নানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ নানন ব্লগে সোনালী দিনের ব্লগার লেখক কবি সাহিত্যিক গল্পকার প্রবন্ধকার অন্ধকার খন্দকার আছেন! তারা মাঝে মাঝে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম সহ ব্লগে দয়াকরে উঁকি দিয়ে থাকেন। দয়াকরে একটি পোস্ট দিয়ে থাকেন। সেই পোস্টে লেখা থাকে: -
“আপনাদের প্রতি দয়াকরে, - ১০ বছর পর ফিরে এসেছি / ১২ বছর পর ফিরে এসেছি / ১৪ বছর পর ফিরে এসেছি। ব্লগ ফেসবুক আগের মতো নেই। হতাশা, আফসোস ইত্যাদি।” সমাপ্ত।।
আশ্চর্য বিষয়, একই লেখা একই চিন্তায় ১০/১২/১৪ বছর পর ফিরে আসেন। - অনেকেই উক্ত পোস্টে ওয়েলকাম ব্যাক / শুভ কামনা / সাথে থাকুন / সাথে আছি - ইত্যাদি মন্তব্য করে থাকেন ও মূল্যবান লাইক বাটন চেপে দেন।
পুরোনো দিনের ব্লগার! সোনালী দিনের ব্লগার! - ফিরে এসেছেন, সাথে করে নিশ্চয় সোনা রোপা নিয়ে এসেছেন! অথবা নিদেনপক্ষে ব্রোঞ্জ! সমস্যা হচ্ছে, তাদের এই দয়াবান্ধক পোস্টগুলোতে গিয়ে পড়ার মতো কিছুই থাকে না। এই পোস্টগুলো দীর্ঘদিন যাবত দেখে আসছি। নতুন কিছু নেই। পড়ার মতো কিছু নেই। মন্তব্য করার মতোও কিছু নেই। পোস্টে বেশ কিছু ওয়েলাকম ব্যাক মন্তব্য ও পোস্টে বেশ কিছু লাইক নিয়ে উক্ত সোনালী দিনের ব্লগার লেখক কবি সাহিত্যিক গল্পকার প্রবন্ধকার অন্ধকার খন্দকার আবার ডুব দেন। সাথে ডুবে যায় উক্ত পোস্টে অনুপ্রেরণামূলক ওয়েলকাম ব্যাক মন্তব্য ও মূল্যবান লাইক বাটন। বলা যেতে পারে মন্তব্য ও লাইকগুলো জলেই ডুবে।
সোনালী দিনের ব্লগার লেখকের পূর্বের পোস্টে ফিরে গেলে দেখা যেতে পারে অধিকাংশ পোস্ট কপিকৃত / সংগ্রহীত (সংগ্রহীত কথার অর্থ কি, আমি সঠিক জানিনা। লেখা / পোস্ট সংগ্রহীত বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন - এটি কপিকৃত! নাকি তিনি দয়াকরে কোনো দুর্গম এলাকার দুর্লভ বই হতে সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছেন!) বাকী পোস্টগুলোও পড়ার মতো কিছু নেই অথবা সেইগুলোও - “কিছু লিখতে পারবো কিনা জানিনা তবে পড়বো” - উক্ত পোস্টে হাজার খানেক মন্তব্যের একজন মন্তব্যকারী - এই টাইপ। একবার এমনই কোনো এক ব্লগে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন একটি পোস্ট দিয়েছিলেন - “ওরে আমি লেখতে পারতেছি রে” - এই এক লাইন, এটিই আস্ত একটি পোস্ট! ব্যাস! সোনালী দিনের লেখক ও সোনালী দিনের ব্লগারের একটি মহা মূল্যবান পোস্ট। গন্ডায় গন্ডায় মন্তব্য ও লাইক নিয়ে তিনিও ডুব দিয়েছেন। আবার কোনো একদিন হয়তো ভেসে উঠবেন। সঠিক জানিনা।
দুঃখজনক বিষয়, আমার লিখতে বেশ কষ্ট লাগে। এমন মূল্যবান পোস্টে কষ্ট করে মন্তব্য করার মতো শ্রম আমি কখনোও দিতে পারিনি। সবাইকে ধন্যবাদ।
ছবি: Gold
আগামী পোস্ট: “রাষ্ট্র যখন বিব্রত” (আমাদের সরকারি চাকরিজীবি তথা সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে রাষ্ট্র যখন বিব্রতবোধ করে। ইউনিফর্ম পড়ে শপথ নিয়ে কি ডিউটি করেছেন? এই বিষয়ে ছোট একটি পোস্ট।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫