somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওয়েকস্ফিয়ার

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তখন সেভেন কি এইটে পড়ি। ভৌতিক গল্প, মুভি এসব বেশ ভালো লাগত। একদিন মনে হল, আমার নিজের একটা কল্পিত ভূত থাকা দরকার। একটা নাম ঠিক করে ফেললাম ভূতটার। "ওয়েকস্ফিয়ার"। ওয়েকস্ফিয়ারকে আমি ভূত বলতাম না। বলতাম পিশাচ। কারণ ভূত শব্দটা একটু নিরীহ গোছের। এর চেয়ে পিশাচ বেশি ভয়ংকর মনে হয়েছিল আমার। ওয়েকস্ফিয়ারকে কালো-জগত থেকে ডেকে আনার জন্য একটা মন্ত্রও বানি্য়ে ফেললাম। এখনো ভুলিনি মন্ত্রটা -

"গেরি-মিউফালাস-গিমবাডাম-মারভালি-সিফিলিম-বাকুরা-কিউলিমিগ-ফেরাসিস-মরভিলা"।

এটা আবার, একটা বিশেষ ধরনের ভয়ংকর-সুর লাগিয়ে বলতে হোতো। ভূতের নাম এবং মন্ত্র দুটোই একটু ইংরেজী টাইপের। এই ব্যাপারটা প্রথমে খেয়াল করিনি। পরবর্তিতে খেয়াল হলেও আর পরিবর্তন করতে ইচ্ছে হয় নি। ততদিনে আমি ওয়েকস্ফিয়ারের ভয়ংকর সব কান্ডকারখানার গল্প বলে, আমার ছোট ভাই-বোনের কাছে এটাকে বেশ বাস্তব করে তুলেছি।

ওয়েকস্ফিয়ার যখন আমার ওপর ভর করত, তখন আমার কন্ঠটা একটু মোটা হয়ে যেত আর চোখ দুটো হয়ে যেত বড় বড়। হঠাৎ হঠাৎ যখন হেসে উঠতাম, তখন কোনো আওয়াজ হোতো না। শরীরটা একটু দুলে উঠত কেবল, আর দাঁত গুলো বের হয়ে যেত। হাসিটা শেষ হোতো দাঁতে দাঁত চাপা অবস্থায় এবং একটা মুচকী হাসি তখনো লেগে থাকতো। নি:শ্বাস নিতাম একটু আওয়াজ করে। এইসব অভিনয় করতে করতে আমার ছোট ভাই-বোন দুজনকে বলতে থাকতাম ওয়েকস্ফিয়ারের নিজের অভিজ্ঞতাগুলো। ওরা ভয় পেতো। এবং মজা পেতো। আমারো বেশ মজা লাগতো ওদের ভীতু এবং আগ্রহী চাহনি দেখে।

অনেকদিন পর আজ হঠাৎ ওয়েকস্ফিয়ারকে মনে পড়ল। মনে মনে একটু হেসে নিলাম।

বলতে ইচ্ছে করল, "ধন্যবাদ ওয়েকস্ফিয়ার। সেই ছেলেমানুষী সময়গুলোর জন্য।"
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৫
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×