somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাই সচেতনতা

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকা! বাংলাদেশের রাজধানী, দেশের বৃহত্তম ও ব্যস্ততম নগরী. আমার জন্মস্থান. আশির দশকের ঢাকা আর বর্তমান ঢাকার পার্থক্য আকাশ পাতাল. বিগত তিন দশকে ঢাকায় অবকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে লার্জ স্কেলে. সু উচ্চ ইমারত বহুতল অট্টালিকার ভিড়ে খোলা আকাশটাও কথাও কথাও বন্দী হয়েছে. এই তিন দশকে দেশের সকল প্রান্ত থেকে মানুষ ঢাকায় এসে স্থায়ী হয়েছে. ভীড় আরো বেড়েছে,চাপ পরেছে নাগরিক সুযোগ-সুবিধায়. জন্মের পর থেকেই বাংলাদেশীদের মধ্যে জাতীয়তাবোধের প্রচন্ড অভাব লক্ষ্য করা যায়, ঢাকা বাসীদের মধ্যে নাগরিক বৈশিষ্টে টা আরো প্রকট ভাবে চোখে পরে, বিভিন্ন সময়ে সরকার এই সমসার পালে আরো হওয়া দেন বিভিন্ন জেলার লোকদেরকে ব্যাপক ভাবে সুবিধা দেবার মাধ্যমে.
ঢাকায় আমরা বসবাস করি ঠিকই,কিন্তু ঢাকাকে মনে প্রাণে নিজের বলে ভাবতে পারিনা, তাই এর সাথে ব্যবহারও করি যথেচ্ছ. ফলাফল ঢাকা বিশ্বে বসবাস অযোগ্য নগরীর কাতারে প্লেস পেয়েছে.
যাক এইসব বুলি কপচানো বন্ধ করি, আসল কোথায় আসি.
এক রানা প্লাজা ধস এ কত মানুষের প্রাণ গেল, আর আমরা ঢাকাবাসীরা যে একটা জীবন্ত এটম বম এর উপরে বসবাস করতেসি আমরা নিশ্চই জানি. হ্যা ঠিকই ধরেছেন, ঢাকার ভুমিকম্পের রিস্ক এর কথাই বলছি

বাংলাদেশ তার জিওগ্রাফিকাল লোকেশন আর টেক্টোনিক গঠন এর জন্য ভুমিকম্পের বিশাল রিস্ক এর মধ্যে আছে. বিশেষ করে ঢাকা. ভূতাত্ত্বিক গঠন অনুযায়ী এইদেশ তিনটা টেক্টোনিক প্লেট এর সংযোগ স্থলে অবস্থিত- ইন্ডিয়ান প্লেট, ইউরেশিয়ান প্লেট আর বার্মিজ মায়িক্রপ্লেট.
ভুতাত্তিক্গন গবেষণা করে দেখেছেন যে ইন্ডিয়ান প্লেট টি প্রতি বছর ৬ সেনতি মিটার হারে উত্তর-পূর্ব দিকে সরে ইউরেশিয়ান প্লেট এর নিচে ৪৪ মিলিমিটার/বছর এবং বার্মিজ প্লেটের নিচে ৩৫ মিমি/বছর হারে ঢুকে যাচ্ছে যার ফলে ভু অভ্ভন্তরে প্রচন্ড শক্তি জমা হচ্ছে ও ফাটল সৃষ্টি হচ্ছে. এই ফাটল বা ফল্ট্গুলোতে প্লেট বাউন্ডারির নড়াচড়ার ফলেই হতে পারে প্রলয়ন্কারী ভূমিকম্প. বাংলাদেশে ও তার সীমান্তবর্তী এলাকায় এরকম কয়েকটি ফল্ট রয়েছে- ডাউকি ফল্ট যার অবস্থান দেশের উত্তর পূর্ব সীমান্তে ৩০০ কিমি এলাকাজুড়ে. আরো আছে মধুপুর ফল্ট যা দেশের মধ্যভাগে উত্তর দক্ষিনে ১৫০ কিমি এলাকাজুড়ে, আছে সিলেট- আসাম ফল্ট যা উত্তর-পূর্ব থেকে উত্তর দক্ষিনে ৩০০ কিমি বিস্তৃত.
গবেষণায় দেখা যায় যে, যদি মধুপুর ফল্ট হতে একটা ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প ঢাকায় আঘাত করে তাহলে আনুমানিক ৭২,৩১৬ টি স্থাপনা পুরোটাই ধসে যাবে, আংশিক ক্ষতিহবে ৫৩১৬৬ টির. বুঝতেই পারছেন অবস্থা কতটুকু ভয়াবহ হতে পারে! তখন ঢাকা হবে একটা ধন্সস্তুপের শহর!
আমরা মুখে টেকসই উন্নয়নের কথা অনেক কপ্চালেও এই কথা ঠিকই জানি যে ঢাকায় টেকসই উন্নয়ন বলতে কিছুই হয় নি, প্রায় পুরোটাই অপরিকল্পিত. আর এই ভুমিকম্পকে মোকাবেলার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার তাও আমাদের নেই. এইটা সকল সরকারেরই বের্থতা. আর নিয়ম না মানার ক্ষেত্রে তো ঢাকাবাসীরা ওস্তাদের ওস্তাদ! এখানে টাকার বিনিময়ে যেকোনো প্রকার দুর্নীতি করতে কারো বাধে না.
ভুমিকম্পের ভয়াবহতা থেকে পার পেতে যেমন বিল্ডিং কোড মানা দরকার তেমনি দরকার গণ প্রচার ও গণ সচেতনতা. এই সচেতনতা একদিনে হবার নয়, এজন্য নিয়মিত মাস মিডিয়াগুলোতে ভূমিকম্প সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম হাতে নিতে হবে. বিশেষ করে রাজধানীর বহুতল শিল্প ভবন যেমন গার্মেন্ট ও অনন্য কারখানার শ্রমিকদেরকে আগে জানাতে হবে. ভবনগুলোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে অতি শীঘ্রই. আর সরকারকে ভাড়ামি থেকে বের হয়ে এসে তাদের সত্যিকার দায়িত্ব পালনে তত্পর হতে হবে. জাগো বাহে! কোনটে সবাই?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×