দেশের মাটিতে জন্মেছেন, যে দেশের বাতাস নিশ্বাস নিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখলেন, সেই দেশে আপনার মত রক্তে-মাংসে গড়া কোন একটা অংশ বিপন্ন।সহানুভূতি দূরে থাক। একবারো তাদের দিকে মানুষ ভেবে ফিরে তাকান নি। কেনই বা তাকাবেন! তারা ত আপনার কেহ নন।না খেয়ে মরলে আপনার কি আসে যায়? আপনার চিত্ত তো জীবন সংগ্রামে কঠোর হয়েগেছে। নিজেকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে অসহায় দরিদ্রকে নিয়ে ভাববার সময় আপনার হয়ে উঠেনা। নিজের সৌখিনতার জন্য কি না করেন। আপনার সেই ভাবনাহীন সৌখিনতা অনুভূতিকে মৃত করে রেখেছে আপনার।
এই তো… এই রমজানে … একজন ভদ্রলোক ইফতার পাঠালেন দু‘জন উচ্চ পদস্হ ব্যক্তির জন্য এক দরিদ্র ছেলের মাধ্যমে। ইফতারের একটু র্পূবে ছেলেটি ইফতার নিয়ে পৌছল। ইফতার পা্ওয়ার পর দুজনের কেউ ছেলেটিকে একবারো বলেনি যে তুমি ও আমাদের সাথে ইফতারটা করে যা্ও। যদি ও প্রেরণকারী ছেলেটির জন্য ও ইফতার পাঠিয়েছিলেন। ছেলেটা ওনাদের সাথে ইফতার করলে কি ওনাদের মান-সম্ভ্রম কমে যেত? ছেলেটা দরিদ্র তাই হয়তো ওনাদের সাথে মানাতো না।
ছেলেটির মুখে দু মুঠো খাবার তুলে দিলে কতটুকু আনন্দ পেতো তা হয়তো ওনি বুঝেছিলেন। তাই তার জন্য ও তিনি ইফতার পাঠিয়েছিলেন। মেঘভরা আকাশের উৎসবে হয়তো ওনার চিত্ত বেজে উঠে,মাতৃভূমির বাতাসের সকরুণ সুরে হয়তো ওনার চিত্তে ব্যথা অনুভব হয়। দরিদ্রের কষ্টে ওনি হয়তো দু‘ ফুটা অশ্রু জল ফেলে। ওনাদের মত মানুষ বেঁচে থাকুক বাংলার বুকে। এমন মানুষকে জাতি সম্মান করে। ওনাদের মত মানুষ জাগ্রত সুন্দর এবং শ্রেষ্ট।
দুঃখের বিষয় এই যে কিছু মনুষ্যত্বহীন মানুষকে সমাজ আজো নমস্কার জানাচ্ছে কারণ এরা ধনী।এটা চির সত্য যে, এরা ক্ষুদিত গরীবের দুঃখ অনুভব করেনা। দুঃখিদের আর্তনাদ এদের হৃদয় র্স্পশ করেনা। পীড়িত, ব্যথায় কাতর মানুষের জন্য কোন অনুভূতি জাগেনা। এই বণ্ঞ্চিত দরিদ্ররা কোন একদিন সঙ্গি করে নে মৃত্যুকে। মনুষ্যত্বহীন ধনী ব্যক্তিরা পোষা কুকুরের তৃপ্তিতে আত্মতৃপ্তি অনুভব করে। প্রাসাদে পার করে দে তাদের সৌখিন জীবন। সৌখিনতার ভিড়ে অনাতদের কান্নার সুর কানে বাজেনা।
প্রভু বলেন—“তোমরা আমার নামে রোজা রাখো। যে রমজানের উপাস করে সে আমার প্রিয় দাস”। দুঃখির দুঃখ অনুভব করার জন্য দিবসে অন্ন পানি কিছু গ্রহণ করেনা। সারাদিন উপাস করার পরও যদি মানুষ সে হত দরিদ্রের বেদনা না বুঝে , তবে সে কেন উপাস করে? ধিক্ এদের কে।
অর্থের উন্নতি হয়ে লাভ কি? যদি মনের উন্নতি না হয়? অর্থশালী বলে সমাজ তাদের নমস্কার করছে। এরা ঘি-মাংস খেয়ে আনন্দ র্পুতিতে জীবন কাটায়। সমাজের লোকেরা এদের কে সম্মান করে। কী মর্মবেদনা! জীবনের প্রকৃত সংজ্ঞা প্রদান করলে ওনারা মহৎ নয়। ওনাদের অন্তরালে দেথা যাবে দীনতা, মনের দারিদ্রতা,পাতিত্য।
যে ধর্ম পালন করে আপন মনে প্রাসাদের নকশা আঁকছেন ওটা ধর্ম নয়। যে ধর্ম পালন করে মনের মধ্যে মানুষের ব্যথা বেদনার, পতিত জীবনের, ব্যথা অনুভব করা যায় নি সে ধর্ম আপনাকে স‘য় নি। যদি ও বা আপনি ধর্ম উৎসব করেন। ধর্মরে ও মনুষ্যত্বের বীজ যার মনে বপন হলো না সে কতটুকু মানুষ হতে পেরেছে? জীবনে আমোদ উৎসব ও দরকার তাই বলে অনাতদের ভুলে যাবেন তা নয়। যে দেশের বাতাস শ্বাস নিয়ে জীবনকে ঠিকে রাখলেন সে দেশের অনাতদের দিকে ও তো তাকাতে হবে।
ইয়াগো(iago)বলেছেন—আমাদের জীবনটা কতটা বাগান বাড়ির মতো। এ বাগানে যেমন ফুলের গাছ লাগাবেন তেমন ফুলই ফুটবে। এই দেশটা ও ঠিক তেমন। একটু অসহায়দের প্রতি হাত বাড়ান দেখবেন তারা ও দেশে ফুল ফুটাচ্ছে। আবার ও বলছি যে দেশের বাতাস শ্বাস নিয়ে বেঁচে আছেন সে দেশের অসহায়দের দিকে একটু সাহায্যের হাত বাড়ান। ছোট হয়ে যাবেন না মহৎ হয়ে উঠবেন।