somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানুষ হউন, নারী নয় বরং মানুষ হউন

০২ রা জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সতর্কতাঃ পোষ্টে উগ্র কথাবার্তা ব্যাবহার করা হয়েছে।

আরেকজন সিমি আত্মহত্যা করল। হ্যাঁ আত্মহত্যাই করল।

কিছুক্ষণ আগে জনৈকা ব্লগারের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা সেই ব্লগারের ভার্চুয়াল আত্মহত্যার ঘোষনা পেলাম।

বাংলা ছিনেমায় দেখা যায় ধর্ষিত নায়কের বোন আত্মহত্যা করে থাকে। বাংলা ছিনেমা আমাদের সেই শাবানার যুগে দেখাইত কি পরিমান অসহ্য নির্যাতন সহ্য করেও শাবানা স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত (ভুয়া একটা প্রচলিত হাদীস, অনেকটা দাড়াইয়া পানি খাওয়া হারামের মত) কৈতে কৈতে শ্বাশুড়ীর খুন্তির ছ্যাকা খাইয়াও জামাইরে কৈত না। বাংলা ছিনেমার অন্যতম সম্বল হৈতাছে নারীর ইজ্জ্বত। যেই ছিনেমায় নায়ক মান্না হাতের ব্রিফকেস মাথার উপরে আকাশে ছুইড়া মাইরা বলে এই ব্রিফকেস মাটিতে নেমে আসার আগেই আমি তোদের সবাইকে পরাস্ত করব, তারপরে ইয়াহু কৈয়া এক লাফ দিয়া দশফুট উচা গাছে উইঠা যায়, সেই ছিনেমায় প্রচারিত দর্শন হিসেবে ইজ্জ্বতহীন নারীর আত্মহত্যা ছাড়া আর কিই বা দেখাইতে পারে। যুগ বদলাইছে, এখন পাবলিক হিন্দি ছিনেমা দেখে, সিরিয়াল দেখে, রগরগে আইটেম গান দেখে, হলিউডের বেডছিন দেখে, সেইটা নিয়া ব্লগে পুষ্টায়, মাগার আমাগোর মহিলারা সেই শাবানাই থাইকা গেল আর নায়কের বুনের লাহান আত্মহত্যাই কৈরা গেল।

শাড়ি আর চুড়ি, লিপিষ্টিক আর আলতা, মেকাপের বস্তা, বিউটি পার্লার, ফেয়ার এন্ড লাভলী।

ঐদিন আমার এক বোনের সাথে এই ফেয়ার এন্ড লাভলীওয়ালারা যে এইভাবে রঙ উপজীব্য ব্যাবসা কৈরা যে একটা মাদারচোদ্গীরি করতাছে সেইটা লৈয়া কতক্ষণ গেজাইলাম। আমি হারামী বেটা হৈয়া ফেয়ার এন্ড লাভলীর বিরুদ্ধে কৈ, মাগার আমার বোনে উলটা এই রঙ ব্যাবসায়ীগোর পক্ষ নেয়। যাই কৈ?

বুকে হাত দিছে, তুমি বিচিতে চাপা মাইরা বিচি গালাইয়া দিবা। হ, আমি এইটাই বলুম।

দুনিয়া খারাপ জায়গা। দুনিয়া হৈল মগের মুল্লুক। এইসব ভদ্রতা সভ্যতা সব আমাদের চর্চার ফসল। যখন বয়স কম আছিল তখন মনে করতাম দুনিয়া খুব ভাল জায়গা, এখানে ভাল ভাল লোক থাকে। পরে দেহি যে নাহ, সেই আদিম গুহাবাসী স্বভাব মাইনষের মধ্যে থিকা এহনও যায় নাই।

পুরুষের সেই আদিম গুহাবাসী হিসাবে বলপূর্বক নারীদের হরণ করা এবং নারীদের সেই আদিম গুহাবাসী হিসাবে ফিচফিচাইয়া কান্নাকাটি কৈরা পুরুষের আধিপত্য মাইনা পুরুষরে জায়গা ছাইড়া দেবার স্বভাব এখনও যায় নাই। এই যে ব্লগেই দেখা যাইতাছে।

এখন কি করব? বীর পুঙ্গব কিছু ব্লগার আসিয়া অসহায় নারীদের উদ্ধার করিবে?

নাহ, আমি মনে করি সেই দিন শেষ। সেই দিন শেষ হওয়া উচিত। এখন সময় হৈল বিচি গালানির। আপনাদের আল্লায় হাত দিছে। হাতের ব্যাবহার করুন। বুকের উড়না রক্ষাতেই শুধু হাতের ব্যাবহার শেষ হয়ে যায় না, গুহাবাসী পুরুষের বিচি গালাইতেও হাতের প্রয়োজন আছে। শাবানার আমলের বাংলা ছিনেমার মত ফিচফিচাইয়া মুখ বুঝে সব সহ্য করে ব্লগ ছেড়ে যাওয়া কেবল বেকুবী এবং পরাজয়ই নয়, বরং এটা আপনার অস্তিত্ত্বকে অট্টহাসিতে উপহাস করে বলবে, "তুমি একটা নারী, অবলা নারী, শাড়ি আর চুড়িই তোমার শেষ অস্তিত্ত্ব, তোমার থাকা না থাকা পুরুষদের আচরণের উপরই নির্ভরশীল, পুরুষ যদি না চায় তবে তুমি কোথাও থাকতে পারবে না, না ঘরে, না রাস্তায়, এমনকি ব্লগেও না, যেখানে পুরুষদের সাথে তোমার যোগাযোগ শুধু কথায়।"

আপনি একবার চিন্তা করে দেখুন, সামান্য একটা ব্লগ, যেখানে কেউ কারো নাগালে নয়, সেখানেই যদি এইভাবে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে তাহলে বাস্তবে কী হতে পারে?

এই ব্লগে একজন মহিলা ব্লগার আছেন। উনার নাম "মেঘ"। আমি উনারে চরম শ্রদ্ধা করি। উনি কেবল নারীই নয়, উনি একজন মানুষও। কারণ ব্লগে আমার দেখামতে একমাত্র উনিই যে কোন বেটার ল্যাওড়া কাইটা তার পুটকিতে ঢুকাইয়া দিতে পারেন। আমাদের এই মেঘ-এর মত মানুষ দরকার, আমাদের নারীদের মানুষ হওয়া দরকার। নিরাপত্তার জন্য আর কতকাল তারা পুরুষদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবে? শারিরীক সামর্থ্যের কথা বলবেন? সারাদিন ড্রেসিং টেবিলের সামনে বৈসা সাজুগুজু না কৈরা কুড়াল দিয়া লাকড়ী ফাড়লে এমনিতেই সামর্থ্য বাড়ব। একবার মাটি কাটার কাজ করছিলাম। আমাদের সাথে এক বয়ষ্ক মহিলা। বয়স আনুমানিক ৪৫ থেকে ৫০। বেশীও হতে পারে। ভাইরে ভাই, আমি আর টুকরিতে কি মাটি নেই, উনি আমার ডবল নেয়। উনি চাইলে আমারে দুই হাতে আঙ্গাইয়া দশ হাতে দূরে ছুইড়া ফালাইতে পারব।

নরম, কোমল, নমনীয়, কমনীয় পন্ডস ফেসওয়াশ ছাড়ুন, কোদাল ধরুন। দুনিয়া আপনার, আপনাকেই এর দখল বুঝে নিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৩
৯টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×