একদা জীবন কাটিয়াছে ঘোরে
সে তীব্র নেশা য্যানো কুরে কুরে খাচ্ছিলো মোরে
অবশেষে কাটিলো ঘোর ব্যালা- ক্ষান্ত হইলো খেলা।
আসিলে বাস্তবে- যা ছিলো গহীন অরন্য সুন্দরবন
হইলো মরুসম। হইলাম দিশেহারা, উদ্যেশ্যহীন একযুগ ভাসিয়া ভাসিয়া
জাহাজডুবি নাবিক- কোনমতে পাইলো তীরের সাড়া।
কিন্তু হায়! একি পূর্ণ আভ্যন্তরীন প্রতিফলনের খেলা
মরিচিকাময় জীবন আমার এভাবেই যাইবে সারা।।
(ইহা একটি আগডুম বাগডুম শের, যারপরনাই নিজেকে পুনরায় শেরশাহ মনে হইতেছে)
ভেবেছিলাম তোমার কাছে নিজেকে লুকাবো, হয়ে উঠবো অন্যতম। পারি না, আর এই না পারা কখনো কখনো সংকীর্ণ এই আমিকে সংকীর্ণতর করে। বলেছিলাম বন্ধুত্ব, কিন্তু পুড়ে ছাই হওয়া আমি মনে মনে চাইছিলাম আরো অনেক বেশী। লোভী আমি, শুরু থেকেই ছিলাম, নিজের প্রয়োজনে, প্রতিনিয়ত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচবার আশায় - খড়কুটোর মত বারবার তোমাকেই আকড়ে ধরতে চাইছিলাম। কিন্তু এই চাওয়াটা ছিলো সবসময়ই একপাক্ষিক। নিজের এই নির্বুদ্ধিতায় আর অবিবেচক আচরনে অনেক বিরক্ত হয়েছি নিজের ওপর। অলসতা আর নির্ভরশীলতা চীরকালই আমাকে ভোগালো, শিক্ষা হলো না তারপরও, আর এই দ্যাখো কি পরিমান অনায়াসে আর পাছে লোকে কিছু বলের মাথা খেয়ে এসব লিখে চলেছি। তোমাকে দেখিনি- দেখার অনেক ইচ্ছা থাকলেও দেখতে চাইনা। আর কাল্পনিক গল্পের দোহাই দিয়ে আমার লেখায় তোমার উপস্থিতি অস্বীকার করে যাবো।