভিডিও আপলোডারদের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের অর্থ ভাগাভাগি করেছে।
ব্যক্তিগতভাবে ভিডিও আপলোডারদের এই লাভের অংশ দেয়ার কর্মসূচী প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই শুরু হতে যাচ্ছে। ইউটিউব জানিয়েছে, পরে তারা এর আন্তর্জাতিক সংস্করণও তৈরি করবে।
অনেকেই এখানে কপিরাইট আইন না মেনে ভিডিও আপলোড করেন। যেমন, সিনেমার ক্লিপ, টিভি সিরিয়াল, মিউজিক ভিডিও ইত্যাদি। তবে, আপাতঃদৃষ্টিতে এ ধরনের ভিডিও জনপ্রিয় হলেও নতুন এক ধরনের ভিডিও দিন দিন আরো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, যাকে বলা হচ্ছে- ভাইরাল ভিডিও। ইউটিউবের লক্ষ্য এই ভাইরাল ভিডিও আপলোডারদের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের অর্থ ভাগাভাগি করা।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভাইরাল ভিডিও হচ্ছে সেই সব ভিডিও ক্লিপ যেগুলো বিভিন্ন ব্যক্তির তৈরি করা এবং যেগুলো বিষয়বস্তুর কারণেই জনপ্রিয়তা পায়। যেমন, উত্তরপূর্ব ইংল্যান্ডের লরেন লুক ২০০৭ সালে মেকআপ এবং রূপচর্চার টিপস বিষয়ক ভিডিও আপলোড করা শুরু করেন এবং সেগুলি দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো।
জানা গেছে, ইউটিউব এরপর লরেন লুকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। দুই বছর পর দেখা যাচ্ছে, এক সময় যেটি ছিলো নেহাত শখের কাজ, ইউটিউবের সঙ্গে পার্টনারশিপের কারণে লরেনের জন্য আজ সেটিই হয়ে উঠেছে তার অন্যতম প্রধান ইনকাম সোর্স।
ইউটিউবের প্রডাক্ট ম্যানেজার শেনাজ জ্যাক তার ব্লগের মাধ্যমে জানান, ‘ব্যাক্তিপর্যায়ে ভিডিও আপলোডকারীরা তাদের কাজের মাধ্যমে কেমন আয়-রোজগার করেন, সেটি দেখার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:২৪